Po lexoni një tefsir për grupin e vargjeve 15:16 deri në 15:20
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

১৬-২০ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআলা খবর দিচ্ছেন যে, এই উঁচু আকাশকে তিনিই সৃষ্টি করেছেন যা স্থিতিশীল রয়েছে এবং আবর্তনকারী নক্ষত্ররাজি দ্বারা সৌন্দর্যমণ্ডিত রয়েছে। যে কেউই এটাকে চিন্তা ও গবেষণার দৃষ্টিতে দেখবে সেই মহা শক্তিশালী আল্লাহর বহু বিস্ময়কর কাজ এবং শিক্ষণীয় বহু নিদর্শন দেখতে পাবে। বুরূজ’ দ্বারা এখানে নক্ষত্ররাজিকে বুঝানো হয়েছে। যেমন অন্য আয়াতে রয়েছেঃ (আরবি) অর্থাৎ “কত মহান তিনি যিনি নভোমণ্ডলে সৃষ্টি করেছেন তারকারাজি এবং তাতে স্থাপন করেছেন প্রদীপ ও জ্যোতিময় চন্দ্র।” (২৫:৬৯) আবার কেউ কেউ বলেছেন যে, এর দ্বারা সূর্য ও চন্দ্রের মযিলকে বুঝানো হয়েছে। আতিয়্যা’ (রঃ) বলেন, বুরূজ হচ্ছে ঐ স্থানসমূহ যেখানে প্রহরী নিযুক্ত রয়েছে, যেখান থেকে দুষ্ট ও অবাধ্য শয়তানদেরকে প্রহার করা হয়, যাতে তারা ঊর্ধ্ব জগতের কোন কথা শুনতে না পারে। যে সামনে বেড়ে যায় তার দিকে জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড বেগে ধাবিত হয়। কখনো তো নিম্নবর্তীর কানে ঐ কথা পৌছিয়ে দেয়ার পূর্বেই তাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়। কোন কোন সময় এর বিপরীতও হয়ে থাকে। যেমন এই আয়াতের তাফসীরে হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ “যখন আল্লাহ তাআলা আকাশে কোন বিষয় সম্পর্কে ফায়সালা করেন তখন ফেরেশতামণ্ডলী অত্যন্ত বিনয়ের সাথে নিজেদের ডানা ঝুঁকাতে থাকেন, যেন তা পাথরের উপর যিঞ্জীর। অতঃপর যখন তাঁদের অন্তর প্রশান্ত হয়ে যায় তখন তারা (পরম্পর) বলাবলি করেনঃ “তোমাদের প্রতিপালক কি বলেছেন?” উত্তরে বলা হয়ঃ “তিনি যা বলেছেন সত্য বলেছেন এবং তিনি হচ্ছেন সর্বোচ্চ ও মহান।” ফেরেশতাদের কথাগুলি গুপ্তভাবে শুনবার উদ্দেশ্যে জ্বিনরা উপরে উঠে যায় এবং এইভাবে তারা একের উপর এক থাকে। হাদীস বর্ণনাকারী হযরত সাফওয়ান (রাঃ) তাঁর হাতের ইশারায় এইভাবে বলেন যে, ডান হাতের অঙ্গুলীগুলি প্রশস্ত করে একটিকে অপরটির উপর রেখে দেন। ঐ শ্রবণকারী জ্বিনটির কাজতো কখনো কখনো ঐ জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড খতম করে দেয় তার নীচের সঙ্গীর কানে সেই কথা পৌছানোর পূর্বেই। তৎক্ষণাৎ সে জুলে-পুড়ে যায়। আবার কোন কোন সময়। এমনও হয় যে, সে তার পরবর্তীকে এবং তার পরবর্তী তার পরবতীকে ক্রমান্বয়ে পৌঁছে থাকে এবং এইভাবে ঐ কথা যমীন পর্যন্ত পৌঁছে যায়। অতঃপর তা গণক ও যাদুকরদের কানে এসে পড়ে। তারপর তারা এর সাথে শতটা মিথ্যা কথা জুড়ে দিয়ে জনগণের মধ্যে প্রচার করে। যখন তাদের কারো দু'একটি কথা যা ঘটনাক্রমে আকাশ থেকে তার কাছে পৌঁছে গিয়েছিল, সঠিকরূপে প্রকাশিত হয় তখন লোকদের মধ্যে তার বুদ্ধি ও জ্ঞান গরিমার আলোচনা হতে থাকে। তারা বলাবলি করেঃ “দেখো, অমুক লোক অমুক দিন এই কথা বলেছিল, তা সম্পূর্ণ সঠিক ও সত্যরূপে প্রকাশিত হয়েছে।” (এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ) স্বীয় সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)এরপর আল্লাহ তাআলা যমীনের বর্ণনা দিচ্ছেন যে, তিনিই ওকে সৃষ্টি করেছেন, সম্প্রসারিত করেছেন, ওতে পাহাড় পর্বত বানিয়েছেন, বন-জঙ্গল ও মাঠ-ময়দান প্রতিষ্ঠিত করেছেন, ক্ষেতখামার ও বাগ-বাগিচা তৈরী করেছেন। এবং সমস্ত বস্তুকে সুপরিমিত ভাবে সৃষ্টি করেছেন। এগুলো হচ্ছেহাট-বাজারের সৌন্দর্য এবং মানবমণ্ডলীর জন্যে সুদৃশ্য।মহান আল্লাহ বলেনঃ “যমীনে আমি নানা প্রকারের জীবিকার ব্যবস্থা করেছি। আর আমি ঐ সবগুলোও সৃষ্টি করেছি যাদের জীবিকার ব্যবস্থা তোমরা কর না, বরং আমিই করি। অর্থাৎ চতুষ্পদ জন্তু, দাস দাসী ইত্যাদি। সুতরাং আমি বিভিন্ন প্রকারের জিনিস, নানা প্রকারের উপকরণ এবং হরেক রকমের শান্তি ও আরামের ব্যবস্থা তোমাদের জন্যে করেছি। আমি তোমাদেরকে আয় উপার্জনের পন্থা শিখিয়েছি। জন্তুগুলিকে আমি তোমাদের সেবায় নিয়োজিত রেখেছি। তোমরা ওগুলির গোশত ভক্ষণ করে থাকো এবং পিঠে সওয়ারও হয়ে থাকো। তোমাদের সুখ শান্তির প্রতি লক্ষ্য রেখে আমি তোমাদের জন্যে দাস দাসীরও ব্যবস্থা করেছি। এদের জীবিকার ভার কিন্তু তোমাদের উপর ন্যস্ত নেই। বরং তাদের রুজী দাতাও আমি। আমি বিশ্বজগতের সবারই আহার্যদাতা। তাহলে একটু চিন্তা করে দেখো তো, লাভ ও উপকার ভোগ করছো তোমরা, আর আহার্য দিচ্ছি আমি। অতএব, তিনি (আল্লাহ) কতই না মহান।