۞ يوم يجمع الله الرسل فيقول ماذا اجبتم قالوا لا علم لنا انك انت علام الغيوب ١٠٩
۞ يَوْمَ يَجْمَعُ ٱللَّهُ ٱلرُّسُلَ فَيَقُولُ مَاذَآ أُجِبْتُمْ ۖ قَالُوا۟ لَا عِلْمَ لَنَآ ۖ إِنَّكَ أَنتَ عَلَّـٰمُ ٱلْغُيُوبِ ١٠٩
یَوْمَ
یَجْمَعُ
اللّٰهُ
الرُّسُلَ
فَیَقُوْلُ
مَاذَاۤ
اُجِبْتُمْ ؕ
قَالُوْا
لَا
عِلْمَ
لَنَا ؕ
اِنَّكَ
اَنْتَ
عَلَّامُ
الْغُیُوْبِ
۟
3

নবী রাসূলদেরকে যেসব কওমের নিকট পাঠানো হয়েছিল তারা তাঁদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছিল কি দেয়নি সে সম্পর্কে আল্লাহ তাদেরকে কিয়ামতের দিন কিভাবে সম্বোধন করবেন তাই এ আয়াতে বলা হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ অন্য জায়গায় বলেছেন (আরবী) অর্থাৎ “যাদের কাছে রাসূলদের পাঠানো হয়েছিলো তাদেরকেও আমি জিজ্ঞেস করবো এবং রাসূলদেরকেও জিজ্ঞেস করবো।” অন্যত্র বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “তোমার প্রভুর শপথ! আমি তাদের সকলকেই তাদের আমল সম্পর্কে অবশ্যই জিজ্ঞেস করবো।”(১৫:৯২) রাসূলগণ উত্তরে বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমাদের কিছুই জানা নেই।” সেদিনের ভয়াবহ অবস্থা দেখেই তাঁদের এ উত্তর হবে। তারা সেদিন ভীত-সন্ত্রস্ত হবেন বলেই তাদের মুখ দিয়ে কোন উত্তর বের হবে না। বরং বলে ফেলবেন- “আমাদের কিছুই জানা নেই।” অতঃপর যখন কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন, তখন নিজের কওম সম্পর্কে সঠিক সাক্ষ্য প্রদান করবেন। কিন্তু তাদের প্রথম উক্তি এরূপই হবে- “হে আল্লাহ! আমরা তো এ সম্পর্কে কিছুই বলতে পারবো না। আপনি তো আলেমুল গায়েব। আপনার মোকাবিলায় আমাদের জ্ঞান থাকতে পারে? এতে কোনই সন্দেহ নেই যে, ভদ্রতা হিসেবে এটা অতি উত্তম জবাবই বটে- “আপনার ব্যাপক জ্ঞানের কাছে আমাদের জ্ঞান অতি তুচ্ছ ও নগণ্য। আমাদের জ্ঞানের ভিত্তি হচ্ছে শুধুমাত্র বাহিকের উপর। পক্ষান্তরে আপনার জ্ঞান আভ্যন্তরীণ সংবাদও রাখে। কেননা, আপনি হচ্ছেন ‘আল্লামুল গুয়ূব বা অদৃশ্য সম্পর্কে সম্যক অবগত। সুতরাং আমাদের উম্মতবর্গ কি জবাব দিয়েছিল তা আপনি ভাল জানেন। কে যে কপটতামূলক আমল করেছে এবং কে বিশ্বাসমূলক কাজ করেছে এই জ্ঞান তো আমাদের নেই, বরং আপনারই আছে।”