20:60 ile 20:64 arasındaki ayetler grubu için bir tefsir okuyorsunuz
فتولى فرعون فجمع كيده ثم اتى ٦٠ قال لهم موسى ويلكم لا تفتروا على الله كذبا فيسحتكم بعذاب وقد خاب من افترى ٦١ فتنازعوا امرهم بينهم واسروا النجوى ٦٢ قالوا ان هاذان لساحران يريدان ان يخرجاكم من ارضكم بسحرهما ويذهبا بطريقتكم المثلى ٦٣ فاجمعوا كيدكم ثم ايتوا صفا وقد افلح اليوم من استعلى ٦٤
فَتَوَلَّىٰ فِرْعَوْنُ فَجَمَعَ كَيْدَهُۥ ثُمَّ أَتَىٰ ٦٠ قَالَ لَهُم مُّوسَىٰ وَيْلَكُمْ لَا تَفْتَرُوا۟ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبًۭا فَيُسْحِتَكُم بِعَذَابٍۢ ۖ وَقَدْ خَابَ مَنِ ٱفْتَرَىٰ ٦١ فَتَنَـٰزَعُوٓا۟ أَمْرَهُم بَيْنَهُمْ وَأَسَرُّوا۟ ٱلنَّجْوَىٰ ٦٢ قَالُوٓا۟ إِنْ هَـٰذَٰنِ لَسَـٰحِرَٰنِ يُرِيدَانِ أَن يُخْرِجَاكُم مِّنْ أَرْضِكُم بِسِحْرِهِمَا وَيَذْهَبَا بِطَرِيقَتِكُمُ ٱلْمُثْلَىٰ ٦٣ فَأَجْمِعُوا۟ كَيْدَكُمْ ثُمَّ ٱئْتُوا۟ صَفًّۭا ۚ وَقَدْ أَفْلَحَ ٱلْيَوْمَ مَنِ ٱسْتَعْلَىٰ ٦٤
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৬০-৬৪ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা খবর দিচ্ছেন যে, যখন ফিরাউনের সঙ্গে হযরত মূসার (আঃ) মুকাবিলার দিন, সময় ও স্থান নির্ধারিত হয়ে গেল তখন ফিরাউন এদিক ওদিক থেকে যাদুকরদেরকে এনে একত্রিত করতে শুরু করলো। ঐ যুগে যাদুকরদের খুবই শক্তি ও প্রভাব ছিল এবং বড় বড় যাদুকর বিদ্যমান ছিল। ফিরাউন সাধারণ ভাবে নির্দেশ জারী করে দিয়েছিল যে, সমস্ত জ্ঞানী অভিজ্ঞ যাদুকরদেরকে যেন তার কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সময় মত সমস্ত যাদুকর। একত্রিত হয়ে যায়। ফিরাউন ঐ মাঠেই তার সিংহাসনটি বের করে আনে এবং ওর উপর উপবেশন করে। সভাষদ ও মন্ত্রীবর্গ নিজ নিজ জায়গায় বসে পড়ে। জনসাধারণও একত্রিত হয়। যাদুকরর সিংহাসনের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে যায়। ফিরাউন তাদেরকে উত্তেজিত করতে শুরু করে এবং বলেঃ “দেখো, আজ তোমাদেরকে এমন কলা-কৌশল প্রদর্শন করতে হবে যাতে তা। দুনিয়ায় চির স্মরণীয় হয়ে থাকে।" যাদুকররা বললোঃ “যদি আমরা জয়যুক্ত হই তবে পুরস্কৃত হবো তো?" সে উত্তরে বলেঃ “ কেন হবে না? আমি তো তোমাদেরকে আমার দরবারের বিশিষ্ট লোক বানিয়ে নেবো।”আর এদিকে হযরত মূসা (আঃ) তাদের কাছে তাবলীগের কাজ শুরু করে দেন। তিনি তাদেরকে বলেনঃ “দেখো, তোমরা আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করো না, অন্যথায় তিনি তোমাদেরকে শাস্তি দ্বারা সমূলে ধ্বংস করে দিবেন। তোমরা মানুষের চোখে ধূলো দিয়ো না যে, আসলে কিছুই নয় অথচ যদুর মাধ্যমে তোমরা অনেক কিছু দেখবে। আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ সৃষ্টিকর্তা নেই যে বাস্তবে কিছু সষ্টি করতে পারে। জেনে রেখো যে মিথ্যা উদ্ভাবনকারীরা কখনো সফলকাম হতে পারে না।” হযরত মূসার (আঃ) এ কথা শুনে তাদের মধ্যে তাদের কর্ম সম্বন্ধে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ বুঝে নেয় যে, এটা যাদুকরদের কথা নয়। সত সত্যই ইনি আল্লাহর রাসুল (আঃ)। আবার অন্যেরা বললো যে, তিনি যাদুকরই বটে। সুতরাং তার সাথে মুকাবিলা করতেই হবে। এসব আলাপ আলোচনা তারা অত্যন্ত সতর্কতা ও গোপনীয়তার সাথে করলো।(আরবী) এর দ্বিতীয় পঠন (আরবী) ও রয়েছে। দু'টোর ভাবার্থ একই। অতঃপর তারা সশব্দে বললোঃ “এই দু’জন অবশ্যই যাদুকর। তারা তাদের যাদু দ্বারা তোমাদেরকে তোমাদের দেশ হতে বহিষ্কৃত করতে এবং তোমাদের উৎকৃষ্ট জীবনব্যবস্থার অস্তিত্ব নাশ করতে চায়। যদি তারা আজ জয়যুক্ত হয়ে যায় তবে স্পষ্ট কথা যে, শাসন ক্ষমতা তাদের হাতেই চলে যাবে। তারা। তোমাদের হাত থেকে রাজত্ব কেড়ে নেবে এবং সাথে সাথে তোমাদের ধর্মও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। রাজত্ব আরাম-আয়েশ সবকিছুই তারা ছিনিয়ে নেবে। তোমাদের মান মর্যাদা, জ্ঞান-বিবেক, রাজত্ব ইত্যাদি সবকিছুই তাদের অধিকারভুক্ত হয়ে যাবে। তোমাদের সম্ভ্রান্ত লোকেরা লাঞ্ছিত ও অপমানিত হবে, বাদশাহ ফকীর হয়ে যাবে, তোমাদের জাকজমক ও শান শওকত বিনষ্ট হবে এবং এই সব কিছুই বানী ইসরাঈলের দখলে চলে যাবে যারা আজ তোমাদের দাস-দাসীরূপে জীবন যাপন করছে। অতএব, তোমরা তোমাদের যাদু ক্রিয়া সংহত কর। অতঃপর সারিবদ্ধ হয়ে হাজির হয়ে যাও। জেনে রেখো যে, যে আজ বিজয় লাভ করবে সেই হবে প্রকৃত পক্ষে সফলকাম। আজ যদি আমরা জয়যুক্ত হই তবে বাদশাহ আমাদেরকে তার দরবারের বিশিষ্ট লোক বানিয়ে নিবেন।”