53:33至53:41节的经注
افرايت الذي تولى ٣٣ واعطى قليلا واكدى ٣٤ اعنده علم الغيب فهو يرى ٣٥ ام لم ينبا بما في صحف موسى ٣٦ وابراهيم الذي وفى ٣٧ الا تزر وازرة وزر اخرى ٣٨ وان ليس للانسان الا ما سعى ٣٩ وان سعيه سوف يرى ٤٠ ثم يجزاه الجزاء الاوفى ٤١
أَفَرَءَيْتَ ٱلَّذِى تَوَلَّىٰ ٣٣ وَأَعْطَىٰ قَلِيلًۭا وَأَكْدَىٰٓ ٣٤ أَعِندَهُۥ عِلْمُ ٱلْغَيْبِ فَهُوَ يَرَىٰٓ ٣٥ أَمْ لَمْ يُنَبَّأْ بِمَا فِى صُحُفِ مُوسَىٰ ٣٦ وَإِبْرَٰهِيمَ ٱلَّذِى وَفَّىٰٓ ٣٧ أَلَّا تَزِرُ وَازِرَةٌۭ وِزْرَ أُخْرَىٰ ٣٨ وَأَن لَّيْسَ لِلْإِنسَـٰنِ إِلَّا مَا سَعَىٰ ٣٩ وَأَنَّ سَعْيَهُۥ سَوْفَ يُرَىٰ ٤٠ ثُمَّ يُجْزَىٰهُ ٱلْجَزَآءَ ٱلْأَوْفَىٰ ٤١
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৩৩-৪১ নং আয়াতের তাফসীর: পূর্ণ প্রতিদান, যারা আল্লাহর আনুগত্য হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাদেরকে আল্লাহ তা'আলা নিন্দে করছেন। তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “সে বিশ্বাস করেনি, বরং সে সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিল ও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।” (৭৫:৩১-৩২)এখানে বলেনঃ “সে দান করে সামান্যই, পরে বন্ধ করে দেয়।' অন্তরকে সে উপদেশ গ্রহণকারী করেনি। কখনো কখনো কিছু মেনে নেয়, অতঃপর রজু কর্তন করে পৃথক হয়ে যায়। আরবের লোকেরা (আরবী) ঐ সময় বলে, যেমন কিছু লোকে কূপ খনন করতে রয়েছে, মাঝে যখন কোন শক্ত পাথর এসে পড়ে তখন তারা সমস্ত কাজ হতে বিরত থাকে এবং বলেঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমরা কাজ বন্দ করে দিলাম।” অতঃপর তারা কাজ ছেড়ে দেয়।মহান আল্লাহ বলেনঃ “তার। শ্যর জ্ঞান আছে যে, সে জানবে?' অর্থাৎ সে কি জানবে যে, যদি সে আল্লাহর পথে খরচ করে তবে সে রিক্ত হস্ত হয়ে যাবে? আসলে তা নয়, বরং সে লোভ-লালসা, কার্পণ্য, স্বার্থপরতা এবং সংকীর্ণমনার কারণেই দান-খয়রাত করা হতে বিরত থাকছে। এ জন্যেই হাদীসে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) হযরত বেলাল (রাঃ)-কে সম্বোধন করে বলেনঃ “হে বেলাল (রাঃ)! তুমি খরচ করে যাও এবং আরশের মালিকের নিকট হতে তুমি কমে যাওয়ার ভয় করো না। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “তোমরা যা কিছু খরচ করবে, আল্লাহ তোমাদেরকে তার বিনিময় প্রদান করবেন এবং তিনি উত্তম রিযকদাতা।” (৩৪:৩৯)(আরবী)-এর এক অর্থ এই বর্ণনা করা হয়েছে যে, তাদেরকে যা হুকুম করা হয়েছিল তা তারা পূর্ণরূপে পৌঁছিয়ে দিয়েছে। আর দ্বিতীয় অর্থ এই করা হয়েছে যে, যে হুকুম তারা পেয়েছে তা তারা পূর্ণরূপে পালন করেছে। সঠিক কথা এই যে, অর্থ দুটোই হবে। যেমন অন্য আয়াতে রয়েছেঃ (আরবী)অর্থাৎ “ইবরাহীম (আঃ)-কে যখনই তাঁর প্রতিপালক কোন কিছু দ্বারা পরীক্ষা করেছেন তখনই তিনি ওগুলো পূর্ণ করেছেন (এবং এভাবে কৃতকার্য হয়েছেন), তখন আল্লাহ তা'আলা তাকে বলেনঃ আমি তোমাকে লোকদের নেতা করলাম।” (২:১২৪) যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “অতঃপর