2:42至2:43节的经注
ولا تلبسوا الحق بالباطل وتكتموا الحق وانتم تعلمون ٤٢ واقيموا الصلاة واتوا الزكاة واركعوا مع الراكعين ٤٣
وَلَا تَلْبِسُوا۟ ٱلْحَقَّ بِٱلْبَـٰطِلِ وَتَكْتُمُوا۟ ٱلْحَقَّ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ ٤٢ وَأَقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُوا۟ ٱلزَّكَوٰةَ وَٱرْكَعُوا۟ مَعَ ٱلرَّٰكِعِينَ ٤٣
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৪২-৪৩ নং আয়াতের তাফসীরতিরস্কারঃইয়াহূদীদেরকে এ বদ অভ্যাসের জন্যে তিরস্কার করা হচ্ছে যে, তারা জানা সত্ত্বেও কখনও তো সত্য ও মিথ্যাকে মিশ্রিত করতো, আবার কখনও সত্যকে গোপন করতো এবং মিথ্যাকে প্রকাশ করতো। তাদেরকে এ কুঅভ্যাস ত্যাগ করতে বলা হচ্ছে এবং উপদেশ দেয়া হচ্ছে যে, তারা যেন সত্যকে প্রকাশ করে ও স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে। আর তারা যেন ন্যায় ও অন্যায়, সত্য ও মিথ্যাকে মিশ্রিত না করে, আল্লাহর বান্দাদের মঙ্গল কামনা করে, ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের বিদ'আতকে ইসলামের শিক্ষার সঙ্গে মিশ্রিত না করে। আর তারা তাদের কিতাবে মুহাম্মদ (সঃ) সম্পর্কে যে ভবিষ্যদ্বাণী পাচ্ছে তা যে সর্বসাধারণের মধ্যে প্রকাশ করতে কার্পণ্য না করে।(আরবি) শব্দটি জযম বিশিষ্ট ও যবর বিশিষ্ট দুই-ই হতে পারে। অর্থাৎ এটা ওটার মধ্যে একত্রিত করো না। হযরত ইবনে মাসউদের (রাঃ) পঠন (আরবি) ও আছে। তখন এটা (আরবি) হবে এবং পরের বাক্যটিও (আরবি) হবে। তখন অর্থ হবে এইঃ সত্যকে সত্য জেনে এ রকম নির্লজ্জতাপূর্ণ কাজ করো না এবং অর্থ এও হবেঃ এই গোপন করা ও মিশ্রিত করার শাস্তি যে কি হতে পারে তা জানা সত্তেও তোমরা এই পাপের কাজ করতে রয়েছে!’ অতঃপর তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে যে, তারা যেন রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সঙ্গে নামায পড়ে, তাঁকে যাকাত প্রদান করে, তার উম্মতের সাথে রুকু ও সিজদায় অংশগ্রহণ করতে থাকে, তাদের সাথে মিলেমিশে থাকে এবং তারা নিজেরাও যেন তাঁরই উম্মত হয়ে যায়। আনুগত্য ও অন্তরঙ্গতাকেও যাকাত বলা হয়।হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) এ আয়াতের তাফসীরে এটাই বলেছেন। দু'শ ও ততোধিক দিরহামের উপর যাকাত ওয়াজিব হয়ে থাকে। নামায ও যাকাত ফরয ও ওয়াজিব। এ দু'টো ছাড়া আমল ব্যর্থ হয়ে যায়। কেউ কেউ যাকাতের অর্থ ফিত্রাও নিয়েছেন। রুকুকারীদের সাথে রুকু কর, এর অর্থ এই যে, তারা যেন ভাল কাজে মুমিনদের সাথে অংশগ্রহণ করে। আর ঐ কাজগুলোর মধ্যে নামাযই হলো সর্বোত্তম। এ আয়াত দ্বারা অধিকাংশ ‘আলিম জামা'আতের সাথে নামায ফরয হওয়ার দলীল গ্রহণ করেছেন। এখানে ইমাম কুরতবী (রঃ) জামা'আত সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।