12:21至12:22节的经注
وقال الذي اشتراه من مصر لامراته اكرمي مثواه عسى ان ينفعنا او نتخذه ولدا وكذالك مكنا ليوسف في الارض ولنعلمه من تاويل الاحاديث والله غالب على امره ولاكن اكثر الناس لا يعلمون ٢١ ولما بلغ اشده اتيناه حكما وعلما وكذالك نجزي المحسنين ٢٢
وَقَالَ ٱلَّذِى ٱشْتَرَىٰهُ مِن مِّصْرَ لِٱمْرَأَتِهِۦٓ أَكْرِمِى مَثْوَىٰهُ عَسَىٰٓ أَن يَنفَعَنَآ أَوْ نَتَّخِذَهُۥ وَلَدًۭا ۚ وَكَذَٰلِكَ مَكَّنَّا لِيُوسُفَ فِى ٱلْأَرْضِ وَلِنُعَلِّمَهُۥ مِن تَأْوِيلِ ٱلْأَحَادِيثِ ۚ وَٱللَّهُ غَالِبٌ عَلَىٰٓ أَمْرِهِۦ وَلَـٰكِنَّ أَكْثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ ٢١ وَلَمَّا بَلَغَ أَشُدَّهُۥٓ ءَاتَيْنَـٰهُ حُكْمًۭا وَعِلْمًۭا ۚ وَكَذَٰلِكَ نَجْزِى ٱلْمُحْسِنِينَ ٢٢
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

২১-২২ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআ’লা খবর দিচ্ছেন যে, মিসরের যে লোকটি হযরত ইউসুফ (আঃ) কে ক্রয় করেছিলেন, আল্লাহ তাঁর অন্তরে তাঁর মর্যাদা ও ব্যক্তিত্বের ভাল জাগিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি হযরত ইউসুফের (আঃ) চেহারায় নূরাণী ঔজ্জ্বল্যের ভাব লক্ষ্য করেই বুঝে ফেলে ছিলেন যে, তার মধ্যে মঙ্গল ও যোগ্যতা নিহিত রয়েছে। লোকটি ছিলেন মিসরের উযীর। হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তাঁর নাম ছিল কিত্‌ফীর। আর মুহাম্মদ ইবনু ইসহাক (রঃ) বলেন যে, তাঁর নাম ছিল ইতফীর ইবনু রাওহীব। আর তিনিই হচ্ছেন আযীয। তিনি মিসরের কোষাগারের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। ঐ সময় মিসরের বাদশাহ ছিলেন রাইয়ান ইবনু ওয়ালীদ। তিনি আমালীকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। মিসরের আযীযের স্ত্রীর নাম ছিল রাঈল বিনতু রাআ’বীল। কেউ কেউ তার নাম যুলাইখাও বলেছেন। হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, মিসরের যে লোকটি হযরত ইউসুফকে (আঃ) ক্রয় করেছিলেন তাঁর নাম ছিল মালিক ইবনু যাআর ইবনু কারীব ইবনু আনাক ইবনু মাদইয়ান ইবনু ইবরাহীম। এ সব ব্যাপারে সঠিক জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ তাআ’লারই রয়েছে।হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন যে, পরিণামদর্শী ও বুদ্ধি বলে অনুমান করতে ও বুঝে নিতে সক্ষম তিন ব্যক্তি অতীত হয়েছেন। প্রথম হচ্ছেন মিসরের এই আযীয, যিনি হযরত ইউসুফকে (আঃ) এক নযর দেখা মাত্রই তাঁর মর্যাদা বুঝে ফেলেন। তাই বাড়ীতে তাকে নিয়ে গিয়েই স্বীয় স্ত্রীকে বলেনঃ “সম্মানজনকভাবে এর থাকবার ব্যবস্থা কর।”দ্বিতীয়া হচ্ছেন (হযরত শুআ’ইবের আঃ) ঐ মেয়েটি যিনি (হযরত মূসা (আঃ) সম্পর্কে) তাঁর পিতাকে বলেছিলেনঃ হে পিতঃ! আপনি একে মজুর নিযুক্ত করুন, কারণ আপনার মজুর হিসাবে উত্তম হবে সেই ব্যক্তি যে শক্তিশালী, বিশ্বস্ত (আর এই ব্যক্তির মধ্যে এই গুণ বিদ্যমান রয়েছে)।’তৃতীয় হচ্ছেন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ)। তিনি দুনিয়া হতে বিদায় গ্রহণের সময় খিলাফতের দায়িত্বভার হযরত উমার ইবনু খত্তাবের (রাঃ) হাতে অর্পণ করে যান।আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ যেমন আমি ইউসুফকে (আঃ) তার ভাইদের যুলুম হতে রক্ষা করেছি তেমনি তাকে যমীনে অর্থাৎ মিসরে প্রতিষ্ঠিত করেছি। কেননা আমার ইচ্ছা পূর্ণ হবার ছিল যে, আমি তাকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা দান শিক্ষা দেবো। আল্লাহর ইচ্ছাকে কে রোধ করতে পারে? কে পারে তার বিরোধিতা করতে? তিনি সবারই উপর ব্যাপক ক্ষমতাবান। তার সামনে সবাই অক্ষম ও অপারগ। তিনি যা ইচ্ছা করেন তাই করে থাকেন। কিন্তু অধিকাংশ লোকই এটা অবগত নয়। তারা না মানে তার কলাকৌশল, না রয়েছে তাদের তাঁর সূক্ষ্মদর্শিতা সম্পর্কে কোন অবগতি। তারা তাঁর হিকমত বুঝে উঠতেই পারে না।হযরত ইউসুফ (আঃ) যখন প্রাপ্ত বয়সে পৌঁছলেন এবং তাঁর বিবেক-বুদ্ধি পূর্ণতা প্রাপ্ত হলো তখন মহান আল্লাহ তাঁকে নুবওয়াত দান করলেন এবং তাঁকে তাঁর বিশিষ্ট বান্দারূপে মনোনীত করলেন। এটা কোন নতুন কথা নয়। এভাবেই আল্লাহ তাআ’লা সকর্মশীল লোকদেরকে প্রতিদান প্রদান করে থাকেন।হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, ঐ সময় তাঁর বয়স হয়েছিল তেত্রিশ বছর। যহ্‌হাক (রঃ) বলেন যে, ঐ সময় তাঁর বয়স বিশ বছর হয়েছিল। হযরত হাসান (রঃ) চল্লিশ বছর বলেছেন। হযরত ইকরামা (রঃ) বলেন যে, ঐ সময় তিনি পঁচিশ বছর বয়স্ক ছিলেন। সুদ্দী (রঃ) ত্রিশ বছর বলেছেন। আর সাঈদ ইবনু জুবাইর (রঃ) বলেছেন আঠারো বছর। ইমাম মা’লিক (রঃ) রাবী’আ' ইবনু যায়েদ ইবনু আসলাম (রঃ) এবং শা’বী (রঃ) বলেন যে, (আরবি) দ্বারা যৌবনে পদার্পণ করা বুঝানো হয়েছে। এছাড়া আরো উক্তি রয়েছে। এ সব ব্যাপারে আল্লাহ তাআ’লাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।