৯৬-৯৯ নং আয়াতের তাফসীর: (আরবী) আল্লাহ তা'আলার এ উক্তির ব্যাখ্যায় হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) এবং হযরত সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাঃ) বলেন, এর ভাবার্থ হচ্ছে তোমাদের জন্যে সমুদ্রের তাজা বা সজীব শিকার হালাল। আর (আরবী) -এর ভাবার্থ হচ্ছে- যে মাছ শুকিয়ে পাথেয় তৈরী করা হয় সেটাও তোমাদের জন্যে হালাল। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে আর একটি প্রসিদ্ধ বর্ণনা এই যে, (আরবী) দ্বারা ঐ শিকারকে বুঝানো হয়েছে যা সমুদ্র হতে জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। আর (আরবী) দ্বারা সমুদ্রের ঐ মৃত শিকারকে বুঝানো হয়েছে যা মৃত অবস্থায় সমুদ্রের তীরে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। (এরূপই হযরত আবু বকর (রাঃ), হযরত যায়েদ ইবনে সাবিত (রাঃ), ইবরাহীম নাখঈ (রঃ) এবং হাসান বসরী (রঃ) হতে বর্ণিত আছে) হযরত আবু বকর (রাঃ) জনগণের সামনে খুতবা দান অবস্থায় বলেনঃ “শুধু সমুদ্রের শিকারই যে তোমাদের জন্যে হালাল তা নয়, বরং সমুদ্র হতে যা নিক্ষিপ্ত হয়, সেটাও তোমাদের উপকার লাভ ও পাথেয় হিসেবে হালাল।" ইবনে জারীর (রঃ) বলেন যে, আবদুর রহমান ইবনে আবূ হুরাইরা (রাঃ) হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেনঃ সমুদ্র বহু মাছকে তীরে নিক্ষেপ করে থাকে, আমরা ওগুলো খেতে পারি কি? তিনি উত্তরে বলেনঃ “তোমারা ওগুলো খেয়ো না।" অতঃপর আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বাড়ী ফিরে এসে কুরআন মাজীদ হাতে নেন এবং সূরা মায়িদাহ্ পাঠ করতে থাকেন (আরবী) -এ আয়াতে এসে তিনি বলেনঃ যাও, বলে দাও তোমরা ওটা খাও, কেননা সমুদ্রের জিনিসকে আল্লাহ পাক (আরবী) বলেছেন। ইবনে জারীরও (রঃ) একথাই বলেছেন যে, (আরবী) দ্বারা সমুদ্রের মৃত মৎস্যকেই বুঝানো হয়েছে।(আরবী) এখানে (আরবী) শব্দটি (আরবী) শব্দের বহু বচন। ইকরামা (রাঃ) বলেন যে, সমুদ্রের তীরবর্তী লোকেরা তো সামুদ্রিক টাকা প্রাণী শিকার করে থাকে। আর যা মরে যায় তা শুকিয়ে জমা করে রাখে। কিংবা তার শিকার করে রেখে দেয় এবং ওটা মুসাফির ও সমুদ্রের দূরবর্তী লোকদের জন্যে পাথেয়র কাজ দেয়। জমহুর মত মাছ হালাল হওয়ার দলীল হিসেবে এ আয়াতটিকে গ্রহণ করেছেন। ইমাম মালিক (রঃ) হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সঃ) সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় একদল সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন এবং হযরত উবাইদাহ্ ইবনে জাররাহ (রাঃ)-কে ঐ দলের আমীর নিযুক্ত করা হয়। তাঁদের সংখ্যা ছিল তিনশ’। আমিও তাঁদের একজন ছিলাম। আমরা পথে থাকতেই আমাদের পাথেয় নিঃশেষ হয়ে আসে। তখন হযরত আবু উবাইদাহ (রাঃ) সকলের পাথেয় একত্রিত করার নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশক্রমে সমস্ত পাথেয় জমা করা হয়। আমাদের পাথেয় ছিল খেজুর। আমরা প্রতিদিন তা থেকে অল্প অল্প করে খেয়ে থাকি। অবশেষে ওগুলোও শেষ হয়ে আসে এবং রসদ হিসেবে আমরা শুধুমাত্র একটি করে