১০-১৫ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা স্বীয় পাক কালামের ফজিলত বর্ণনা করতঃ ওর মর্যাদার প্রতি আগ্রহ উৎপদিনের নিমিত্তে বলেনঃ তোমাদের উপর আমি এই কিতাব (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি। এতে তোমাদের শ্রেষ্ঠত্ব, তোমাদের দ্বীন, তোমাদের শরীয়ত এবং তোমাদের কথা আলোচিত হয়েছে। তবুও কি তোমরা বুঝবে না ও জ্ঞান লাভ করবে না? তোমরা কি এই গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামতের কদর করবে না? যেমন অন্য আয়াতে রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “তোমার জন্যে ও তোমার কওমের জন্যে এটা উপদেশ এবং সত্বরই তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে।" (৪৩:৪৪)।এরপর আল্লাহ তাআলা বলেনঃ আমি ধ্বংস করেছি কতজনপদ, যার অব্বিাসীরা ছিল যালিম। অন্য জায়গায় রয়েছেঃ “নূহের (আঃ) পরে আমি বহু জনপদকে ধ্বংস করে দিয়েছি।" আর এক জায়গায় রয়েছেঃ “এমন বহু জনপদ, যা পূর্বে উন্নতি ও জঁকজমকপূর্ণ ছিল, কিন্তু পরে জনগণের জুলুমের কারণে আমি ওগুলিকে ধ্বংস করে দিয়েছি।”মহান আল্লাহ বলেনঃ তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়ার পর আমি তাদের স্থলে সৃষ্টি করেছি অপর জাতিকে। এক কওমের পর অন্য কওম এবং এরপর আর এক কওম, এভাবেই একে অপরের স্থলাভিষিক্ত হতে থেকেছে। যখন ঐ লোকগুলি শাস্তি আসতে দেখে নেয় তখন তাদের বিশ্বাস হয়ে যায় যে, আল্লাহর নবীর ফরমান মোতাবেক আল্লাহর শান্তি এসে গেছে। তখন তারা হতবুদ্ধি হয়ে পালাবার পথ খুঁজতে থাকে। এদিক ওদিক তারা দৌড়তে শুরু করে। তখন তাদেরকে বলা হয়ঃ পলায়ন করো না, বরং নিজেদের প্রাসাদের দিকে এবং আরাম আয়েশ ও সুখ-সামগ্রীর দিকে ফিরে এসো। তোমাদের সাথে প্রশ্নোত্তর চলবে যে, তোমরা আল্লাহর নিয়ামত রাজির জন্যে তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলে কি না। এই নির্দেশ হবে তাদেরকে ধমক দেয়া এবং লাঞ্ছিত ও অপমানিত করা হিসেবে। ঐ সময় তারা নিজেদের পাপরাশির কথা স্বীকার করে নেবে। তারা স্পষ্টভাবে বলবেঃ “আমরা তো ছিলাম অত্যাচারী। কিন্তু তখনকার স্বীকার করে কোনই লাভ হবে না। আল্লাহ পাক বলেনঃ তাদের এই আর্তনাদ চলতে থাকে যতক্ষণ না আমি তাদেরকে কর্তিত শস্য ও নির্বাপিত অগ্নি সদৃশ না করি।
0%