12:37至12:38节的经注
قال لا ياتيكما طعام ترزقانه الا نباتكما بتاويله قبل ان ياتيكما ذالكما مما علمني ربي اني تركت ملة قوم لا يومنون بالله وهم بالاخرة هم كافرون ٣٧ واتبعت ملة ابايي ابراهيم واسحاق ويعقوب ما كان لنا ان نشرك بالله من شيء ذالك من فضل الله علينا وعلى الناس ولاكن اكثر الناس لا يشكرون ٣٨
قَالَ لَا يَأْتِيكُمَا طَعَامٌۭ تُرْزَقَانِهِۦٓ إِلَّا نَبَّأْتُكُمَا بِتَأْوِيلِهِۦ قَبْلَ أَن يَأْتِيَكُمَا ۚ ذَٰلِكُمَا مِمَّا عَلَّمَنِى رَبِّىٓ ۚ إِنِّى تَرَكْتُ مِلَّةَ قَوْمٍۢ لَّا يُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ وَهُم بِٱلْـَٔاخِرَةِ هُمْ كَـٰفِرُونَ ٣٧ وَٱتَّبَعْتُ مِلَّةَ ءَابَآءِىٓ إِبْرَٰهِيمَ وَإِسْحَـٰقَ وَيَعْقُوبَ ۚ مَا كَانَ لَنَآ أَن نُّشْرِكَ بِٱللَّهِ مِن شَىْءٍۢ ۚ ذَٰلِكَ مِن فَضْلِ ٱللَّهِ عَلَيْنَا وَعَلَى ٱلنَّاسِ وَلَـٰكِنَّ أَكْثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَشْكُرُونَ ٣٨
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৩৭-৩৮ নং আয়াতের তাফসীর হযরত ইউসুফ (আঃ) তাঁর দু’জন কয়েদী সঙ্গীকে সান্ত্বনা দিয়ে বলছেনঃ “আমি তোমাদের স্বপ্নের সঠিক তাৎপর্য বা ব্যাখ্যা জানি। তা বর্ণনা করতে আমি মোটেই কার্পণ্য করবো না এর তাৎপর্য সংঘটিত হওয়ার পূর্বেই আমি তোমাদেরকে তা বলে দেবো।” হযরত ইউসুফের (আঃ) এই ফরমান এবং এই অঙ্গীকার প্রদানের দ্বারা বাহ্যতঃ জানা যাচ্ছে যে, তিনি একাকীত্বের কয়েদে ছিলেন। খাওয়ার সময় খুলে দেয়া হতো এবং তখন পরস্পর মিলিত হতে পারতেন। এ জন্যেই তিনি তাদের সাথে এই ওয়াদা করেছিলেন। আর এটাও হতে পারে যে, আল্লাহ তাআ’লার পক্ষ থেকে অল্প অল্প করে দুটো স্বপ্নের পূর্ণ ব্যাখ্যা বলে দেয়া হয়েছিল। হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে এটা বর্ণিত হয়েছে, যদিও এটা খুবই গরীব বা দুর্বল।তারপর হযরত ইউসুফ (আঃ) তাদেরকে বলেনঃ “আমাকে এই বিদ্যা আল্লাহ তালা’লার পক্ষ হতে দান করা হয়েছে। কারণ এই যে, আমি ঐ কাফিরদের ধর্ম ত্যাগ করেছি যারা আল্লাহকেও মানে না এবং পরকালকেও বিশ্বাস করে না। আমি আল্লাহর রাসূলদের সত্য দ্বীনকে মেনে নিয়েছি এবং তারই অনুসরণ করছি। স্বয়ং আমার পিতা ও দাদা আল্লাহর রাসুল ছিলেন। তারা হচ্ছেন হযরত ইবরাহীম (আঃ), হযরত ইসহাক (আঃ) এবং হযরত ইয়াকুব (আঃ)। প্রকৃতপক্ষে যাঁরাই সরল সঠিক পথের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকেন, হিদায়াতের অনুসারী হন, আল্লাহর রাসূলদের আনুগত্যকে অপরিহার্যরূপে ধারণ করেন এবং ভ্রান্ত পথ হতে মুখ ফিরিয়ে নেন, আল্লাহ তাবারাকা ওয়াতাআ’লা তাদের অন্তরকে আলোকিত করে দেন, বক্ষকে পরিপূর্ণ করেন, বিদ্যা ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানে ভূষিত করেন। তাদেরকে ভাল লোকদের নেতা বানিয়ে দেন। তারা জগতবাসীকে কল্যাণের দিকে আহ্‌বান করে থাকেন। আমরা যখন সরল সঠিক পথে পরিচালিত হয়েছি, তাওহীদের জ্ঞান লাভ করেছি, শিরকের পাপ থেকে রক্ষা পেয়েছি, তখন আমাদের জন্যে এটা কিরূপে শোভনীয় হতে পারে যে, আমরা আল্লাহর সাথে অন্য কাউকেও শরীক করবো? এই তাওহীদ, এই সত্য দ্বীন এবং এই আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য, এটা আল্লাহর একটা বিশেষ অনুগ্রহ, যাতে শুধু আমরা নই, বরং আল্লাহর অন্যান্য মাখলুকও এর অন্তর্ভুক্ত। আমরা শুধু এটুকু শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করেছি যে, আমাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে ওয়াহী এসেছে এবং জনগণের কাছে আমরা এই ওয়াহী বা প্রত্যাদেশ পৌঁছিয়ে দিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ লোকই অকৃতজ্ঞ। তারা সেই বড় নিয়ামতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, যে নিয়ামত মহান আল্লাহ রাসূলদের মাধ্যমে তাদেরকে প্রদান করেছেন। এই নিয়ামতের শুকরিয়া আদায়ের পরিবর্তে তারা এর সাথে কুফ্‌রী করছে। ফলে তারা নিজেদের সঙ্গীদের সহ ধ্বংসের ঘরে স্থান করে নিচ্ছে। হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) দাদার উপরও পিতার হুকুম লাগিয়ে থাকেন। আর তিনি বলেন যে, যার ইচ্ছা হয় সে যেন হাজরে আসওয়াদের কাছে এসে তাঁর সাথে মুকাবিলা করে। তিনি প্রমাণ উপস্থাপন করে বলেন যে, আল্লাহ তাআ’লা দাদার উল্লেখ করেন নাই। হযরত ইউসুফের (আঃ) ব্যাপারে তিনি বলেছেন যে, তিনি বলেছিলেনঃ “আমি আমার পিতা ইবরাহীম (আঃ), ইসহাক (আঃ) এবং ইয়াকুবের (আঃ) অনুসরণ করেছি।”