6:60至6:62节的经注
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৬০-৬২ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ পাক বলেন যে, তিনি স্বীয় বান্দাদেরকে রাত্রিকালে দ্রিারূপ মৃত্যুদান করে থাকেন এবং এটা হচ্ছে (আরবী) বা ছোট মৃত্যু। যেমন তিনি বলেনঃ “যখন আল্লাহ বলেন-হে ঈসা (আঃ)! নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মৃত্যু দানকারী এবং আমার কাছে উত্তোলনকারী।” অন্য জায়গায় তিনি বলেনঃ “আল্লাহ মৃত্যুর সময় প্রাণগুলোকে ওফাত দিয়ে থাকেন, আর যে প্রাণ নিদ্রার সময় মৃত্যুবরণ করেতা এমন প্রাণ যে, ওর উপর আগমনকারী মৃত্যুকে থামিয়ে দেয়া হয় এবং ওর উপর অন্য মৃত্যুকে পাঠিয়ে দেয়া হয় অর্থাৎ নিদ্রা, আর এটা নির্ধারিত মৃত্যু পর্যন্ত চলতে থাকে।”এই আয়াতে দু’টি ওফাতের উল্লেখ করা হয়েছে। একটা হচ্ছে (আরবী) অর্থাৎ বড় মৃত্যু এবং অপরটি হচ্ছে বা ছোট মৃত্যু। ইরশাদ হচ্ছে- তিনি রাত্রিকালে তোমাদেরকে ওফাত দিয়ে থাকেন। তখন তোমরা কাজ কারবার থেকে বিরত থাক। কিন্তু দিনের বেলায় তোমরা নিজ নিজ কাজে লিপ্ত থাক। আর তিনি তোমাদের দিনের ঐসব কাজ কারবার সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিফহাল । এটি একটি নতুন ও পৃথক বাক্য যা এটাই প্রমাণ করছে যে, আল্লাহ তা'আলার জ্ঞান তাঁর সমস্ত মাখলুকের উপর পরিবেষ্টিত রয়েছে। রাত্রিকালে যখন নীরবতা বিরাজ করে তখনও এবং দিনের বেলায় যখন সারা বিশ্ব কর্মমুখরিত থাকে তখনও। যেমন তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ গোপনীয় ও প্রকাশ্য, রাত্রিকালের বা দিবাভাগের সমস্ত ব্যাপারেই তার পূর্ণ জ্ঞান রয়েছে। (১৩:১০) আর এক জায়গায় তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “এটা আল্লাহর একটা অনুগ্রহ যে, তিনি তোমাদের জন্যে দিন ও রাত করেছেন যেন তোমরা রাত্রে বিশ্রাম ও শান্তি লাভ কর এবং দিনে জীবিকা অর্জন কর।” (২৮:৭৩) তিনি আরও বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমি রাত্রিকে তোমাদের জন্যে পোশাক বানিয়েছি এবং দিনকে তোমাদের জন্যে জীবিকা উপার্জনের সময় করেছি।” (৭৮:১০-১১) এজন্যেই তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ তিনি রাত্রিকালে তোমাদেরকে মৃত্যু দান করেন এবং দিবাভাগে তোমরা যা কিছু আমল করেছ বা যা কিছু উপার্জন করেছ তা তিনি সম্যক অবগত। অতঃপর তিনি তোমাদের এই বাহ্যিক মৃত্যুর পরে তোমাদেরকে দিনে পূর্ণ জীবন দান করেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, “প্রত্যেক মানুষের সাথে একজন ফেরেশতা থাকেন। যখন সে ঘুমিয়ে পড়ে তখন সেই ফেরেশতা তার প্রাণ বের করে নিয়ে আল্লাহ তা'আলার নিকট চলে যান। আল্লাহ পাক সেই প্রাণকে রেখে দিতে বললে রেখে দেন, নতুবা পুনরায় তা তার দেহে ফিরিয়ে দেন।” (আরবী) -এই উক্তির ভাবার্থ এটাই। মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ প্রত্যেক ব্যক্তির নির্ধারিত সময় পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর তার প্রাণ আল্লাহ তা'আলার নিকট পৌছিয়ে দেয়া হয়। সে যে আমল করেছিল তা তিনি তাকে জানিয়ে দেন। অতঃপর তিনি তাকে বিনিময় প্রদান করেন। ভাল হলে ভাল বিনিময় এবং মন্দ হলে মন্দ বিনিময়।(আরবী) 'তিনি তাঁর বান্দাদের উপর প্রতাপশালী। অর্থাৎ তিনি সব কিছুর উপর পূর্ণ ক্ষমতাবান এবং সমস্তই তাঁর সামনে অবনত। তিনি মানুষের উপর ফেরেশতা নিযুক্ত করে রেখেছেন, যিনি সর্বক্ষণ তার রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন। যেমন তিনি বলেনঃ “মানুষের সামনে ও পিছনে ফেরেশতা অবস্থান করে, যে আল্লাহর নির্দেশক্রমে তার রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে।” আল্লাহ পাক বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “নিশ্চয়ই তোমাদের উপর রক্ষকগণ রয়েছেন।” (৮২:১০) অন্য জায়গায় তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “সে যখনই কোন কথা মুখ দিয়ে বের করে তখনই তার নিকট একজন রক্ষক বিদ্যমান থাকে।” (৫০:১৮) মহান আল্লাহ আরও বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যখন ডানে ও বামে উপবিষ্ট দু'জন পাকড়াওকারী পাকড়াও করবে।” (৫০:১৭) আল্লাহ তা'আলা আর এক জায়গায় বলেনঃ “যখন তোমাদের কারও মৃত্যু এসে যায় তখন আমার ফেরেশতাগণ তার রূহ কবয করে নেয়। