34:20 ile 34:21 arasındaki ayetler grubu için bir tefsir okuyorsunuz
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

২০-২১ নং আয়াতের তাফসীর: সাবার ঘটনা বর্ণনা করার পর আল্লাহ্ তা'আলা শয়তান ও তার মুরীদদের বর্ণনা সাধারণভাবে দিচ্ছেন। তারা হিদায়াতের পরিবর্তে পথভ্রষ্টতা, ভালর বদলে মন্দ বেছে নিয়েছে। ইবলীস এখন তাদের উপাসনার স্থানে বসে গেছে। সে বলেছিলঃ “আপনি আমার উপর যাকে মর্যাদা দান করলেন, যদি কিয়ামত পর্যন্ত আমাকে অবকাশ দেন তবে তার সন্তানদেরকে অল্প সংখ্যক ব্যতীত আপনার পথ হতে দূরে সরিয়ে দিবো।” সে আরো বলেছিলঃ “অতঃপর অবশ্যই আমি তাদের কাছে আসবো তাদের সামনে হতে, পিছন হতে, ডান ও বাম হতে এবং তাদের অধিকাংশকেই আপনি কৃতজ্ঞ পাবেন না।” সে এটা করে দেখিয়ে দিলো। আদম-সন্তানদেরকে সে নিজের মুষ্টির মধ্যে আবদ্ধ করে নিলো। যখন হযরত আদম (আঃ) ও হযরত হাওয়া (আঃ)-কে তাদের পাপের কারণে নীচে নামিয়ে দেয়া হলো এবং অভিশপ্ত ইবলীসও তাঁদের সাথে নেমে এলো তখন সে খুবই আনন্দিত হলো এবং মনে মনে বললো যে, হযরত আদম (আঃ)-কে যখন সে পথভ্রষ্ট করতে পেরেছে তখন তার সন্তানরা তো তার বাম হাতের ক্রীড়নক। এ খাবীসের কথা ছিল যে, সে আদম-সন্তানকে সবুজ বাগান দেখাতে থাকবে। সে তাদেরকে উদাসীন করে রাখবে, বিভিন্নভাবে তাদেরকে প্রতারিত করবে এবং তার চক্রান্তের ফাদে আবদ্ধ রাখবে। উত্তরে মহামহিমান্বিত আল্লাহ্ বলেছিলেনঃ আমার মর্যাদার কসম! মরণের পূর্বে যখন তারা আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে তখন আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দিবো। যখনই আমাকে তারা ডাকবে তখনই আমি তাদের ডাকে সাড়া দিবো। যখনই তারা আমার কাছে কিছু চাইবে তখনই আমি তাদেরকে তা দিবো। যখনই আমার কাছে তারা মাফ চাইবে তখনই আমি তাদেরকে মাফ করে দিবো। (এটা ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ তাদের উপর শয়তানের কোন আধিপত্য ছিল না। সে মানুষকে মারপিট করে না এবং এটা করার ক্ষমতাও তার নেই। সে শুধু মানুষকে ধোকা দেয় এবং তার উপর প্রতারণার জাল বিস্তার করে। আর তার এই প্রতারণার জালেই মানুষ আবদ্ধ হয়ে যায়। এতে আল্লাহর হিকমত এই ছিল যে, যাতে মুমিন ও কাফির প্রকাশ হয়ে পড়ে এবং আল্লাহর হুজ্জত শেষ হয়ে যায়। যারা আখিরাতকে বিশ্বাস করে তারা কখনো শয়তানকে মানবে না। তারা সর্বাবস্থায় আল্লাহরই অনুগত থাকবে। আল্লাহ তাআলা সর্ব বিষয়ের তত্ত্বাবধায়ক। মুমিনদের দল তারই হিফাযতের আশ্রয় নেয়। এ কারণে শয়তান অদের কোনই ক্ষতি করতে পারে না। পক্ষান্তরে কাফিরের দল আল্লাহকে ছেড়ে দেয়। এ জন্যে তাদের উপর থেকে আল্লাহর হিফাযত উঠে যায়। ফলে তারা শয়তানের সব রকম প্রতারণা ও প্রবঞ্চনার শিকার হয়ে যায়।