آپ 26:196 سے 26:199 آیات کے گروپ کی تفسیر پڑھ رہے ہیں
وانه لفي زبر الاولين ١٩٦ اولم يكن لهم اية ان يعلمه علماء بني اسراييل ١٩٧ ولو نزلناه على بعض الاعجمين ١٩٨ فقراه عليهم ما كانوا به مومنين ١٩٩
وَإِنَّهُۥ لَفِى زُبُرِ ٱلْأَوَّلِينَ ١٩٦ أَوَلَمْ يَكُن لَّهُمْ ءَايَةً أَن يَعْلَمَهُۥ عُلَمَـٰٓؤُا۟ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ ١٩٧ وَلَوْ نَزَّلْنَـٰهُ عَلَىٰ بَعْضِ ٱلْأَعْجَمِينَ ١٩٨ فَقَرَأَهُۥ عَلَيْهِم مَّا كَانُوا۟ بِهِۦ مُؤْمِنِينَ ١٩٩
وَاِنَّهٗ
لَفِیْ
زُبُرِ
الْاَوَّلِیْنَ
۟
اَوَلَمْ
یَكُنْ
لَّهُمْ
اٰیَةً
اَنْ
یَّعْلَمَهٗ
عُلَمٰٓؤُا
بَنِیْۤ
اِسْرَآءِیْلَ
۟ؕ
وَلَوْ
نَزَّلْنٰهُ
عَلٰی
بَعْضِ
الْاَعْجَمِیْنَ
۟ۙ
فَقَرَاَهٗ
عَلَیْهِمْ
مَّا
كَانُوْا
بِهٖ
مُؤْمِنِیْنَ
۟ؕ
3

১৯৬-১৯৯ নং আয়াতের তাফসীরমহান আল্লাহ বলেন যে, পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবগুলোর মধ্যেও এই শেষ পবিত্র কিতাব আল-কুরআনের ভবিষ্যদ্বাণী, এর সত্যতা এবং বিশেষণ বিদ্যমান রয়েছে। পূর্ববর্তী নবীরাও এর সুসংবাদ দিয়েছেন, এমনকি এই সব নবী (আঃ)-এর শেষ নবী, যার পরে হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) পর্যন্ত আর কোন নবী ছিলেন না, অর্থাৎ হযরত ঈসা (আঃ) বানী ইসরাঈলকে একত্রিত করে যে ভাষণ দিয়েছিলেন তাতে তিনি বলেছিলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “স্মরণ কর, যখন মারইয়াম তনয় ঈসা (আঃ) বলেছিলঃ হে বানী ইসরাঈল! আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল এবং আমার পূর্ব হতে তোমাদের নিকট যে তাওরাত রয়েছে আমি তার সমর্থক এবং আমার পরে আহমাদ (সঃ) নামে যে রাসূল আসবে আমি তার সুসংবাদদাতা।” (৬১:৬)(আরবি) শব্দটি (আরবি) শব্দের বহুবচন। (আরবি) হযরত দাউদ (আঃ)-এর কিতাবের নাম। (আরবি)শব্দটি এখানে কিতাবসমূহের অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “তারা যা কিছু করছে সবই কিতাবসমূহে লিপিবদ্ধ রয়েছে। (৫৪: ৫২)অতঃপর বলা হচ্ছেঃ যদি তারা বুঝে ও হঠকারিতা না করে তবে এটা কি করআন কারীমের সত্যতার কম বড় দলীল যে, স্বয়ং বানী ইসরাঈলের আলেমরা এটা মেনে থাকে? যারা সত্যবাদী ও যারা হঠকারী নয় তারা তাওরাতের ঐ আয়াতগুলো জনগণের সামনে প্রকাশ করছে যেগুলোতে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর প্রেরিতত্ব, কুরআনের উল্লেখ এবং রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সত্যতার সংবাদ রয়েছে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রাঃ), হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) এবং তাদের ন্যায় সত্য উক্তিকারী মহোদয়গণ দুনিয়ার সামনে তাওরাত ও ইঞ্জীলের ঐ সমুদয় আয়াত রেখে দেন যেগুলো নবী (সঃ)-এর মাহাত্ম ও গুণাবলী প্রকাশকারী।পরবর্তী আয়াতের ভাবার্থ হচ্ছেঃ আমি যদি এই কালাম কোন আজমীর উপর অবতীর্ণ করতাম এবং সে ওটা মুশরিকদের নিকট পাঠ করতো তবে তখনো তারা এতে ঈমান আনতো না। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ অন্য জায়গায় বলেছেনঃ “আমি যদি তাদের জন্যে আকাশের দরও খুলে দিতাম এবং তারা আকাশে চড়েও যেতো তবুও তারা বলতো-আমাদেরকে নেশা পান করিয়ে দেয়া হয়েছে এবং আমাদের চোখের উপর পর্দা ফেলে দেয়া হয়েছে।” আর একটি আয়াতে রয়েছেঃ “যদি তাদের কাছে ফেরেশতারাও এসে পড়তে এবং যদি মৃতরাও কথা বলে উঠতো তবুও তারা ঈমান আনতো না। তাদের প্রতি শাস্তির কথা বাস্তবায়িত হয়েছে এবং তাদের জন্যে হিদায়াতের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সুতরাং তারা ঈমান আনবে না।