ان اقذفيه في التابوت فاقذفيه في اليم فليلقه اليم بالساحل ياخذه عدو لي وعدو له والقيت عليك محبة مني ولتصنع على عيني ٣٩
أَنِ ٱقْذِفِيهِ فِى ٱلتَّابُوتِ فَٱقْذِفِيهِ فِى ٱلْيَمِّ فَلْيُلْقِهِ ٱلْيَمُّ بِٱلسَّاحِلِ يَأْخُذْهُ عَدُوٌّۭ لِّى وَعَدُوٌّۭ لَّهُۥ ۚ وَأَلْقَيْتُ عَلَيْكَ مَحَبَّةًۭ مِّنِّى وَلِتُصْنَعَ عَلَىٰ عَيْنِىٓ ٣٩
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

এই মর্মে যে, তুমি তাকে সিন্দুকের মধ্যে রাখো, অতঃপর তা (নীল) দরিয়ায় ভাসিয়ে দাও যাতে দরিয়া ওকে তীরে ঠেলে দেয়, ওকে আমার ও ওর এক শত্রু তুলে নেবে।[১] আর আমি আমার নিকট হতে তোমার উপর ভালবাসা ঢেলে দিয়েছিলাম,[২] যাতে তুমি আমার চোখের সামনে প্রতিপালিত হও।[৩]

[১] 'শত্রু' বলে ফিরআউনকে বুঝানো হয়েছে। কারণ সেই ছিল আল্লাহ তথা মূসা (আঃ)-এর শত্রু। যখন কাঠের সেই শবাধার ঢেউয়ের সাথে রাজ-প্রাসাদের নিকট পৌঁছল, তখন তা তুলে এনে দেখা হল, যাতে একটি নিষ্পাপ শিশু ছিল। ফিরআউন তার স্ত্রীর ইচ্ছা অনুসারে রাজবাড়ীতে লালন-পালনের জন্য রেখে দিল।

[২] অর্থাৎ, ফিরআউনের অন্তরে বা সর্বসাধারণের অন্তরে তোমার ভালবাসা ভরে দিয়েছিলাম।

[৩] আল্লাহর মহাশক্তি তথা তার সুরক্ষা ও হিফাযতের নৈপুণ্য ও চমৎকারিত্ব দেখুন যে, যে শিশুটির জন্য ফিরআউন অসংখ্য শিশু-সন্তান হত্যা করিয়েছিল; যাতে সে জীবিত না থাকে, সেই শিশুকে ফিরআউনের কোলেই লালন-পালন করালেন, মা তাঁর নিজ শিশুকে দুধ দান করলেন এবং উপরন্তু শিশুর শত্রু ফিরআউনের কাছ হতে দুধপানের পারিশ্রমিকও আদায় করলেন! সুতরাং কত পবিত্র তিনি, যিনি প্রবলতা, সার্বভৌমত্ব, গর্ব ও মাহাত্ম্যের অধিকারী!