آپ 28:76 سے 28:77 آیات کے گروپ کی تفسیر پڑھ رہے ہیں
اِنَّ
قَارُوْنَ
كَانَ
مِنْ
قَوْمِ
مُوْسٰی
فَبَغٰی
عَلَیْهِمْ ۪
وَاٰتَیْنٰهُ
مِنَ
الْكُنُوْزِ
مَاۤ
اِنَّ
مَفَاتِحَهٗ
لَتَنُوْٓاُ
بِالْعُصْبَةِ
اُولِی
الْقُوَّةِ ۗ
اِذْ
قَالَ
لَهٗ
قَوْمُهٗ
لَا
تَفْرَحْ
اِنَّ
اللّٰهَ
لَا
یُحِبُّ
الْفَرِحِیْنَ
۟
وَابْتَغِ
فِیْمَاۤ
اٰتٰىكَ
اللّٰهُ
الدَّارَ
الْاٰخِرَةَ
وَلَا
تَنْسَ
نَصِیْبَكَ
مِنَ
الدُّنْیَا
وَاَحْسِنْ
كَمَاۤ
اَحْسَنَ
اللّٰهُ
اِلَیْكَ
وَلَا
تَبْغِ
الْفَسَادَ
فِی
الْاَرْضِ ؕ
اِنَّ
اللّٰهَ
لَا
یُحِبُّ
الْمُفْسِدِیْنَ
۟
3

৭৬-৭৭ নং আয়াতের তাফসীরহযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, কারূন ছিল হযরত মূসা (আঃ)-এর চাচাতো ভাই। ইবনে জুরায়েজ (রঃ) বলেন যে, তার নসবনামা (বংশ তালিকা) হলো: কারূন ইবনে ইয়াসহাব ইবনে কাহিস। ইবনে ইসহাক (রঃ)-এর মতে কারূন ছিল হযরত মূসা ইবনে ইমরান (আঃ)-এর চাচা। কিন্তু অধিকাংশ আলেম তাকে তার চাচাতো ভাই বলে থাকেন। কারূনের গলার স্বর ছিল খুবই সুমিষ্ট। সুমিষ্ট সুরে তাওরাত পাঠ করতো। কিন্তু সামেরী যেমন মুনাফিক ছিল, অনুরূপভাবে আল্লাহর এই শত্রুও মুনাফিক হয়ে গিয়েছিল। সে বড় সম্পদশালী ছিল বলে সম্পদের গর্বে গর্বিত হয়েছিল এবং আল্লাহকে ভুলে গিয়েছিল। তার কওমের মধ্যে সাধারণভাবে যে পোশাক প্রচলিত ছিল, সে ওর চেয়ে অর্ধহাত নীচু করে বানিয়েছিল, যাতে তার গর্ব ও ঐশ্বর্য প্রকাশ পায়। তার এতো বেশী ধন-সম্পদ ছিল যে, তার কোষাগারের চাবিগুলো উঠাবার জন্যে শক্তিশালী লোকদের একটি দল নিযুক্ত ছিল। তার অনেকগুলো কোষাগার ছিল এবং প্রত্যেক কোষাগারের চাবি ছিল পৃথক পৃথক, যা ছিল অর্ধহাত করে লম্বা। যখন ঐ চাবিগুলো তার সওয়ারীর সাথে খচ্চরগুলোর উপর বোঝাই করা হতো তখন এর জন্যে কপাল ও চারটি পা সাদা চিহ্নযুক্ত ষাটটি খচ্চর নির্ধারিত থাকতো। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই সবচেয়ে ভাল জানেন। তার কওমের সম্মানিত, সৎ ও আলেম লোকেরা যখন তার দম্ভ এবং ঔদ্ধত্য চরম সীমায় পৌঁছতে দেখলেন তখন তারা তাকে উপদেশ দিলেনঃ “এতো দাম্ভিকতা প্রকাশ করো না, আল্লাহর অকৃতজ্ঞ বান্দা হয়ো না, অন্যথায় তুমি তার কোপানলে পতিত হবে। জেনে রেখো যে, আল্লাহ দাম্ভিকদেরকে পছন্দ করেন না।” উপদেশদাতাগণ তাকে আরো বলতেনঃ “আল্লাহর দেয়া নিয়ামত যে তোমার নিকট রয়েছে। তদৃদ্বারা তার সন্তুষ্টি অনুসন্ধান কর এবং তার পথে ওগুলো হতে কিছু কিছু খরচ কর যাতে তুমি আখিরাতের অংশও লাভ করতে পার। আমরা একথা বলছি না যে, দুনিয়ায় তুমি সুখ ভোগ মোটেই করবে না। বরং আমরা বলি যে, তুমি দুনিয়াতেও ভাল খাও, ভাল পান কর, ভাল পোশাক পরিধান কর, বৈধ নিয়ামত দ্বারা উপকৃত হও এবং ভাল বিবাহ দ্বারা যৌন ক্ষুধা নিবারণ কর। কিন্তু নিজের চাহিদা পূরণ করার সাথে সাথে তুমি আল্লাহর হক ভুলে যেয়ো না। তিনি যেমন তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন তেমনি তুমি তাঁর সৃষ্টজীবের প্রতি অনুগ্রহ করো। জেনে রেখো যে, তোমার সম্পদে দরিদ্রদেরও হক রয়েছে। সুতরাং প্রত্যেক হকদারের হক তুমি আদায় করতে থাকো। আর তুমি পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না। মানুষকে কষ্ট দেয়া হতে বিরত থাকো এবং জেনে রেখো যে, যারা আল্লাহর মাখলুককে কষ্ট দেয় এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে তাদেরকে আল্লাহ ভালবাসেন না।”

اپنے Quran.com کے تجربے کو زیادہ سے زیادہ بنائیں!
ابھی اپنا دورہ شروع کریں:

0%