22:8 ile 22:10 arasındaki ayetler grubu için bir tefsir okuyorsunuz
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৮-১০ নং আয়াতের তাফসীর: উপরোক্ত আয়াতগুলিতে আল্লাহ তাআলা অনুসরণকারীদের অবস্থা বর্ণনা করেছেন। এখানে তিনি তাদের অনুসৃত পীর মুরশিদদের অবস্থার বর্ণনা দিচ্ছেন। তারা কিছু না জেনে বিনা দলীলে শুধু নিজেদের মত ও ইচ্ছানুযায়ী আল্লাহর ব্যাপারে বাক বিতণ্ডা করে থাকে। সত্য হতে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং গর্ব ভরে ঘাড় ঘুরিয়ে থাকে। সত্যকে বেপরোয়াভাবে তারা প্রত্যাখ্যান করে। যেমন ফিরাউনীরা হযরত মূসার (আঃ) স্পষ্ট মু'জিযাগুলি দেখেও বেপরোয়ার সাথে তাকে অমান্য করে। অন্য জায়গায় আল্লাহ তাআলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “তাদেরকে যখন বলা হয়ঃ আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তার দিকে এবং রাসূলের (সঃ) দিকে এসো, তখন মুনাফিকদেরকে তুমি তোমার নিকট হতে মুখ একেবারে ফিরিয়ে নিতে দেখবে।" (৪:৬১) আর এক জায়গায় মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যখন তাদেরকে বলা হয়ঃ তোমরা এসো আল্লাহর রাসূল (সঃ) তোমাদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন, তখন তারা মাথা ফিরিয়ে নেয় এবং তুমি তাদেরকে দেখতে পাও যে, তারা দম্ভভরে ফিরে যায়।" (৬৩:৫)। হযরত লোকমান (আঃ) স্বীয় পুত্রকে বলেছিলেনঃ অর্থাৎ ‘মানুষকে অবজ্ঞা করে তুমি তোমার মুখ ঘুরিয়ে নিয়ো না।" অর্থাৎ নিজেকে বড় মনে করে তাদেরকে দেখে অবজ্ঞা করো না। অন্যত্র আল্লাহ পাক বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যখন তার কাছে আমার আয়াত আবৃত্তি করা হয় তখন সে দরে মুখ ফিরিয়ে নেয়।" (৩১:৭)। (আরবী) এর (আরবী) টি (আরবী) (পরিণামের লাম) অথবা (আরবী) (কারণ বোধক লাম)। কেননা, কোন কোন সময় এর উদ্দেশ্য অপরকে পথভ্রষ্ট করা হয় না। সম্বতঃ এর দ্বারা উদ্দেশ্য অস্বীকারই হবে। আবার ভাবার্থ এও হতে পারেঃ আমি তাকে এরূপ দুশ্চরিত্র এ জন্যেই করে দিয়েছি যে, সে যেন পথ ভ্রষ্টদের সরদার হয়ে যায়। তার জন্যে দুনিয়াতেও লাঞ্ছনা ও অপমান রয়েছে, যা তার অহংকারের প্রতিফল। এখানে সে অহংকার করে বড় হতে চাচ্ছিল। আমি তাকে আরো ছোট করে দেবো। এখানেও সে তার উদ্দেশ্য সাধনে ব্যর্থকাম হবে। আর আখেরাতেও জাহান্নাম তাকে গ্রাস করে ফেলবে। তাকে ধমকের সুরে বলা হবেঃ এটা তোমার কৃতকর্মের ফল। আল্লাহর সত্তা যুলুম হতে পবিত্র। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “(ফেরেশতাদের বলা হবে) তাকে ধর এবং টেনে নিয়ে যাও জাহান্নামের মধ্য স্থলে। অতঃপর তার মস্তিষ্কের উপর ফুটন্ত পানি ঢেলে শাস্তি দাও। আর বলা হবেঃ আস্বাদ গ্রহণ করো, তুমি তো ছিলে সম্মানিত, অভিজাত। এটা তো ওটাই, যে বিষয়ে তুমি সন্দেহ করতে।” (৪৪:৪৭-৫০)হযরত হাসান (রঃ) বলেনঃ “আমার কাছে খবর পৌঁছেছে যে, তাদেরকে দিনে সত্তর হাজার বার করে জ্বালানো হবে।” (এটা ইবনু আবি হাতিম-(রঃ) বর্ণনা করেছে)

Kuran.com deneyiminizi en üst düzeye çıkarın!
Turunuza şimdi başlayın:

0%