আল্লাহ তাআ’লা নবীকে (সাঃ) সম্বোধন করে বলছেনঃ হে নবী (সঃ)! নূহের (আঃ) এই ঘটনা এবং এই ধরনের অতীতের ঘটনাবলী যেগুলি তুমিও জানতে না এবং তোমার কওমও না কিন্তু ওয়াহীর মাধ্যমে আমি তোমাকে এগুলি জানিয়ে থাকি। আর তুমি জনগণের সামনে এগুলির সত্যতা এমনভাবে প্রকাশ করে থাকে যে, যেন তুমি এই ঘটনাবলী সংঘটিত হবার সময় সেখানেই বিদ্যমান ছিলে। অথচ এর পূর্বে না তুমি স্বয়ং এর কোন খবর রাখতে, না তোমার কওম। এটা হলে মানুষ ধারণা করতো যে, হয়তো তুমি এগুলো কারো নিকট থেকে জেনে নিয়েছে। সুতরাং এটা সুস্পষ্ট কথা যে, এটা তুমি একমাত্র আল্লাহ প্রেরিত ওয়াহীর মাধ্যমেই জানতে পেরেছে। আর এই ওয়াহী ঠিক এভাবেই এসেছে, যেভাবে পূর্ববর্তী কিতাবগুলিতে বিদ্যমান রয়েছে। সুতরাং তোমার কওম যে তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করছে এবং তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে এর উপর তোমাকে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে। সত্বরই আমি তোমাকে ও তোমার অনুসারীদেরকে সাহায্য করবো এবং শত্রুদের উপর বিজয়ী রাখবো। যেমন আমি তোমার পূর্ববর্তী রাসূলদেরকে তাদের শত্রুদের উপর বিজয় দান করেছিলাম। আল্লাহ পাক বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে ও মুমিনমু’মিনদেরকে সাহায্য করবো।” (৪০: ৫১) মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “আমার বিশিষ্ট বান্দা অর্থাৎ রাসূলদের জন্যে এই সিদ্ধান্ত পূর্ব হতেই নির্ধারিত হয়ে আছে; নিঃসন্দেহে তারা জয়ী হবে।” (৩৭: ১৭১-১৭২) তাই এখানেও আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ (হে নবী, সঃ) তুমি ধৈর্য ধারণ কর, নিঃসন্দেহে শুভ পরিণাম মুত্তাকীদের জন্যেই।