11:109至11:111节的经注
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

১০৯-১১১ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআ’লা বলছেনঃ হে নবী (সঃ)! মুশরিকরা যে শরীক স্থাপন করছে তা যে সম্পূর্ণ রূপে বাতিল ও ভিত্তিহীন এ ব্যাপারে তুমি মোটেই সন্দেহ করোনা। তাদের কাছে তাদের বাপ-দাদাদের প্রচলিত রীতি ছাড়া আর কোন দলীল নেই। তাদের সৎ কার্যের বিনিময় তাদেরকে দুনিয়াতেই দিয়ে দেয়া হবে। আখেরাতে তাদের কোনই অংশ নেই। সুতরাং সেখানে তাদের প্রাপ্য হবে কঠিন শাস্তি। নিশ্চয় আমি তাদেরকে তাদের অংশ পূর্ণভাবে দিয়ে দেবো, একটুও কম না করে আল্লাহ পাকের এই উক্তি সম্পর্কে হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ তাদের সঙ্গে ভাল ও মন্দের যে ওয়াদা করা হয়েছে তা পুরোপুরিভাবে প্রদান করা হবে, একটুও কম করা হবে না। তাদের নির্ধারিত অংশ তারা অবশ্যই পাবে।মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি মূসাকে (আঃ) কিতাব দিয়েছিলাম। অনন্তর তাতে মতভেদ সৃষ্টি করা হয়। কেউ স্বীকার করে নেয় এবং কেউ অস্বীকার করে। সুতরাং হে নবী (সঃ)! তোমার অবস্থাও তোমার পুর্ববর্তী নবীদের মতই হবে। কেউ মানবে এবং কেউ প্রত্যাখ্যান করবে। যেহেতু আমি সময় নির্দিষ্ট করে রেখেছি এবং দলীল প্রমাণাদি পূর্ণ করার পূর্বে আমি শাস্তি প্রদান করি না, সেহেতু আমি এদেরকে শাস্তি প্রদানে বিলম্ব করছি। অন্যথায় এখনই এদেরকে আমি শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করাতাম। কাফিরদের কাছে আল্লাহ ও তার রাসূলের কথা ভুলই মনে হয়। তাদের সন্দেহ-সংশয় দূর হয় না। আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ নিশ্চিতরূপে সকলেই এইরূপ যে, তোমার প্রতিপালক তাদেরকে তাদের কর্মের পূর্ণ অংশ প্রদান করবেন; নিশ্চয়ই তিনি তাদের কার্যকলাপের পূর্ণ খবর রাখেন। অর্থাৎ তিনি তাদের সমুদয় আমল সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিফহাল, তা গুরুত্বপূর্ণই হোক বা নগণ্যই হোক এবং ছোটই হোক বা বড়ই হোক। এই আয়াতে বহু পঠন রয়েছে, যে গুলির অর্থ এই দিকেই ফিরে আসে যা আমরা উল্লেখ করেছি। যেমন আল্লাহ তাআ’লার নিম্নের উক্তিতে রয়েছেঃ (আরবি)অর্থাৎ “ (পর লোকে) তাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যাকে সমবেত ভাবে আমার সামনে হাযির করা হবে না।” (৩৬:৩২)