11:53至11:56节的经注
قالوا يا هود ما جيتنا ببينة وما نحن بتاركي الهتنا عن قولك وما نحن لك بمومنين ٥٣ ان نقول الا اعتراك بعض الهتنا بسوء قال اني اشهد الله واشهدوا اني بريء مما تشركون ٥٤ من دونه فكيدوني جميعا ثم لا تنظرون ٥٥ اني توكلت على الله ربي وربكم ما من دابة الا هو اخذ بناصيتها ان ربي على صراط مستقيم ٥٦
قَالُوا۟ يَـٰهُودُ مَا جِئْتَنَا بِبَيِّنَةٍۢ وَمَا نَحْنُ بِتَارِكِىٓ ءَالِهَتِنَا عَن قَوْلِكَ وَمَا نَحْنُ لَكَ بِمُؤْمِنِينَ ٥٣ إِن نَّقُولُ إِلَّا ٱعْتَرَىٰكَ بَعْضُ ءَالِهَتِنَا بِسُوٓءٍۢ ۗ قَالَ إِنِّىٓ أُشْهِدُ ٱللَّهَ وَٱشْهَدُوٓا۟ أَنِّى بَرِىٓءٌۭ مِّمَّا تُشْرِكُونَ ٥٤ مِن دُونِهِۦ ۖ فَكِيدُونِى جَمِيعًۭا ثُمَّ لَا تُنظِرُونِ ٥٥ إِنِّى تَوَكَّلْتُ عَلَى ٱللَّهِ رَبِّى وَرَبِّكُم ۚ مَّا مِن دَآبَّةٍ إِلَّا هُوَ ءَاخِذٌۢ بِنَاصِيَتِهَآ ۚ إِنَّ رَبِّى عَلَىٰ صِرَٰطٍۢ مُّسْتَقِيمٍۢ ٥٦
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৫৩-৫৬ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআ’লা সংবাদ দিচ্ছেন যে, হযরত হূদের (আঃ) কওম তাঁর উপদেশ শুনে তাঁকে বললো: “হে হূদ (আঃ)! তুমি যেই দিকে আমাদেরকে আহ্‌বান করছে তার তো কোন দলিল প্রমাণ আমাদের সামনে পেশ করছো না। আর আমরা এটা করতে পারি না যে, তোমার কথায় আমাদের মাবুদমা’বুদগুলির উপাসনা পরিত্যাগ করবো। আমরা এগুলি ছাড়বোও না এবং তোমাকে সত্যবাদী মেনে নিয়ে তোমার উপর ঈমানও আনবো না। বরং আমাদের তো ধারণা এই যে, যেহেতু তুমি আমাদেরকে আমাদের মাবুদমা’বুদগুলির উপাসনা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে এবং তাদের প্রতি দোষারোপ করছে, সেই হেতু তারা তোমার এই জ্বালাতন সহ্য করতে পারে নাই। তাই, তাদের কারো মার তোমার উপর পতিত হয়েছে। ফলে তোমার মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটেছে। তাদের এই কথা শুনে আল্লাহর নবী হযরত হূদ (আঃ) তাদেরকে বললেনঃ ‘যদি তাই হয় তবে জেনে রেখোঁরেখো যে, আমি শুধু তোমাদেরকেই নয়, বরং স্বয়ং আল্লাহ তাআ’লাকেও সাক্ষী রেখে ঘোষণা করছি যে, আল্লাহ ছাড়া যেসব মা'বুদের ইবাদত করা হচ্ছে আমি তাদের থেকে সম্পূর্ণরূপে বিমুখ ও মুক্ত। এখন শুধু তোমরা নও, বরং তোমাদের এই সব মিথ্যা ও বাজে মাবুদমা’বুদকেও ডেকে নাও এবং তোমরা সবাই মিলে যত পার আমার ক্ষতি সাধন কর। আর আমাকে মোটেই অবকাশ দিয়ো না এবং আমার প্রতি কোন সমবেদনাও প্রকাশ করো না। আমার ক্ষতি সাধন করার তোমাদের যতদূর ক্ষমতা থাকে তা প্রয়োগ করতে বিন্দুমাত্র ত্রুটি করো না। আমার ভরসা একমাত্র আল্লাহর উপর। যিনি আমার ও তোমাদের সকলেরই মালিক। তাঁর ইচ্ছা ছাড়া আমার ক্ষতি করার কারো সাধ্য নেই। এমন কেউ নেই যে, তাঁর হুকুম অমান্য করে তাঁর রাজ্য ও রাজত্ব হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। তিনি ন্যায় বিচারক। তিনি কখনো অত্যাচার করেন না। তিনি সরল ও সঠিক পথে রয়েছেন। বান্দাদের ঝুটি তাঁর হাতের মুঠের মধ্যে রয়েছে। সন্তানের উপর পিতামাতার যে দয়া রয়েছে, মুমিনমু’মিন বান্দার উপর আল্লাহর দয়া এর চেয়ে বহুগুণ বেশি রয়েছে। তিনি পরমদাতা ও দয়ালু। তাঁর দান ও দয়ার কোন শেষ নেই। এ কারণেই কতকগুলি লোক বিভ্রান্ত ও উদাসীন হয়ে পড়ে।'হযরত হূদের (আঃ) এই কথাগুলির প্রতি লক্ষ্য করা যাক। তিনি আদি সম্প্রদায়ের জন্যে তাঁর এই উক্তির মধ্যে আল্লাহর একত্ববাদের বহু দলিল বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আল্লাহ ছাড়া কেউ যখন লাভ ও ক্ষতির মালিক নয়, তিনি ছাড়া কারো কোন জিনিসের উপর যখন কোন অধিকার নেই, তখন একমাত্র তিনিই যে উপাসনার যোগ্য এটা প্রমাণিত হয়ে গেল। আর তোমরা তাকে ছাড়া যে সব মা'বুদের ইবাদত করছো সেই সবগুলি বাতিল সাব্যস্ত হলো। আল্লাহ তাআ’লা তাদের থেকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র। আধিপত্য, ব্যবস্থাপনা, অধিকার এবং ইখতেয়ার একমাত্র তাঁরই। সবাই তাঁর কর্তৃত্বাধীন। তিনি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই।