قيل يا نوح اهبط بسلام منا وبركات عليك وعلى امم ممن معك وامم سنمتعهم ثم يمسهم منا عذاب اليم ٤٨
قِيلَ يَـٰنُوحُ ٱهْبِطْ بِسَلَـٰمٍۢ مِّنَّا وَبَرَكَـٰتٍ عَلَيْكَ وَعَلَىٰٓ أُمَمٍۢ مِّمَّن مَّعَكَ ۚ وَأُمَمٌۭ سَنُمَتِّعُهُمْ ثُمَّ يَمَسُّهُم مِّنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌۭ ٤٨
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

আল্লাহ তাআ’লা খবর দিচ্ছেন যে, নৌকাটি যখন জূদী পর্বতের উপর থেমে গেল তখন নূহকে (আঃ) বলা হলো- তোমার উপর ও তোমার সঙ্গীয় মুমিনমু’মিনদের উপর এবং কিয়ামত পর্যন্ত যত মু'মিনের আবির্ভাব ঘটবে তাদের সবারই উপর শান্তি বর্ষিত হোক।' সাথে সাথে কাফিরদের সম্পর্কে ঘোষণা দেয়া হলো যে, তারা পার্থিব জগতে সুখ ভোগ করবে বটে, কিন্তু (পরকালে) সত্বরই তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির দ্বারা পাকড়াও করা হবে। যেমন এটা হযরত মুহাম্মদ ইবনু কা'ব (রঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে।হযরত মুহাম্মদ ইবনু ইসহাক (রঃ) বলেন যে, যখন আল্লাহ তাআ’লা তুফান বন্ধ করার ইচ্ছা করলেন তখন তিনি ভূ-পৃষ্ঠে বায়ু পাঠিয়ে দিলেন, যা পানি বন্ধ করে দিলো এবং ওর উথলিয়ে ওঠা বন্ধ হয়ে গেল। সাথে সাথে আকাশেরও দরজা বন্ধ করে দেয়া হলো যা তখন পর্যন্ত পানি বর্ষণ করতেই ছিল। সুতরাং এরপর আকাশ থেকেও বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ হয়ে গেল। যমীনকে পানি শোষণ করে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো। তখন থেকেই পানি কমতে শুরু করলো।আহ্‌লে তাওরাতের বিশ্বাস এই যে, সপ্তম মাসের ১৭ই তারিখে হযরত নূহের (আঃ) নৌকাটি জূদী পাহাড়ের উপর লেগেছিল। দশম মাসের প্রথম তারিখে পাহাড়সমূহের চূড়া জেগে ওঠে। এর চল্লিশ দিন পর নৌকায় আরোহণ করার ছিদ্রটি পানির উপর দেখা যেতে লাগল। তারপর হযরত নূহ (আঃ) পানির প্রকৃত অবস্থা জানবার উদ্দেশ্যে কাককে পাঠালেন। কিন্তু কাকটি ফিরে আসতে বিলম্ব করায় তিনি কবুতরকে প্রেরণ করেন। কবুতরটি ফিরে আসে। তিনি ওর অবস্থা দৃষ্টে বুঝতে পারেন যে, সে পা রাখার জায়গা পায় নাই। তিনি কবুতরটিকে হাতে করে ভিতরে নিয়ে আসেন। সাত দিন পর পুনরায় তিনি কবুতরটিকে পাঠিয়ে দেন। সন্ধ্যার সময় সে ঠোঁটে করে যয়তুনের পাতা নিয়ে ফিরে আসে। এতে আল্লাহর নবী জানতে পারেন যে, পানি যমীনের সামান্য কিছু উপরে রয়েছে। এর সাত দিন পর পুনরায় তিনি কবুতরটিকে প্রেরণ করেন। এবার কিন্তু কবুতরটি ফিরে আসলো না। এতে তিনি বুঝে নেন যে, যমীন সম্পূর্ণরূপে শুকিয়ে গেছে। মোট কথা, সুদীর্ঘ এক বছর পর হযরত নূহ (আঃ) নৌকাটির আবরণ খুলে ফেলেন এবং সাথে সাথে তাঁর কাছে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ওয়াহী আসে- হে নূহ (আঃ)! আমার পক্ষ হতে অবতারিত শান্তির সাথে এখন নেমে পড়।