19:77 ile 19:80 arasındaki ayetler grubu için bir tefsir okuyorsunuz
افرايت الذي كفر باياتنا وقال لاوتين مالا وولدا ٧٧ اطلع الغيب ام اتخذ عند الرحمان عهدا ٧٨ كلا سنكتب ما يقول ونمد له من العذاب مدا ٧٩ ونرثه ما يقول وياتينا فردا ٨٠
أَفَرَءَيْتَ ٱلَّذِى كَفَرَ بِـَٔايَـٰتِنَا وَقَالَ لَأُوتَيَنَّ مَالًۭا وَوَلَدًا ٧٧ أَطَّلَعَ ٱلْغَيْبَ أَمِ ٱتَّخَذَ عِندَ ٱلرَّحْمَـٰنِ عَهْدًۭا ٧٨ كَلَّا ۚ سَنَكْتُبُ مَا يَقُولُ وَنَمُدُّ لَهُۥ مِنَ ٱلْعَذَابِ مَدًّۭا ٧٩ وَنَرِثُهُۥ مَا يَقُولُ وَيَأْتِينَا فَرْدًۭا ٨٠
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৭৭-৮০ নং আয়াতের তাফসীর: হযরত খাব্বাব ইবনু আরত (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “আমি একজন কর্মকার ছিলাম। আ’স ইবনু ওয়ায়েলের উপর আমার কিছু ঋণ ছিল। আমি তাকে তাগাদা করতে গেলে সে বলেঃ “আমি তো তোমার ঋণ ঐ পর্যন্ত পরিশোধ করবো না, যে পর্যন্ত না তুমি হযরত মুহাম্মদের (সঃ) আনুগত্য পরিত্যাগ করবে।" আমি বললামঃ আমি তো এই কুফরী ঐ পর্যন্ত করতে পারবো না, যে পর্যন্ত না তুমি মরে গিয়ে পুনরুজ্জীবিত হবে। ঐ কাফির তখন বললোঃ “ঠিক আছে, তাই হলো। যখন আমি মৃত্যুর পর পুনরুজ্জীবিত হবো, তখন আমি আমার মাল ও সন্তান সন্ততি অবশ্যই প্রাপ্ত হবো। তখন তুমি এসো, তোমার ঋণ পরিশোধ করে দেবো।" ঐ সময়। এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। (এটা ইমাম আহমদ (রঃ) কানা করেছেন। ইমাম বুখারী (রঃ) ও ইমাম মুসলিম (রঃ) এটা তখেরীজ করেছেন) অন্য রিওয়াইয়াতে আছে যে, হযরত খাব্বাব ইবনু আরত (রাঃ) বলেছিলেনঃ “আমি মক্কায় আস ইবনু ওয়ায়েলের একটি তরবারী বানিয়ে দিয়েছিলাম। আমার পারিশ্রমিক ধারে ছিল।” মহান আল্লাহ বলেনঃ সে কি অদৃশ্য সম্বন্ধে অবহিত হয়েছে অথবা দয়াময়ের নিকট হতে প্রতিশ্রুতি লাভ করেছে? আর একটি বর্ণনায় আছে যে, হযরত খাব্বাব (রাঃ) বলেনঃ “তার উপর আমার বহু দিরহাম পাওনা হয়ে গিয়েছিল। সে আমাকে যে উত্তর দেয়, তা আমি রাসূলুল্লাহর (সঃ) নিকট বর্ণনা করলে এই আয়াতগুলি অবতীর্ণ হয়।আর একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, কয়েকজন মুসলমানের ঋণ তার উপর ছিল। তারা ঐ ঋণের তাগাদা করলে সে বলেঃ “তোমাদের ধর্মে কি এটা নেই যে, জান্নাতে স্বর্ণ, রৌপ্য, রেশম, ফল, ফুল ইত্যাদি পাওয়া যাবে?” উত্তরে তারা বলেঃ “হাঁ, আছে তো।” সে তখন বলেঃ “তা হলে তো আমি সেখানে এ সব জিনিস অবশ্যই পাবো। সেখানে আমি তোমাদের পাওনা পরিশোধ করে দেবো।' তখন (আরবী) পর্যন্ত আয়াতগুলি অবতীর্ণ হয়।(আরবী) শব্দের দ্বিতীয় কিরআত (আরবী) এর উপর পেশ দিয়েও রয়েছে। দুটোরই একই অর্থ। এটাও বলা হয়েছে যে, যবর দ্বারা এক বচন ও পেশ দ্বারা বহু বচনের অর্থ দেয়। কয়েস গোত্রের অভিধান এটাই। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে ভাল জানেন।আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে ঐ অহংকারকারীকে জবাব দেয়া হচ্ছেঃ তার কি অদৃশ্যের খবর রয়েছে? তার পরকালের পরিণাম সম্পর্কে সে কি কোন সংবাদ রেখেছে? সে কি করুণাময় আল্লাহর নিকট হতে কোন প্রতিশ্রুতি লাভ করেছে? সে কি আল্লাহর একত্ববাদকে স্বীকার করে নিয়েছে যে, এই কারণে তার জান্নাতী হওয়ার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে?(আরবী) এ বাক্য দ্বারা আল্লাহর একত্ববাদকে মেনে নেয়াই উদ্দেশ্য।এরপর মহান আল্লাহ তার কথাকে গুরুত্বের সাথে অস্বীকার করে বলছেনঃ কখনই নয়! সে যা বলে, আমি তা লিখে রাখবো এবং তার শাস্তি বৃদ্ধি করতে থাকবো। তার সেখানে ধন-মাল ও সন্তান-সন্ততি প্রাপ্তি তো দূরের কথা, বরং তার দুনিয়ার ধনসম্পদ ও সন্তান-সন্ততিও ছিনিয়ে নেয়া হবে। সে একাকী আমার এখানে হাজির হবে। হযরত ইবনু মাসউদের (রাঃ) কিরআতে (আরবী) রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ সে যে বিষয়ের কথা বলে তা আমার অধিকারে থাকবে এবং তার আমলও আমার দখলে থাকবে। সে সবকিছু ছেড়ে শূন্য হস্তে একাকী আমার নিকট আসবে।