খেজুর পেয়ে থাকি। অবশেষে আমরা মৃত প্রায় অবস্থায় সমুদ্র তীরে উপনীত হই এবং দেখি যে, টিলার মত একটি বিরাট মাছ পড়ে রয়েছে। সেনাবাহিনীর সমস্ত লোক আঠার দিন পর্যন্ত ওটা ভক্ষণ করে। হযরত আবু উবাইদাহ (রাঃ) ওর পাজরের হাড় দু’টিকে কামানের মত দাঁড় করে রাখার নির্দেশ দেন। অতঃপর ওর নীচ দিয়ে একজন উষ্ট্রারোহী গমন করে, তথাপি ওর উপরিভাগ স্পর্শ করতে পারেনি। এ হাদীসটি সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে তাখরীজ করা হয়েছে।সহীহ মুসলিমে হযরত জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ সমুদ্র তীরে উঁচু টিলার মত কি একটা দেখা গেল। আমরা তখন সেখানে গিয়ে দেখি যে, একটি সামুদ্রিক জন্তু মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ওকে আমবার বলা হয়। হযরত আবু উবাইদাহ (রাঃ) বললেনঃ “এটা তো মৃত।” তারপর তিনি বললেনঃ “মৃত হোক! আমরা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর দূত! আমরা ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়েছি। সুতরাং তোমরা এর গোশত ভক্ষণ কর।” আমরা তথায় একমাস কাল অবস্থান করি। আমরা ছিলাম তিনশ’জন লোক। আমরা খেয়ে মোটা হয়ে গিয়েছিলাম। ওর চোখের মণি হতে রাওগান' তেল বের করে আমরা আমাদের কলসগুলো ভর্তি করেছিলাম। এতো বড় বড় টুকরা আমরা কেটেছিলাম যে, ঐগুলোকে গরু বলে মনে হচ্ছিল। ওর পাজরের একটি হাড় নিয়ে কামানের আকারে মাটিতে গেড়ে রেখেছিলাম। বড় বড় উট ওর মধ্য দিয়ে বের হয়ে গিয়েছিল। আমরা ওর অবশিষ্ট গোশত শুকিয়ে পাথেয় বানিয়েছিলাম। আমরা মদীনা পৌছে যখন ঘটনাটি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট বর্ণনা করি তখন তিনি বলেনঃ “এটা ছিল ঐ আহার্য যা আল্লাহ তোমাদের জন্যেই বের করেছিলেন। তোমাদের কাছে ওর কিছু গোশত আছে কি, যা আমাকে খাওয়াতে পার?” আমরা তখন তার কাছে তুহফা পাঠালাম এবং তিনি তা ভক্ষণ করলেন।ইমাম মালিক (রঃ) বর্ণনা করেছেন যে, একটি লোক রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে জিজ্ঞেস করেনঃ হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমরা সমুদ্রে সফর করে থাকি এবং অল্প পানি সঙ্গে রাখতে পারি। যদি আমরা ঐ পানিতে অযু করি তবে পিপাসার্ত থেকে যাই। সুতরাং আমরা সমুদ্রের পানিতে অযু করতে পারি কি? রাসূলুল্লাহ (সঃ) উত্তরে বলেনঃ “সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং মৃত (মাছও) হালাল।” (এ হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) ও আসহাবুস সুনান বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম বুখারী (রঃ) ও ইমাম তিরমিযী (রঃ) এটাকে বিশুদ্ধ বলেছেন।)