يا ايها الذين امنوا عليكم انفسكم لا يضركم من ضل اذا اهتديتم الى الله مرجعكم جميعا فينبيكم بما كنتم تعملون ١٠٥
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ عَلَيْكُمْ أَنفُسَكُمْ ۖ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا ٱهْتَدَيْتُمْ ۚ إِلَى ٱللَّهِ مَرْجِعُكُمْ جَمِيعًۭا فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ ١٠٥
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

১০৫ নং আয়াতের তাফসীর:

আল্লাহ তা‘আলা মু’মিন বান্দাদেরকে নিজেদের সংশোধন করে নেয়া ও কল্যাণকর কাজ করার নির্দেশ দিচ্ছেন। যারা নিজেদেরকে সংশোধন করে নিয়েছে এবং ভাল কাজে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে, পথভ্রষ্টরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তারা নিকটবর্তী হোক বা দূরবর্তী হোক।

অনেকে এ আয়াত দ্বারা মনে করে নিজেরাই সংশোধন হয়ে ভাল কাজ করলেই হবে, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে বাধা দেয়ার প্রয়োজন নেই। এরূপ ধারণা ভুল। কারণ সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে বাধা দেয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরয। এ ফরয ত্যাগ করলে অচিরেই আযাব আসতে পারে। আবূ বাকর (রাঃ)-এ আয়াতের মর্মার্থ যখন অবগত হলেন তখন তিনি বললেন: হে মানব সকল! তোমরা আয়াতকে ভুল জায়গায় ব্যবহার করছ। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি “লোকেরা যখন কাউকে কোন পাপ কাজে লিপ্ত দেখে পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে না তখন সম্ভবত আল্লাহ তা‘আলা অচিরেই আযাব দ্বারা পাকড়াও করবেন। (আহমাদ, তিরযিমী হা: ২১৭৮, আবূ দাঊদ হা: ৪৩৩৮, সহীহ ) সুতরাং আয়াতের সঠিক ভাবার্থ হল: অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বুঝানো সত্ত্বেও যদি তারা খারাপ কাজ থেকে বিরত না থাকে এবং সৎ পথ অবলম্বন না করে তাহলে এ অবস্থায় তোমাদের কোন ক্ষতি হবে না। তোমরা সৎ পথে আছ এবং পাপ হতে বিরত রয়েছে।

আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:

১. সর্ব প্রথম নিজেদেরকে সংশোধন করে নিয়ে সৎ পথে প্রতিষ্ঠিত থাকবে।

২. সৎ পথে আহ্বান করতে হবে অসৎ পথ হতে বাধা দিতে হবে।

৩. দাওয়াত দেয়ার পর কেউ সৎ পথ অবলম্বন না করলে তার জন্য চিন্তার কারণ নেই।