আমি তোমার কাছে অহী করলাম যে, তুমি একনিষ্ঠভাবে ইবরাহীম (আঃ)-এর আদর্শের অনুসরণ করবে এবং সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।” (১৬:১২৩)। হযরত আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁকে জিজ্ঞেস করেনঃ (আরবী) “কি তা তুমি জান কি?” উত্তরে তিনি বলেনঃ “আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই (সঃ) খুব ভাল জানেন।” রাসূলুল্লাহ (সঃ) তখন বলেনঃ “তিনি (হযরত ইবরাহীম আঃ) প্রত্যহ দিনের প্রথমভাগে চার রাকআত নামায পড়তেন। এটাই ছিল তাঁর ওফাদারি বা পুরোপুরিভাবে দায়িত্ব পালন।” (এ হাদীসটি ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন। জা'ফর ইবনে যুবায়ের (রঃ)-এর হাদীস হতে ইমাম ইবনে জারীরও (রঃ) এটা বর্ণনা করেছেন। এটা দুর্বল হাদীস)হযরত আবু দারদা (রাঃ) ও হযরত আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “হে আদম সন্তান! তুমি আমার জন্যে দিনের প্রথম ভাগে চার রাকআত নামায পড়ে নাও, তাহলে আমি দিবসের শেষ ভাগ পর্যন্ত তোমার জন্যে যথেষ্ট হবো (অর্থাৎ আমি তোমাকে যথেষ্ট পুণ্য প্রদান করবে)।”[এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ইমাম তিরমিযী (রঃ)]হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর জন্যে (আরবী) শব্দ ব্যবহার করার কারণ এই যে, তিনি প্রত্যহ সকাল ও সন্ধ্যায় নিম্নলিখিত কালেমাগুলো পাঠ করতেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর সন্ধ্যায় ও সকালে।” (৩০:১৭) রাসূলুল্লাহ (সঃ) আয়াতটি শেষ পর্যন্ত পাঠ করেন।এরপর হযরত মূসা (আঃ)-এর কিতাবে ও হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর কিতাবে কি ছিল তার বর্ণনা দেয়া হচ্ছেঃ ওগুলোতে এই ছিল যে, যে ব্যক্তি নিজের জীবনের উপর যুলুম করেছে, যেমন শিরক ও কুফরী করেছে অথবা সাগীরা বা কাবীরা গুনাহ করেছে, তার শাস্তি স্বয়ং তারই উপর আপতিত হবে। যেমন কুরআন কারীমে ঘোষিত হয়েছেঃ (আরবী)অর্থাৎ “যদি কোন বোঝা বহনকারী তার বোঝা বহন করতে আহ্বান করে তবে তা হতে কিছুই বহন করা হবে না যদিও সে তার নিকটতম আত্মীয় হয়।” (৩৫:১৮) ঐ কিতাবগুলোতে এও ছিলঃ মানুষ তা-ই পায় যা সে করে। অর্থাৎ যেমন তার উপর অন্যের বোঝা চাপানো হবে না এবং অন্যের দুষ্কার্যের কারণে তাকে পাকড়াও করা হবে না, অনুরূপভাবে অন্যের পুণ্যও তার কোন উপকারে আসবে না। ইমাম শাফিয়ী (রঃ) এবং তাঁর অনুসারীগণ এই আয়াত দ্বারা দলীল গ্রহণ করেছেন যে, কুরআন পাঠের সওয়াব মৃত ব্যক্তির কাছে পৌঁছালে তা তার কাছে পৌঁছে না। কেননা, না এটা তার আমল এবং না তার উপার্জিত জিনিস। এই কারণেই রাসূলুল্লাহ (সঃ) না এর বৈধতা বর্ণনা করেছেন, না এ কাজে স্বীয় উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন, কোন সুস্পষ্ট ঘোষণা দ্বারাও নয় এবং কোন ইঙ্গিত দ্বারাও নয়। অনুরূপভাবে সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ)-এর মধ্য হতে কোন একজন হতেও এটা প্রমাণিত নয় যে, তারা কুরআন পড়ে ওর সওয়াবের হাদিয়া মৃতের জন্যে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এটা