52:35至52:43节的经注
ام خلقوا من غير شيء ام هم الخالقون ٣٥ ام خلقوا السماوات والارض بل لا يوقنون ٣٦ ام عندهم خزاين ربك ام هم المصيطرون ٣٧ ام لهم سلم يستمعون فيه فليات مستمعهم بسلطان مبين ٣٨ ام له البنات ولكم البنون ٣٩ ام تسالهم اجرا فهم من مغرم مثقلون ٤٠ ام عندهم الغيب فهم يكتبون ٤١ ام يريدون كيدا فالذين كفروا هم المكيدون ٤٢ ام لهم الاه غير الله سبحان الله عما يشركون ٤٣
أَمْ خُلِقُوا۟ مِنْ غَيْرِ شَىْءٍ أَمْ هُمُ ٱلْخَـٰلِقُونَ ٣٥ أَمْ خَلَقُوا۟ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ ۚ بَل لَّا يُوقِنُونَ ٣٦ أَمْ عِندَهُمْ خَزَآئِنُ رَبِّكَ أَمْ هُمُ ٱلْمُصَۣيْطِرُونَ ٣٧ أَمْ لَهُمْ سُلَّمٌۭ يَسْتَمِعُونَ فِيهِ ۖ فَلْيَأْتِ مُسْتَمِعُهُم بِسُلْطَـٰنٍۢ مُّبِينٍ ٣٨ أَمْ لَهُ ٱلْبَنَـٰتُ وَلَكُمُ ٱلْبَنُونَ ٣٩ أَمْ تَسْـَٔلُهُمْ أَجْرًۭا فَهُم مِّن مَّغْرَمٍۢ مُّثْقَلُونَ ٤٠ أَمْ عِندَهُمُ ٱلْغَيْبُ فَهُمْ يَكْتُبُونَ ٤١ أَمْ يُرِيدُونَ كَيْدًۭا ۖ فَٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ هُمُ ٱلْمَكِيدُونَ ٤٢ أَمْ لَهُمْ إِلَـٰهٌ غَيْرُ ٱللَّهِ ۚ سُبْحَـٰنَ ٱللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ ٤٣
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৩৫-৪৩ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা এখানে রবুবিয়্যাত ও তাওহীদে উলুহিয়্যাত সাব্যস্ত করতে গিয়ে বলেনঃ তারা কি কোন স্রষ্টা ছাড়াই সৃষ্ট হয়ে গেছে, না তারা নিজেরাই স্রষ্টা? প্রকৃতপক্ষে এ দু'টোর কোনটাই নয়। বরং তাদের সৃষ্টিকর্তা হলেন আল্লাহ। পূর্বে তারা কিছুই ছিল না। তিনিই তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। হযরত জুবায়ের ইবনে মুতইম (রাঃ) বলেনঃ “আমি নবী (সঃ)-কে, মাগরিবের নামাযে সূরায়ে তূর পড়তে শুনি। যখন তিনি (আরবী) পর্যন্ত পৌঁছেন তখন আমার অন্তর উড়ে যাবার উপক্রম হয়।” (এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ) বর্ণনা করেছেন) এই জুবায়ের ইবনে মুতইম (রাঃ) বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার পর নবী (সঃ)-এর নিকট বদরের বন্দীদেরকে মুক্তিপণের মাধ্যমে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্যে এসেছিলেন। ঐ সময় তিনি মুশরিক ছিলেন। এই আয়াতগুলোর শ্রবণই তাঁর ইসলামে প্রবেশের কারণ হয়।এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ তারা কি আকাশমণ্ডল না, এটাও নয়। বরং তারা জানে যে, স্বয়ং তাদের ও। একমাত্র আল্লাহ তা'আলা। এটা জানা সত্ত্বেও তারা তাদের অবিশ্বাস হতে বিরত থাকছে না।মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ আল্লাহ তা'আলার ভাণ্ডার কি তাদের নিকট রয়েছে, না তারা এ সমুদয়ের নিয়ন্তা? অর্থাৎ দুনিয়ার ব্যবস্থাপনা কি তাদের হাতে আছে, না তারা সমস্ত ভাণ্ডারের মালিক? তারাই সারা মাখলুকের রক্ষক? না, প্রকৃত ব্যাপার তা নয়, বরং মালিক ও ব্যবস্থাপক হলেন একমাত্র আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা। তিনি পূর্ণ ক্ষমতাবান। তিনি যা ইচ্ছা করেন তাই করে থাকেন। এরপর প্রবল পরাক্রান্ত আল্লাহ বলেনঃ উঁচু আকাশে উঠে যাওয়ার কোন সিঁড়ি তাদের কাছে আছে না কি? যদি থেকে থাকে তবে তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সেখানে পৌছে কথা শুনে আসে সে তার কথা ও কাজের কোন আসমানী দলীল পেশ করুক না কেন? কিন্তু না তারা কোন দলীল পেশ করতে পারে, না তারা কোন সত্য পথের অনুসারী। এটাও তাদের একটা বড় অন্যায় কথা যে, তারা বলেঃ ফেরেশতারা আল্লাহর কন্যা (নাউযুবিল্লাহ)। এটা কতই না জঘন্য ব্যাপার যে, তারা নিজেদের জন্যে যে কন্যাদেরকে অপছন্দ করে তাদেরকেই আবার স্থির করে আল্লাহ্ তা'আলার জন্যে! তারা যখন শুনতে পায় যে, তাদের কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে তখন দুঃখে ও লজ্জায় তাদের চেহারা মলিন হয়ে যায়। অথচ ঐ কন্যাদেরকেই তারা সাব্যস্ত করছে আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলার জন্যে! শুধু তাই নয়, বরং তারা তাদের ইবাদতও করছে! তাই তো প্রবল পরাক্রান্ত আল্লাহ অত্যন্ত ধমকের সুরে বলছেনঃ তবে কি কন্যা সন্তান তার জন্যে এবং পুত্র সন্তান তোমাদের জন্যে?অতঃপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ্ স্বীয় নবী (সঃ)-কে বলছেনঃ হে নবী (সঃ)! তবে কি তুমি তোমার তাবলীগী কাজের উপর তাদের নিকট পারিশ্রমিক চাচ্ছ যা তাদের উপর ভারী হচ্ছে? অর্থাৎ নবী (সঃ) তো তাঁর তাবলীগী কাজের উপর কোন পারিশ্রমিক চাচ্ছেন না! তাহলে তাদের কাছে তার আল্লাহর বাণী পৌঁছিয়ে দেয়াতে তাদের অসন্তুষ্ট হবার কারণ কি? না কি অদৃশ্য বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান আছে যে, তারা এই বিষয়ে কিছু লিখে? না, না, যমীন ও আসমানের সমস্ত সৃষ্টজীবের মধ্যে কেউই অদৃশ্যের খবর রাখে না। এই লোকগুলো আল্লাহর দ্বীন এবং আল্লাহর রাসূল (সঃ) সম্পর্কে আজে-বাজে কথা বলে স্বয়ং রাসূল (সঃ)-কে, মুমিনদেরকে এবং সাধারণ লোকদেরকে প্রতারিত করতে চায়। কাফিরদের এটা জেনে রাখা উচিত যে, পরিণামে তারাই হবে ষড়যন্ত্রের শিকার। মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ আল্লাহ ছাড়া তাদের অন্য কোন মা’বূদ আছে কি? কেন তারা আল্লাহর ইবাদতে প্রতিমা ও অন্যান্য জিনিসকে শরীক করছে? আল্লাহ তাআলা তো মুশরিকদের এই কাজে চরম অসন্তুষ্ট। তারা যাকে শরীক স্থির করে তিনি তা হতে পবিত্র।