۞ لقد رضي الله عن المومنين اذ يبايعونك تحت الشجرة فعلم ما في قلوبهم فانزل السكينة عليهم واثابهم فتحا قريبا ١٨
۞ لَّقَدْ رَضِىَ ٱللَّهُ عَنِ ٱلْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ ٱلشَّجَرَةِ فَعَلِمَ مَا فِى قُلُوبِهِمْ فَأَنزَلَ ٱلسَّكِينَةَ عَلَيْهِمْ وَأَثَـٰبَهُمْ فَتْحًۭا قَرِيبًۭا ١٨
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

আল্লাহ বিশ্বাসীদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন, যখন তারা বৃক্ষতলে তোমার নিকট বায়আত গ্রহণ করল তখন।[১] তাদের অন্তরে যা ছিল, তা তিনি অবগত ছিলেন;[২] তাদের প্রতি তিনি অবতীর্ণ করলেন প্রশান্তি[৩] এবং তাদেরকে পুরস্কার দিলেন আসন্ন বিজয়[৪]

[১] বাইয়াতে রিযওয়ানে যাঁরা অংশগ্রহণ করেছিলেন, এখানে তাঁদের প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্ট হওয়ার এবং তাঁদের পাকা ও খাঁটি মু'মিন হওয়ার সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা হুদাইবিয়ায় এক গাছের নীচে শপথ গ্রহণ করেছিলেন যে, তাঁরা মক্কার কুরাইশদের সাথে লড়বেন এবং পলায়নের পথ অবলম্বন করবেন না।

[২] অর্থাৎ, তাঁদের অন্তরে যে সত্যতা ও নির্মলতার আবেগ ছিল, সে ব্যাপারেও আল্লাহ অবগত আছেন। এ থেকে সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ)গণের সেই শত্রুদের কথার খন্ডন হয়ে যায়, যারা বলে যে, 'তাদের ঈমান বাহ্যিক ছিল। আন্তরিকভাবে তারা ছিল মুনাফিক!'

[৩] তাঁরা ছিলেন নিরস্ত্র। যুদ্ধের নিয়তে যেহেতু তাঁরা যাননি, তাই সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণে যুদ্ধাস্ত্র ছিল না। তা সত্ত্বেও যখন নবী করীম (সাঃ) উসমান (রাঃ)-এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য জিহাদের বাইয়াত গ্রহণ করেন, তখন সামান্য পরিমাণও কোন দ্বিধা না করে সকলেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলেন। অর্থাৎ, তিনি তাঁদের অন্তর থেকে মৃত্যুর আশঙ্কা দূর করে দিলেন এবং তার পরিবর্তে ধৈর্য ও প্রশান্তি অবতীর্ণ করলেন। যার ফলে তাঁদের মধ্যে যুদ্ধ করার প্রবল উৎসাহ সৃষ্টি হল।

[৪] এ থেকে খায়বারের বিজয়কেই বুঝানো হয়েছে। যেটা ছিল ইয়াহুদীদের গড় এবং হুদাইবিয়া থেকে প্রত্যাবর্তনের অল্পদিন পর মুসলিমরা তা জয় করেছিলেন।