undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

আল্লাহ যে শস্য ও গবাদি পশু সৃষ্টি করেছেন, তার মধ্য হতে তারা আল্লাহর জন্য এক অংশ নির্দিষ্ট করে এবং নিজেদের ধারণানুযায়ী বলে, ‘এ আল্লাহর জন্য এবং এ আমাদের দেবতাদের জন্য।’[১] যা তাদের দেবতাদের অংশ তা আল্লাহর কাছে পৌঁছে না[২] এবং যা আল্লাহর অংশ তা তাদের দেবতাদের কাছে পৌঁছে।[৩] তারা যা মীমাংসা করে তা কত নিকৃষ্ট!

[১] এই আয়াতে মুশরিকদের সেই আকীদা ও আমলের একটি নমুনা পেশ করা হয়েছে, যা তারা নিজেরাই গড়ে রেখেছিল। তারা জমির ফসল এবং পশুসম্পদের কিছু অংশ আল্লাহর জন্য এবং কিছু অংশ তাদের মনগড়া উপাস্যদের জন্য নির্দিষ্ট করে নিত। আল্লাহর অংশকে অতিথি ও ফকীর-মিসকীনদের উপর এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার কাজে ব্যয় করত। আর মূর্তিদের অংশকে তাদের পুরোহিত-পান্ডাদের উপর এবং তাদের প্রয়োজনাদি পূরণে ব্যয় করত। আর যদি মূর্তিদের জন্য নির্দিষ্ট অংশের ফসল আশা অনুরূপ না ফলত, তাহলে আল্লাহর অংশ থেকে বের করে তাতে শামিল করে নিত। কিন্তু এর বিপরীত হলে (অর্থাৎ, আল্লাহর অংশের ফসল আশা অনুরূপ না হলে), মূর্তিদের অংশ থেকে কিছু বের না করে বলত যে, আল্লাহ তো অভাবমুক্ত।

[২] অর্থাৎ, আল্লাহর অংশে ঘাটতি হলে দেবতাদের নির্দিষ্ট অংশ থেকে দান-খয়রাত করে না।

[৩] পক্ষান্তরে মূর্তিদের জন্য নির্দিষ্ট অংশে ঘাটতি হলে আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট অংশ থেকে নিয়ে তাদের স্বার্থে ও প্রয়োজনাদিতে ব্যয় করত। অর্থাৎ, আল্লাহর তুলনায় মূর্তিদের মাহাত্ম্য এবং তাদের ভয় ওদের হৃদয়ে বেশী ছিল। বর্তমানের মুশরিকদের আচরণ থেকেও এটা প্রত্যক্ষ করা যেতে পারে।