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, মালাকুল-মাওত বা মৃত্যুর ফেরেশতার কয়েকজন সাহায্যকারী ফেরেশতা রয়েছেন যারা দেহ থেকে রূহকে টানতে থাকেন। যখন সেই রূহ গলা পর্যন্ত পৌঁছে যায় তখন মৃত্যুর ফেরেশতা তা কব্য করে নেয়। (আরবী) (১৪:২৭) -এই আয়াতের তাফসীরের সময় এর বর্ণনা আসবে।(আরবী) অর্থাৎ ঐ ফেরেশতাগণ সেই ওফাতপ্রাপ্ত রূহের রক্ষণাবেক্ষণে বিন্দুমাত্র ক্রটি করেন না। অতঃপর তারা ওকে ঐ স্থানে পৌছিয়ে দেন যেখানে পৌছানোর আল্লাহ ইচ্ছা করেন। যদি তা সৎ হয় তবে ওকে ইল্লীয়্যিন নামক স্থানে জায়গা দেয়া হয়। আর যদি ওটা অসৎ হয় তবে ওকে সিজ্জীনে রাখা হয়। সিজ্জীন হচ্ছে জাহান্নামের একটা স্তর। আমরা এটা থেকে আল্লাহ পাকের কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। অতঃপর ঐ ফেরেশতাগণ এই রহগুলোকে তাদের প্রকৃত প্রভু অর্থাৎ আল্লাহর কাছে ফিরিয়ে দেন। এখানে আমরা একটি হাদীস বর্ণনা করছি, যা ইমাম আহমাদ (রঃ) হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, মরণ শয্যায় শায়িত ব্যক্তির কাছে ফেরেশতাগণ আগমন করেন। যদি সে সকর্মশীল হয় তবে তারা বলেনঃ “হে পবিত্র আত্মা! তুমি এসে যাও। তুমি পবিত্র দেহের মধ্যে ছিলে। দুনিয়া হতে তুমি প্রশংসিত অবস্থায় ফিরে এসো। তোমাকে জান্নাতের রূহ ও ঈমানের সুসংবাদ দিচ্ছি। আল্লাহ তোমার প্রতি অসন্তুষ্ট নন।” যখন তারা ক্রমাগত এ কথা বলতে থাকেন তখন রূহ দেহ হতে বেরিয়ে আসে। ফেরেশতারা তখন তাকে নিয়ে আকাশে উঠে যান। তার জন্যে আকাশের দর খুলে দেয়া হয়। জিজ্ঞেস করা হয়, কে? উত্তরে বলা হয়, অমুকের আত্মা। তখন আকাশের ফেরেশতা বলেনঃ মারহাবা! হে পবিত্র আত্মা! তুমি পবিত্র দেহের মধ্যে ছিলে। তোমার জন্যে সুসংবাদ।' শেষ পর্যন্ত তিনি তাকে নিয়ে ঐ আকাশ পর্যন্ত উঠে যান যেখানে আল্লাহ তা'আলা রয়েছেন। আর যদি ওটা অসৎ ও পাপী লোকের আত্মা হয় তবে ফেরেশতাগণ তাকে সম্বোধন করে বলেনঃ “হে অপবিত্র দেহের ভিতরে অবস্থানকারী অপবিত্র প্রাণ! তুমি লাঞ্ছিত অবস্থায় বেরিয়ে এসো। তোমাকে গরম পানি ও রক্ত-পুঁজের সুসংবাদ এবং এই গরম পানি ও রক্ত-পুঁজ ছাড়াও তোমার জন্যে অন্য শাস্তিও রয়েছে। বার বার বলার পর যখন সে বেরিয়ে আসে তখন তাকে নিয়ে ফেরেশতাগণ আকাশে উঠে যান। আকাশের দর্য খুলে দেয়া হয় এবং জিজ্ঞেস করা হয়, কে? উত্তর দেয়া হয়, অমুক। তখন ফেরেশতা বলেনঃ “হে অপবিত্র নফস! তোমার উপর লা'নাত বর্ষিত হাক। তোমার জন্যে আকাশের দরযা খোলা হবে না। তারপর ঐ রূহকে তার কবরে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এই হাদীসটি গারীব। এর ভাবার্থ নিম্নরূপ হতে পারেঃ (আরবী) অর্থাৎ সমস্ত মাখলুককে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলার নিকট ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এবং মহান আল্লাহ ইনসাফ ভিত্তিক তাদের উপর নির্দেশ জারী করবেন। যেমন তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “নিশ্চয়ই পূর্ববর্তীগণকে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট স্থানে একত্রিত করা হবে।” (৫৬৪ ৪৯-৫০) অন্য জায়গায় তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমি তাদের সকলকেই উঠাবো, কাউকেই ছাড়বো না এবং আমি তাদের কারও উপর অত্যাচার করবো না।" (১৮:৪৭) এ জন্যেই আল্লাহ পাক বলেনঃ তারপর সকলকেই তাদের প্রকৃত প্রভু আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তিত করানো হয়, তোমরা জেনে রেখো যে, ঐ দিন একমাত্র আল্লাহই রায় প্রদানকারী হবেন, আর তিনি খুবই ত্বরিত হিসাব গ্রহণকারী।

最大化您的 Quran.com 体验!
立即开始您的游览:

0%