যদি পুণ্যের কাজ হতো এবং শরীয়ত সম্মত আমল হতো তবে সওয়াবের কাজে আমাদের চেয়ে বহুগুণে অগ্রগামী সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) এ কাজ অবশ্যই করতেন। সাথে সাথে এটাও স্মরণ রাখার বিষয় যে, পুণ্যের কাজ কুরআন ও হাদীস দ্বারাই সাব্যস্ত হয়ে থাকে। কোন প্রকারের মত ও কিয়াসের স্থান সেখানে নেই। হ্যাঁ, তবে দু'আ ও দান-খয়রাতের সওয়াব মৃত ব্যক্তির কাছে পৌঁছে থাকে। এ ব্যাপারে ইজমা রয়েছে এবং শরীয়ত প্রবর্তকের শব্দ দ্বারা প্রমাণিত। যে হাদীসটি সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “মানুষ যখন মারা যায় তখন তার আমল বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু তিনটি আমূল (বন্ধ হয় না)। (এক) সৎ সন্তান, যে তার জন্যে দু'আ করে, (দুই) ঐ সাদকা, যা তার মৃত্যুর পরেও জারী থাকে এবং (তিন) ঐ ইলম, যার দ্বারা উপকার লাভ করা হয়। এর ভাবার্থ এই যে, প্রকৃতপক্ষে এই তিনটি জিনিসও স্বয়ং মৃত ব্যক্তিরই চেষ্টা ও আমল। অর্থাৎ অন্য কারো আমলের প্রতিদান তাকে দেয়া হয় না। যেমন হাদীসে এসেছে যে, মানুষের সবচেয়ে উত্তম খাদ্য ওটাই যা সে স্বহস্তে উপার্জন করেছে। আর মানুষের সন্তানও তারই উপার্জিত। সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, সন্তান, যে তার পিতার মৃত্যুর পর তার জন্যে দু'আ করে সেও প্রকৃতপক্ষে তারই আমল। অনুরূপভাবে সাদকায়ে জারিয়াহ প্রভৃতিও তারই আমলের ফল এবং তারই ওয়াকফকৃত জিনিস। স্বয়ং কুরআন কারীমে ঘোষিত হচ্ছেঃ (আরবী)অর্থাৎ “আমিই মৃতকে করি জীবিত এবং লিখে রাখি যা তারা অগ্রে প্রেরণ করে ও যা তারা পশ্চাতে রেখে যায়।" (৩৬:১২) এর দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে যে, তার পিছনে ছেড়ে আসা সকার্যগুলোর সওয়াব তার নিকট পৌছতে থাকে। এখন থাকলো ঐ ইলম যা সে লোকদের মধ্যে ছড়িয়ে রেখেছে এবং তার ইন্তেকালের পরেও জনগণ ওর উপর আমল করতে থাকে, ওটাও প্রকৃতপক্ষে তারই চেষ্টা ও আমল যা তার পরে বাকী রয়েছে এবং ওর সওয়াব তার কাছে। পৌঁছতে রয়েছে। যেমন সহীহ হাদীসে রয়েছেঃ “যে ব্যক্তি হিদায়াতের দিকে আহ্বান করে এবং যত লোক তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে হিদায়াতের অনুসারী হয়, তাদের সবারই কাজের প্রতিদান তাকে প্রদান করা হয়, আর তাদের পুণ্যের কিছুই কম করা হয় না।'অতঃপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “আর তার কর্ম অচিরেই দেখানো হবে।' অর্থাৎ কিয়ামতের দিন তাকে তার কর্ম দেখানো হবে। যেমন মহান আল্লাহ অন্য জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “ (হে নবী সঃ)! তুমি বলঃ তোমরা আমল করে যাও, সত্বরই তোমাদের আমল দেখবেন আল্লাহ, তাঁর রাসূল (সঃ) এবং মুমিনরা, অতঃপর তোমরা প্রত্যানীত হবে অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা আল্লাহর নিকট এবং তোমাদেরকে জানিয়ে দেয়া হবে যা তোমরা করতে।” (৯ :১০৫)অনুরূপভাবে এখানে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ অতঃপর তাকে দেয়া হবে পূর্ণ প্রতিদান।