কোন কোন ফিকাহ্ শাস্ত্রবিদ এ আয়াত হতে দলীল গ্রহণ করেছেন যে, সমস্ত সামুদ্রিক জীব খাওয়া যেতে পারে। কোন জীবই এর বহির্ভূত নয়। তবে কেউ কেউ ব্যাঙকে এর ব্যতিক্রম বলেছেন এবং এটা ছাড়া সবগুলোকেই হালাল বলেছেন। কেননা, ইমাম আহমাদ (রঃ), ইমাম আবু দাউদ (রঃ) এবং ইমাম নাসাঈ (রঃ) আবু আবদির রহমান ইবনে উসমান তাইমী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) ব্যাঙকে মেরে ফেলতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেনঃ “তার ডাক বা শব্দ হচ্ছে আল্লাহর তাসবীহ।” অন্যান্যগণ বলেন যে, মাছ খাওয়া যাবে, কিন্তু ব্যাঙ খাওয়া যাবে না। এই দু'টো ছাড়া অন্যান্যগুলোর মধ্যে মতভেদ রয়েছে। স্থলভাগের যেসব জন্তুর গোশত হালাল ঐগুলোর সাথে সাদৃশ্য যুক্ত সামুদ্রিক জন্তুও হালাল। পক্ষান্তরে স্থলভাগের যেসব জন্তুর গোশত হালাল নয় ঐগুলোর সাথে সাদৃশ্য যুক্ত সামুদ্রিক জন্তুও হালাল নয়। এসব মতভেদ হচ্ছে ইমাম শাফিই (রঃ)-এর মাযহাবের উপর ভিত্তি করে। আর ইমাম আবু হানীফা (রঃ) বলেন যে, সমুদ্রের যে মাছ মরে যাবে সেটা খাওয়া হালাল নয়। কেননা, আল্লাহ তা'আলা (আরবী) বলেছেন। ইবনে মিরদুওয়াই (রঃ) হযরত জাবির (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন“তোমরা সমুদ্রে যা শিকার কর এবং তা জীবিত থাকার পর মারা যায় ওটা খাও। আর যে মৃত মাছকে ঢেউ বয়ে এনে তীরে ফেলে দেয় তা খেয়ো না।” আসহাবে মালিক (রঃ), শাফিঈ (রঃ) এবং আহমাদ ইবনে হাম্বল (রঃ) হতে হাদীসে আমবারের মাধ্যমে এবং “সমুদ্রের পানি পবিত্র ও তার মৃতও হালাল” -এ হাদীসের মাধ্যমে জমহুর দলীল গ্রহণ করেছেন। এ জন্যে তারা এরূপ মাছকেও খাওয়া জায়েয বলে থাকেন। ইমাম শাফিঈ (রঃ) হযরত ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আমাদের জন্যে দুটি মৃত জন্তু ও দু'টি রক্ত হালাল। মৃত জন্তু দু’টি হচ্ছে মাছ ও ফড়িং এবং দুটি রক্ত হচ্ছে কলিজা ও প্লীহা।" (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ), দারেকুতনী (রঃ) এবং বায়হাকী (রঃ) বর্ণনা করেছেন)(আরবী) অর্থাৎ ইহরামের অবস্থায় তোমাদের জন্যে স্থলচর শিকার ধরা হারাম। যদি তোমরা ইচ্ছাপূর্বক এ কাজ কর তবে তোমরা গুনাহগারও হবে এবং তোমাদেরকে ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। আর যদি ভুলবশতঃ কর তবে ক্ষতিপূরণ দেয়ার পর তোমরা গুনাহ থেকে মুক্তি পাবে বটে, কিন্তু ঐ শিকার খাওয়া তোমাদের জন্যে হারাম হবে। কেননা, ওটা মৃতেরই অনুরূপ। ইমাম শাফিঈ (রঃ) ও ইমাম মালিক (রঃ)-এর একটা উক্তিও এটাই যে, মুহরিম ও গায়ের মুহরিম সবারই জন্যে ওটা খাওয়া হারাম। সুতরাং যদি শিকারী ওর থেকে কিছু অংশ খেয়ে নেয় তবে কি তার উপর দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ ওয়াজিব হবে? এ ব্যাপারে আলেমদের দু’টি উক্তি রয়েছে। একটি উক্তি এই যে, হ্যা, তার উপর দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ ওয়াজিব হবে। আলেমদের একটি দলের মাযহাব এটাই। দ্বিতীয় উক্তি এই যে, তার উপর দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ ওয়াজিব হবে না। মালিক ইবনে আনাস (রঃ)-এর এটাই মাযহাব। আবূ উমার ইবনে আবদুল বার (রঃ) বলেন যে, ব্যভিচারীর উপর হদ লাগাবার পূর্বে সে বারবার ব্যভিচার করে থাকলেও তো তার উপর একটি হদই ওয়াজিব হয়ে থাকে। জমহুরের মাযহাবও এটাই। ইমাম আবু হানীফা (রঃ) বলেন যে, স্বীয় শিকারের গোশত খেয়ে নিয়ে তাকে মূল্য প্রদান করতে হবে, এর চেয়ে বেশী কিছু দিতে হবে