ولقد ضربنا للناس في هاذا القران من كل مثل ولين جيتهم باية ليقولن الذين كفروا ان انتم الا مبطلون ٥٨
وَلَقَدْ ضَرَبْنَا لِلنَّاسِ فِى هَـٰذَا ٱلْقُرْءَانِ مِن كُلِّ مَثَلٍۢ ۚ وَلَئِن جِئْتَهُم بِـَٔايَةٍۢ لَّيَقُولَنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِنْ أَنتُمْ إِلَّا مُبْطِلُونَ ٥٨
وَلَقَدْ
ضَرَبْنَا
لِلنَّاسِ
فِیْ
هٰذَا
الْقُرْاٰنِ
مِنْ
كُلِّ
مَثَلٍ ؕ
وَلَىِٕنْ
جِئْتَهُمْ
بِاٰیَةٍ
لَّیَقُوْلَنَّ
الَّذِیْنَ
كَفَرُوْۤا
اِنْ
اَنْتُمْ
اِلَّا
مُبْطِلُوْنَ
۟
3

আমি তো মানুষের জন্য এ কুরআনে সর্বপ্রকার দৃষ্টান্ত দিয়েছি,[১] তুমি যদি ওদের নিকট কোন নিদর্শনও উপস্থিত কর,[২] তাহলে অবিশ্বাসীরা অবশ্যই বলবে, ‘তোমরা তো মিথ্যাশ্রয়ী।’[৩]

[১] যাতে আল্লাহর একত্ববাদের প্রমাণ এবং রসূলগণের সত্যবাদিতার কথা স্পষ্ট করা হয়েছে। অনুরূপ শিরকের খন্ডন ও তার অসারতার কথাও পরিষ্কার করা হয়েছে।

[২] তা কুরআনে বর্ণিত কোন প্রমাণ হোক অথবা তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী কোন অলৌকিক ঘটনা ইত্যাদি হোক।

[৩] অর্থাৎ, যাদু ইত্যাদির অনুসারী। উদ্দেশ্য এই যে, যত বড়ই নিদর্শন এবং যত উজ্জ্বল প্রমাণই তারা প্রত্যক্ষ করুক না কেন, তবুও ঈমান আনবে না? তার কারণ পরে বর্ণনা করা হয়েছে যে, আল্লাহ তাআলা তাদের হৃদয়ে মোহর মেরে দিয়েছেন। যা এই কথারই নিদর্শন যে, তাদের কুফরী ও অবাধ্যতা এমন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, যার পরে সত্যের দিকে ফিরে যাওয়ার সকল পথ তাদের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে।