آپ 37:180 سے 37:182 آیات کے گروپ کی تفسیر پڑھ رہے ہیں
سُبْحٰنَ
رَبِّكَ
رَبِّ
الْعِزَّةِ
عَمَّا
یَصِفُوْنَ
۟ۚ
وَسَلٰمٌ
عَلَی
الْمُرْسَلِیْنَ
۟ۚ
وَالْحَمْدُ
لِلّٰهِ
رَبِّ
الْعٰلَمِیْنَ
۟۠
3

১৮০-১৮২ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ্ তা'আলা সেই সমুদয় বিষয় হতে নিজের পবিত্রতা বর্ণনা করছেন যেগুলো যালিম ও মিথ্যাবাদী মুশরিকরা তাঁর প্রতি আরোপ করে থাকে। যেমন তারা বলে যে, আল্লাহর সন্তান আছে ইত্যাদি। আল্লাহ্ তা'আলা অতি মহান এবং এমন মর্যাদার অধিকারী যা কখনো নষ্ট হবার নয়। ঐ মিথ্যাবাদী ও মিথ্যারোপকারী মুশরিকদের অপবাদ হতে তিনি সম্পূর্ণরূপে মুক্ত ও পবিত্র। আল্লাহর রাসূলদের (আঃ) প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। কেননা, তাঁদের কথাগুলো ঐসব দোষ হতে মুক্ত যেসব দোষ মুশরিকদের কথাগুলোর মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। নবীরা যেসব কথা বলেন এবং তারা মহান আল্লাহর সত্তার যে শাবলী বর্ণনা করে থাকেন সেগুলো সবই সঠিক ও সত্য। তাঁর সত্তার জন্যেই প্রশংসা শোভনীয়। দুনিয়া ও আখিরাতে শুরুতে ও শেষে প্রশংসা একমাত্র তাঁরই প্রাপ্য। সর্বাবস্থায়ই প্রশংসা প্রাপ্তির যোগ্য শুধুমাত্র তিনিই। তাঁর মহিমা ঘোষণা দ্বারা সর্ব প্রকারের ক্ষতি তাঁর পবিত্র সত্তা হতে দূর প্রমাণিত হয়। তাহলে এটা অতি আবশ্যকীয় যে, সর্বপ্রকারের পূর্ণতা তাঁর একক সত্তার মধ্যে থাকবে। এটাকেই পরিষ্কার ভাষায় হামদ বা প্রশংসা দ্বারা সাব্যস্ত করা হয়েছে, যাতে ক্ষতিসমূহ না সূচক হয় এবং পূর্ণতা হ্যা সূচক হয়। কুরআন কারীমের বহু আয়াতে তাসবীহ্ ও হামদের একই সাথে বর্ণনা দেয়া হয়েছে।হযরত কাতাদা (রঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “যখন তোমরা আমার উপর সালাম পাঠাবে তখন অন্যান্য নবীদের উপরও সালাম পাঠাবে। কেননা, তাঁদেরই মধ্যে আমিও একজন নবী।” (এ হাদীসটি ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন। মুসনাদে আহমাদেও এটা বর্ণিত আছে)হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) যখন সালামের ইচ্ছা করতেন তখন এই আয়াত তিনটি পড়ে সালাম করতেন। (এ হাদীসটি হাফিয আবু ইয়ালা (রঃ) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এর ইসনাদ দুর্বল)হযরত শা’বী (রঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন পরিমাপ যন্ত্র ভর্তি পুণ্য লাভ করতে চায় সে যেন কোন মজলিস হতে উঠে যাওয়ার সময় এই আয়াত তিনটি পাঠ করে।” (এ হাদীসটি ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন। মুসনাদে আহমাদে এ রিওয়াইয়াতটি হযরত আলী (রাঃ) হতে মাওকুফরূপে বর্ণিত হয়েছে)ইমাম তিবরানী (রঃ)-এর হাদীস গ্রন্থে হযরত আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামাযের পরে এ আয়াত তিনটি তিনবার পাঠ করবে সে পরিমাপ যন্ত্র ভরে ভরে পুণ্য লাভ করবে।”মজলিসের কাফফারার ব্যাপারে বহু হাদীসে নিম্নোক্ত কালেমাটি পাঠ করার কথা এসেছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “হে আল্লাহ! আমি আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি এবং আপনার প্রশংসা করছি। আপনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। আপনার নিকট আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও আপনার নিকট তাওবা করছি।” এই মাসআলার উপর আমি একটি স্বতন্ত্র কিতাব লিখেছি।