آپ 20:105 سے 20:108 آیات کے گروپ کی تفسیر پڑھ رہے ہیں
وَیَسْـَٔلُوْنَكَ
عَنِ
الْجِبَالِ
فَقُلْ
یَنْسِفُهَا
رَبِّیْ
نَسْفًا
۟ۙ
فَیَذَرُهَا
قَاعًا
صَفْصَفًا
۟ۙ
لَّا
تَرٰی
فِیْهَا
عِوَجًا
وَّلَاۤ
اَمْتًا
۟ؕ
یَوْمَىِٕذٍ
یَّتَّبِعُوْنَ
الدَّاعِیَ
لَا
عِوَجَ
لَهٗ ۚ
وَخَشَعَتِ
الْاَصْوَاتُ
لِلرَّحْمٰنِ
فَلَا
تَسْمَعُ
اِلَّا
هَمْسًا
۟
3

১০৫-১০৮ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবীকে (সঃ) বলছেনঃ তোমাকে জনগণ জিজ্ঞেস করছে যে, কিয়ামতের দিন এই পাহাড়গুলি বাকী থাকবে কি না? তুমি উত্তরে তাদেরকে বলে দাও আমার প্রতিপালক ওগুলিকে সমূলে উৎপাটন করে বিক্ষিপ্ত করে দিবেন। ওগুলি চলছে, ফিরছে বলে মনে হবে এবং শেষে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাবে। অতঃপর তিনি ওকে পরিণত করবেন মসৃণ সমতল ময়দানে। (আরবী) শব্দের অর্থ হলো মসৃণ সমতল ময়দান এবং (আরবী) শব্দকে ওরই গুরত্বের জন্যে আনা হয়েছে। আবার (আরবী) এর অর্থ বর্ধন হীন যমীনও হয়। কিন্তু প্রথম অর্থটি উৎকৃষ্টতর। আর দ্বিতীয় অর্থটিও অপরিহার্য। না যমীনে কোন উপত্যকা থাকবে, না কোন টিলা থাকবে, না থাকবে, উঁচু-নীচু। এই ভীতিপ্রদ অবস্থার সাথে সাথেই এক শব্দকারী শব্দ করবে। সমস্ত সৃষ্টজীব ঐ শব্দের পিছনে ছুটবে। দৌড়তে দৌড়তে হুকুম অনুযায়ী একদিকে চলতে থাকবে। এদিক ওদিকও হবে না এবং বক্র পথেও চলবে না। হায়! দুনিয়ায় যদি এই ব্যবহার ও চলন থাকতো এবং আল্লাহর আদেশ নিষেধ মেনে চলা হতো! কিন্তু সেই দিন এই ব্যবহার ও চালচলন কোন কাজে আসবে না। সেই দিন তো মানুষ আল্লাহ তাআলার হুকুম খুবই মান্যকারী হয়ে যাবে এবং হুকুমের সাথে সাথেই তা পালন করবে হাশরের মাঠ হবে অন্ধকার জায়গা। আকাশকে জড়িয়ে নেয়া হবে। নক্ষত্ররাজি ঝরে ঝরে পড়ে যাবে এবং সুর্য চন্দ্র নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আওয়াজ দাতার আওয়াজেই সব দাড়িয়ে যাবে। ঐ একই ময়দানে সমস্ত সৃষ্টজীব একত্রিত হবে। সেইদিন দয়াময় আল্লাহ তাআলার সামনে সকল শব্দ স্তব্ধ হয়ে যাবে। সুতরাং মৃদু পদধ্বনি ছাড়া তুমি কিছুই শুনতে পাবে না। আল্লাহ তাআলার অনুমতি ক্রমে কোন কোন সময় কেউ কেউ কিছু বলবেও বটে। কিন্তু বলবে অত্যন্ত আদবের সাথে এবং চলবেও অত্যন্ত ভদ্রতার সাথে। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যেই দিন তারা আমার সামনে হাজির হবে সেই দিন কারো। ক্ষমতা ও সাহস হবে না যে, আমার অনুমতি ছাড়া মুখ খুলতে পারে। তাদের মধ্যে কেউ হবে হতভাগ্য এবং কেউ হবে ভাগ্যবান।” (১১:১০৫)