68:42 ile 68:47 arasındaki ayetler grubu için bir tefsir okuyorsunuz
يوم يكشف عن ساق ويدعون الى السجود فلا يستطيعون ٤٢ خاشعة ابصارهم ترهقهم ذلة وقد كانوا يدعون الى السجود وهم سالمون ٤٣ فذرني ومن يكذب بهاذا الحديث سنستدرجهم من حيث لا يعلمون ٤٤ واملي لهم ان كيدي متين ٤٥ ام تسالهم اجرا فهم من مغرم مثقلون ٤٦ ام عندهم الغيب فهم يكتبون ٤٧
يَوْمَ يُكْشَفُ عَن سَاقٍۢ وَيُدْعَوْنَ إِلَى ٱلسُّجُودِ فَلَا يَسْتَطِيعُونَ ٤٢ خَـٰشِعَةً أَبْصَـٰرُهُمْ تَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌۭ ۖ وَقَدْ كَانُوا۟ يُدْعَوْنَ إِلَى ٱلسُّجُودِ وَهُمْ سَـٰلِمُونَ ٤٣ فَذَرْنِى وَمَن يُكَذِّبُ بِهَـٰذَا ٱلْحَدِيثِ ۖ سَنَسْتَدْرِجُهُم مِّنْ حَيْثُ لَا يَعْلَمُونَ ٤٤ وَأُمْلِى لَهُمْ ۚ إِنَّ كَيْدِى مَتِينٌ ٤٥ أَمْ تَسْـَٔلُهُمْ أَجْرًۭا فَهُم مِّن مَّغْرَمٍۢ مُّثْقَلُونَ ٤٦ أَمْ عِندَهُمُ ٱلْغَيْبُ فَهُمْ يَكْتُبُونَ ٤٧
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৪২-৪৭ নং আয়াতের তাফসীর উপরে যেহেতু বর্ণিত হয়েছিল যে, আল্লাহভীরুদের জন্যে নিয়ামত বিশিষ্ট জান্নাতসমূহ রয়েছে, সেই হেতু এখানে বর্ণনা দেয়া হচ্ছে যে, এই নিয়ামতরাশি তারা ঐ দিন লাভ করবে যেই দিন পদনালী খুলে দেয়া হবে, অর্থাৎ কিয়ামতের দিন, যেই দিন হবে চরম সংকটপূর্ণ, বড়ই ভয়াবহ, কম্পনযুক্ত এবং বড় বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ প্রকাশিত হওয়ার দিন। এখানে সহীহ বুখারীতে হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি নবী (সঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ “আমাদের প্রতিপালক তার পদনালী খুলে দিবেন। তখন প্রত্যেক মুমিন নর ও নারী সিজদায় পতিত হবে। হ্যাঁ, তবে দুনিয়ায় যারা লোক দেখানোর জন্যে সিজদা করতো সেও সিজদা করতে চাইবে। কিন্তু তার কোমর তক্তার মত হয়ে যাবে। অর্থাৎ সে সিজদা করতে পারবে না। (এ হাদীসটি সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম উভয় গ্রন্থেই রয়েছে এবং অন্যান্য হাদীস গ্রন্থসমূহেও আছে যা কয়েকটি সনদে শব্দের কিছু পরিবর্তনসহ বর্ণিত হয়েছে। এটি সুদীর্ঘ ও মাশহুর হাদীস)হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, এই ‘কাশকে সাক’ অর্থাৎ পদনালী খুলে যাওয়ার দ্বারা এটাই উদ্দেশ্য যে, ঐ দিন বিপদ, কষ্ট ও কাঠিন্যের দিন হবে, যেটাকে এখানে প্রচলিত অর্থে বলা হয়েছে। (এটি ইমাম ইবন জারীর (রঃ) বর্ণনা করেছে) ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) এটাকে অন্য সনদে সন্দেহের সাথে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) অথবা হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে (আরবি)-এর তাফসীরে এক বিরাট বিষয় বর্ণিত হয়েছে। যেমন কবি বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “যুদ্ধ তার পদনালী খুলে দিয়েছে।” এখানেও যুদ্ধের বিরাটত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। হযরত মুজাহিদ (রঃ) হতেও এটাই বর্ণিত হয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, কিয়ামতের দিন এই সময়টা হবে অত্যন্ত কঠিন। তিনি আরো বলেন যে, এ বিষয়টি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে এও বর্ণিত আছে যে, এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ যে সময় বিষয় খুলে যাবে এবং আমলসমূহ প্রকাশিত হয়ে পড়বে। আর এটা খুলে যাওয়া হলো আখিরাত এসে পড়া এবং কর্ম প্রকাশিত হওয়া উদ্দেশ্য। এ রিওয়াইয়াতগুলো ইমাম ইবনে জারীর বর্ণনা করেছেন। এরপর এ হাদীসটি রয়েছে যে, এর তাফসীরে নবী (সঃ) বলেছেনঃ “এর দ্বারা খুব বড় নূর বা জ্যোতিকে বুঝানো হয়েছে। ওর