না। যদি গায়ের মুহরিম শিকার করার পর মুহরিমের নিকট হাদীয়া পাঠায় তবে কারও কারও মতে ওটা মুহরিমের জন্যে সাধারণভাবেই জায়েয। সে তারই জন্যে শিকার করে থাক আর না থাক এ দুয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। ইবনে জারীর (রঃ) বলেন যে, হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হয় যে, গায়ের মুহরিম ব্যক্তি যে শিকার করে থাকে, মুহরিম ব্যক্তি ওর গোশত খেতে পারে কি? তখন তিনি ফতওয়া দেন যে, হঁ্যা, খেতে পারে। তারপর তিনি হযরত উমার (রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁকে ওটা অবহিত করেন। তখন হযরত উমার (রাঃ) বলেনঃ “যদি তুমি এর বিপরীত ফতওয়া দিতে তবে আমি তোমাকে শাস্তি দিতাম।” কিন্তু অন্যান্য আলেমগণ এ গোশত ভক্ষণ করা মুহরিমের জন্যে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ বলেন। কেননা (আরবী) -এ আয়াতটি (আরবী) বা সাধারণ। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি মুহরিমের জন্যে শিকারের গোশত ভক্ষণ পছন্দ করতেন এবং বলতেন যে, ওটা (আরবী) বা সন্দেহযুক্ত। কেননা, আল্লাহ তা'আলা (আরবী) -এ কথা বলেছেন। হযরত ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি সর্বাবস্থায় মুহরিমের জন্যে শিকারের গোশত ভক্ষণ মাকরূহ বা অপছন্দনীয় মনে করতেন। (তাউস (রঃ) ও জাবির ইবনে যায়েদও (রঃ) এরূপই মনে করতেন এবং সাওরীও ঐদিকেই গিয়েছেন) হযরত আলী (রাঃ) সর্বাবস্থায় মুহরিমের জন্যে শিকারের গোশত ভক্ষণ মাকরূহ জানতেন। ইমাম মালিক (রঃ), ইমাম শাফিঈ (রঃ), ইমাম আহমাদ (রঃ) এবং জমহুর বলেন যে, গায়ের মুহরিম যদি মুহরিমের উদ্দেশ্যে শিকার করে তবে মুহরিমের জন্যে তা খাওয়া জায়েয নয়। কেননা, সা'ব ইবনে জাসামাহ (রাঃ) হতে একটি হাদীস বর্ণিত আছে যে, তিনি নবী (সঃ)-কে একটি বন্য গাধা হাদিয়া দেন, কিন্তু তিনি তা ফিরিয়ে দেন। অতঃপর তিনি তার চেহারায় অসন্তুষ্টির ভাব লক্ষ্য করে বলেন : “আমি ওটা ফিরিয়ে দিয়েছি একমাত্র এই কারণে যে, আমি ইহরামের অবস্থায় রয়েছি। (এ হাদীসটি বহু শব্দে সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত আছে) এর কারণ ছিল এই যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর ধারণায় ঐ শিকার তার উদ্দেশ্যে ছিল। সেই জন্যেই তিনি তা ফেরত দিয়েছিলেন। সুতরাং যদি কোন শিকার মুহরিমের উদ্দেশ্যে করা না হয় তবে মুহরিমের জন্যে ওটা খাওয়া জায়েয হবে। কেননা, আবু কাতাদা (রাঃ)-এর হাদীসে রয়েছে যে, তিনি একটি বন্য গাধা শিকার করেছিলেন। সেই সময় তিনি মুহরিম ছিলেন না। কিন্তু তাঁর সঙ্গীরা মুহরিম ছিলেন। তাই তাঁরা ওটা ভক্ষণ করা থেকে বিরত থাকলেন। ঐ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ “তোমাদের কেউ কি শিকারীকে শিকার দেখিয়ে দিয়েছিল বা শিকারকে হত্যা করার ব্যাপারে তাকে সাহায্য করেছিল?” সাহাবীগণ উত্তরে বললেনঃ “না।” তখন তিনি বললেনঃ “তাহলে তোমরা খাও।" আর স্বয়ং তিনিও খেলেন। এই ঘটনাটি সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমেও বহু শব্দে বর্ণিত আছে।