۞ وما ابري نفسي ان النفس لامارة بالسوء الا ما رحم ربي ان ربي غفور رحيم ٥٣
۞ وَمَآ أُبَرِّئُ نَفْسِىٓ ۚ إِنَّ ٱلنَّفْسَ لَأَمَّارَةٌۢ بِٱلسُّوٓءِ إِلَّا مَا رَحِمَ رَبِّىٓ ۚ إِنَّ رَبِّى غَفُورٌۭ رَّحِيمٌۭ ٥٣
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

(আযীযের স্ত্রী) যুলাইখা বললো: “আমি আমার নফসকে পবিত্র বলছি না এবং না তাকে সর্বপ্রকারের অপরাধ হতে মুক্ত মনে করছি। নফ্‌সের মধ্যে তো সব রকমের খারাপ খেয়াল এবং অবৈধ আকাঙ্ক্ষা বাসা বেঁধে থাকে। ওটা সব সময় খারাপ কাজ করতে উত্তেজিত করে তাকে। এ জন্যেই আমি নফসের প্রতারণায় পড়ে ইউসুফ (আঃ) কে আমার ফাঁদে ফেলার ইচ্ছা করেছিলাম কিন্তু তিনি আমার ফাঁদে পড়েন নাই। কেননা ন খারাপ কাজ করতে উত্তেজিত করে বটে, কিন্তু তাকে পারে না যার প্রতি আল্লাহ পাকের করুণা বর্ষিত হয়। নিশ্চয় আমার প্রতিপালক অত্যন্ত ক্ষমাশীল এবং পরম দয়ালু।' এটা আযীযের স্ত্রী যুলাইখারই উক্তি। এ উক্তিটিই বেশি প্রসিদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য। ঘটনার পূর্বাপর বর্ণনা দ্বারাও এই উক্তিটি সঠিক বলে প্রমাণিত হয়। অর্থের দিক দিয়েও এটাই সঠিক বলে মনে হয়। এটাকেই ইমাম রাযী (রঃ) স্বীয় তাফসীরে বর্ণনা করেছেন। ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রঃ) তো এই ব্যাপারে একটি পৃথক কিতাবই রচনা করেছেন এবং সেখানে এই উক্তিটিরই পূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে। কিন্তু কতকগুলি লোক এ কথাও বলেছেন যে, এটা হযরত ইউসুফের (আঃ) উক্তি (অর্থাৎ (আরবি )হতে (আরবি )পর্যন্ত) যার ভাবার্থ হলো ইউসুফ (আঃ) বললেনঃ যাতে মিসরের আযীয জানতে পারেন যে, তাঁর স্ত্রীর ব্যাপারে আমি তার অনুপস্থিতিতে কোন খিয়ানত করি নাই’ (শেষ পর্যন্ত)। ইবনু জারীর (রঃ) এবং ইবনু আবি হা’তিম (রঃ) তো এই উক্তি ছাড়া আর কোন উক্তি বর্ণনাই করেননি। যেহেতু তাফসীরে ইবনু জারীরে রয়েছে যে, হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ “যখন হযরত ইউসুফের (আঃ) কথা অনুযায়ী বাদশাহ শহরের মহিলাদেরকে তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তখন তারা বলেঃ আমরা তাঁর মধ্যে খারাপ কিছুই দেখি নাই।' যুলাইখাও স্বীকারোক্তি করে বলেনঃ ‘সত্য কথা এটাই যে, আমিই তাকে আমার প্রতি আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছিলাম তখন হযরত ইউসুফ (আঃ) বলেনঃ ‘আমার এ সব করার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল এই যে, আমি যে মিসরের আযীযের অনুপস্থিতিতে তাঁর কোন খিয়ানত বা বিশ্বাসঘাতকতা করি নাই তা তাঁকে জানিয়ে দেয়া।' তখন হযরত জিবরাঈল (আঃ) তাঁর কাছে এসে বললেনঃ যেই দিন মহিলাটি আপনাকে কামনা করেছিল এবং আপনিও তাকে কামনা করেছিলেন সেদিনও নয় কি (অর্থাৎ সেদিনও কি আপনি খিয়ানত করেন নাই)?” তখন তিনি জবাব দিয়েছিলেনঃ আমি নিজেকে নির্দোষ মনে করি না। মানুষের মন অবশ্যই মন্দ কর্ম প্রবণ, কিন্তু সে নয় যার প্রতি আমার প্রতিপালক দয়া করেন (শেষ পর্যন্ত)।” মুজাহিদ (রঃ), সাঈদ ইবনু জুবাইর (রঃ), ইকরামা (রঃ), ইবনু আবি হুযাইল (রঃ), যহহাক (রঃ), হাসান (রঃ), কাতাদা’ (রঃ) এবং সুদ্দী (রঃ) এটাই বলেছেন। কিন্তু প্রথম উক্তিটিই (অর্থাৎ এটা যুলাইখার উক্তি হওয়াটাই) অধিকতর সঠিক, দৃঢ় এবং স্পষ্ট। কেননা পরবর্তী উক্তিটির শেষাংশ আযীযের স্ত্রী যুলাইখারই উক্তি বটে, যা সে সবারই সামনে বাদশাহ্র কাছে বর্ণনা করেছিল এবং হযরত ইউসুফ (আঃ) সেখানে উপস্থিত ছিলেন না (বরং ঐ সময় তিনি জেলখানায় ছিলেন)। ঐ সব কথোপকথনের পর বাদশাহ তাঁকে ডেকে পাঠান।