সামনে মানুষ সিজদায় পড়ে যাবে।” (এ হাদীসটি মুসনাদে আবি ইয়ালায়ও বর্ণিত হয়েছে। এর ইসনাদে অস্পষ্টতা রয়েছে। এসব ব্যাপারে আল্লাহ পাকই সবচেয়ে ভাল জানেন)এরপর আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ তাদের দৃষ্টি উপরের দিকে উঠবে না, তারা লাঞ্ছিত ও অপমানিত হবে। কেননা, তারা দুনিয়ায় বড়ই উদ্ধত ও অহংকারী ছিল। সুস্থ ও নিরাপদ অবস্থায় যখন তাদেরকে সিজদার জন্যে আহ্বান করা হতো তখন তারা সিজদা করা হতে বিরত থাকতো, যার শাস্তি এই হলো যে, আজ তারা সিজদা করতে চাচ্ছে, কিন্তু করতে পারছে না। পক্ষান্তরে, পূর্বে সিজদা করতে পারতো কিন্তু করতো না। আল্লাহর দ্যুতি বা তাজাল্লী দেখে সমস্ত মু'মিন সিজদায় পতিত হয়ে যাবে। কিন্তু কাফিররা ও মুনাফিকরা সিজদা করতে পারবে না। তাদের কোমর তক্তার মত শক্ত হয়ে যাবে। সুতরাং ঝুঁকতেই পারবে না, বরং পিঠের ভরে চিৎ হয়ে পড়ে যাবে। দুনিয়াতেও তাদের অবস্থা মু'মিনদের বিপরীত, পরকালেও তাদের অবস্থা হবে মুমিনদের বিপরীত।এরপর মহাপ্রতাপান্বিত আল্লাহ বলেনঃ আমাকে এবং আমার এই হাদীস অর্থাৎ কুরআনকে অবিশ্বাসকারীদের ছেড়ে দাও। এতে বড়ই ভীতি প্রদর্শন ও ধমক রয়েছে। অর্থাৎ হে নবী (সঃ)! তুমি থামো, আমি এদেরকে দেখে নিচ্ছি। তুমি দেখতে পাবে, কিভাবে আমি এদেরকে ধীর ধীরে পাকড়াও করবো। এরা ঔদ্ধত্য ও অহংকারে বেড়ে চলবে, আমার অবকাশ প্রদানের রহস্য এরা উপলব্ধি করতে পারবে না, হঠাৎ করে আমি এদেরকে কঠিনভাবে পাকড়াও করবো। আমি এদেরকে বাড়াতে থাকবো। এরা মদমত্ত হয়ে যাবে। এরা এটাকে সম্মান মনে করবে, কিন্তু মূলে এটা হবে অপমান ও লাঞ্ছনা। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন (আরবি)অর্থাৎ “আমি যে তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি বৃদ্ধি করছি, এর মাধ্যমে আমি তাদের কল্যাণ সাধন করছি এটাই কি তারা ধারণা করছে? (এটা কখনো নয়) বরং তারা বুঝে না।" (২৩:৫৫-৫৬) আল্লাহ পাক অন্যত্র বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “যখন তারা আমার ওয়ায ও নসীহত ভুলে বসে তখন আমি তাদের জন্যে সব জিনিসের দরজা উন্মুক্ত করে দিই, অতঃপর যখন তারা এজন্যে ঔদ্ধত্য ও অহংকার প্রকাশ করতে থাকে তখন অকস্মাৎ আমি তাদেরকে পাকড়াও করি, ফলে তাদের সব আশা আকাঙ্ক্ষা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।” (৬:৪৪) আর এখানে মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ বলেনঃ আমি তাদেরকে সময় দিয়ে থাকি, আমার কৌশল অত্যন্ত বলিষ্ঠ। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা অত্যাচারীদেরকে অবকাশ দেন, অতঃপর যখন ধরেন তখন আর ছেড়ে দেন না।" তারপর তিনি নিম্নের আয়াতটি পাঠ করেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “তোমার প্রতিপালকের পাকড়াও এরূপই। যখন তিনি কোন অত্যাচারী জনপদকে পাকড়াও করেন, তখন তাঁর পাকড়াও কঠিন যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে।” (১১:১০২)এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তুমি তো তাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাচ্ছ না যা তাদের উপর খুবই ভারী বোধ হচ্ছে? যার ভার বহন করতে তারা একেবারে ঝুঁকে পড়ছে? তাদের কি অদৃশ্যের জ্ঞান আছে যে, তারা তা লিখে রাখে। এ দু’টি বাক্যের তাফসীর সূরা তুরে বর্ণিত হয়েছে। ভাবার্থ হচ্ছেঃ হে নবী (সঃ)! তুমি তো তাদেরকে মহামহিমান্বিত আল্লাহর পথে আহ্বান করছো বিনা পারিশ্রমিকে! তাদের কাছে তো তুমি এর বিনিময়ে কোন ধন-সম্পদ যাচঞা করছে না। পুণ্য লাভ করা ছাড়া তোমার তো অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই! তথাপিও এ লোকগুলো তোমাকে অবিশ্বাস করতে রয়েছে! এর একমাত্র কারণ হচ্ছে তাদের অজ্ঞতা ও ঔদ্ধত্যপনা।