وَمِنْهُمْ
مَّنْ
یَّسْتَمِعُ
اِلَیْكَ ۚ
وَجَعَلْنَا
عَلٰی
قُلُوْبِهِمْ
اَكِنَّةً
اَنْ
یَّفْقَهُوْهُ
وَفِیْۤ
اٰذَانِهِمْ
وَقْرًا ؕ
وَاِنْ
یَّرَوْا
كُلَّ
اٰیَةٍ
لَّا
یُؤْمِنُوْا
بِهَا ؕ
حَتّٰۤی
اِذَا
جَآءُوْكَ
یُجَادِلُوْنَكَ
یَقُوْلُ
الَّذِیْنَ
كَفَرُوْۤا
اِنْ
هٰذَاۤ
اِلَّاۤ
اَسَاطِیْرُ
الْاَوَّلِیْنَ
۟
3

আর তাদের মধ্যে কিছু লোক তোমার দিকে কান পেতে রাখে,[১] কিন্তু আমি তাদের অন্তরের উপর আবরণ দিয়েছি যেন তারা তা উপলব্ধি করতে না পারে এবং তাদেরকে বধির করেছি।[২] সমস্ত নিদর্শন প্রত্যক্ষ করলেও তারা তাতে বিশ্বাস করবে না। এমন কি তারা যখন তোমার নিকট উপস্থিত হয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয়, তখন অবিশ্বাসীগণ বলে, ‘এ তো সে কালের উপকথা ব্যতীত আর কিছুই নয়।’[৩]

[১] অর্থাৎ, এই মুশরিকরা তোমার কাছে এসে কুরআন তো শোনে, কিন্তু হিদায়াত লাভের উদ্দেশ্য না থাকার কারণে তা তাদের জন্য ফলপ্রসূ হয় না।

[২] এ ছাড়াও কুফরীর ফলস্বরূপও তাদের অন্তরে আমি আবরণ রেখে দিয়েছি এবং তাদের কান বোঝাল করে দিয়েছি। ফলে তাদের অন্তর সত্য কথা বুঝতে অক্ষম এবং তাদের কান সত্য শুনতে অপারগ।

[৩] এখন ওরা ভ্রষ্টতার এমন ফাঁদে ফেঁসে গেছে যে, বৃহৎ থেকে বৃহত্তর মু'জিযাও যদি তারা দেখে নেয়, তবুও ঈমান আনার তাওফীক লাভ থেকে বঞ্চিতই থাকবে এবং তারা বিরুদ্ধাচরণ ও অমান্য করাতে এমন সীমা ছাড়িয়ে গেছে যে, কুরআন কারীমকে পূর্ববর্তীদের কেচ্ছা-কাহিনী বৈ কিছুই ভাবে না।