الرَّحْمٰنِ
الرَّحِیْمِ
۟ۙ
3

৩ নং আয়াতের তাফসীর:

“আর রহমান ও আর রহীম” এ দু’টি আল্লাহ তা‘আলার সুউচ্চ গুণাবলী এবং সুন্দর সুন্দর নামসমূহের মধ্যে অন্যতম। الرَّحْمٰنِ (আর রহমান) ও الرَّحِیْمِ (আর রহীম) উভয়টি رَحْمَةٌ (রহমাতুন) শব্দ থেকে গৃহীত। আবার কেউ বলেছেন, এগুলো কোন শব্দ থেকে গৃহীত নয়।

الرَّحْمٰنِ (আর রহমান) নামটি الرَّحِیْمِ (আর রহীম) থেকে ব্যাপক ও বিস্তৃত। আল্লাহ তা‘আলা মু’মিন ও কাফিরসহ দুনিয়ার সকল মাখলুকের জন্য রহমান বা দয়াময়, আর রহীম বা দয়ালু পরকালে শুধু মু’মিনদের জন্য। (আযওয়াউল বায়ান, অত্র আয়াতের তাফসীর)

প্রসিদ্ধ তাবিঈ আবদুল্লাহ বিন মুবারক (রহঃ) বলেন: الرَّحْمٰنِ (আর রহমান) নামে যখন চাওয়া হয় তখন প্রদান করা হয়। আর الرَّحِیْمِ (আর রহীম) নামে যখন চাওয়া হয় না তখন তিনি রাগ করেন। এ অর্থেই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাণী:

مَنْ لَمْ يَسْأَلِ اللّٰهَ يَغْضَبْ عَلَيْهِ)

যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার কাছে চায় না, তিনি তার প্রতি রাগ করেন। (তিরমিযী হা: ৩৩৭৩, সহীহ; ইবনে কাসীর)

ইবনে জারীর আত-তাবারী (রহঃ) তাঁর স্বীয় তাফসীর গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন .......আল আরযামী (রহঃ) বলেন: (الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ) দয়াময় ও দয়ালু, الرَّحْمٰنِ (আর রহমান) বা দয়াময় সকল সৃষ্টি জীবের জন্য, আর الرَّحِيْمِ (আর রহীম) বা দয়ালু শুধু মু’মিনদের জন্য। (তাফসীর তাবারী, ১/১১৭) এ জন্য আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(ثُمَّ اسْتَوٰي عَلَي الْعَرْشِ الرَّحْمٰنِ)

“অতঃপর আরশের ওপর সমুন্নত হলেন দয়াময় আল্লাহ।” (সূরা ফুরকান ২৫:৫৯)

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:

(اَلرَّحْمٰنُ عَلَي الْعَرْشِ اسْتَوٰي)

“দয়াময় আল্লাহ আরশের ওপর সমুন্নত।”(সূরা ত্বহা ২০:৫) এখানে আল্লাহ তা‘আলা তার রহমান নাম দ্বারা আরশের ওপর সমুন্নত হবার কথা উল্লেখ করেছেন যাতে সকল মাখলুককে তার রহমতে শামিল করে নেন।

অপরপক্ষে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(وَكَانَ بِالْمُؤْمِنِيْنَ رَحِيْمًا)

“তিনি মু’মিনদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু।”(সূরা আহযাব ৩৩:৪৩) এখানে তাঁর রহীম নাম শুধু মু’মিনদের সাথে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছেন।

মুফাসসিরগণ বলেন: এ আয়াতদ্বয় প্রমাণ করে যে, রহমান গুণটি রহীম থেকে ব্যাপক যা উভয়কালের সকল মাখলুকের জন্য প্রযোজ্য। আর রহীম শুধু মু’মিনদের জন্য সীমাবদ্ধ। (ইবনু কাসীর, ১/৭৬, অত্র আয়াতের তাফসীর)

الرَّحْمٰنُ (আর রহমান) নামটি আল্লাহ তা‘আলার সাথে খাস। এ নামে অন্য কাউকে নামকরণ করা বৈধ নয়। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(قُلِ ادْعُوا اللّٰهَ أَوِ ادْعُوا الرَّحْمٰنَ أَيًّا مَّا تَدْعُوا فَلَهُ الْأَسْمَا۬ءُ الْحُسْنٰي)

“বল:‎ ‘তোমরা ‘আল্লাহ’নামে আহ্বান কর‎ বা ‘রহমান’নামে আহ্বান কর‎, তোমরা যে নামেই আহ্বান কর‎ সকল সুন্দর নামই তো তাঁর।”(সূরা ইসরা ১৭:১১০)

اپنے Quran.com کے تجربے کو زیادہ سے زیادہ بنائیں!
ابھی اپنا دورہ شروع کریں:

0%