৬৮-৭০ নং আয়াতের তাফসীরআল্লাহ তা'আলা খবর দিচ্ছেন যে, একমাত্র তিনিই সৃষ্টিকর্তা এবং সমস্ত আধিপত্য তাঁরই। না তার সাথে কেউ বিতর্কে লিপ্ত হতে পারে, না কেউ তাঁর শরীক হতে পারে। তিনি যা চান তাই সৃষ্টি করে থাকেন এবং যাকে চান নিজের বিশিষ্ট বান্দা বানিয়ে নেন। তিনি যা চান তা হয় এবং যা চান না তা হয় না। ভাল ও মন্দ সবই তাঁরই হাতে। সবকেই তারই নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে। কারো কোন অধিকার নেই। শব্দের অর্থ এটাই। যেমন আল্লাহ তা'আলা অন্য আয়াতে বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সঃ) কোন বিষয়ে নির্দেশ দিলে কোন মুমিন পুরুষ কিংবা মুমিনা নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্তের অধিকার থাকবে না।” (৩৩:৩৬)সঠিক দু’টি উক্তিতেই (আরবি) শব্দটি (আরবি) বা নেতিবাচক রূপে ব্যবহৃত হয়েছে। তবে ইবনে জারীর (রঃ) বলেছেন যে, (আরবি) এখানে ব্যবহৃত হয়েছে (আরবি) অর্থে। অর্থাৎ আল্লাহ ওটাই পছন্দ করেন যাতে তাদের মঙ্গল রয়েছে। কিন্তু সঠিক কথা এটাই যে, এখানে (আরবি) ব্যবহৃত হয়েছে (আরবি) অর্থে। যেমন এটা হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) প্রমুখ গুরুজন হতে বর্ণিত হয়েছে। এ আয়াতটি এই বর্ণনাতেই রয়েছে যে, মাখলুককে সৃষ্টি করা, তকদীর নির্ধারণ করা ইত্যাদি সবকিছুর অধিকার একমাত্র আল্লাহর। তিনি অতুলনীয়। এজন্যেই এ আয়াতের শেষে মহান আল্লাহ বলেছেনঃ তারা যাকে শরীক করে তা হতে তিনি ঊর্ধ্বে।এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তোমার প্রতিপালক জানেন তাদের অন্তরে যা গোপন রয়েছে এবং তারা যা প্রকাশ করে। হে মানুষ! তোমরা যা গোপন কর বা প্রকাশ কর, সবকিছুই তাঁর কাছে প্রকাশমান, তিনি সবই জানেন। দিবসে ও রজনীতে যা কিছু ঘটছে, কিছুই তার কাছে গোপন থাকে না। মা'বুদ হওয়ার ব্যাপারেও তিনি একক। দুনিয়া ও আখিরাতে প্রশংসা তাঁরই, বিধান তাঁরই, তোমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে। তার হুকুম কেউই রদ করতে পারে না। তিনি যা ইচ্ছা করেন তাই করতে পারেন। এমন কেউ নেই যে তার ইচ্ছা থেকে তাঁকে ফিরাতে পারে। হিকমত ও রহমত তারই পবিত্র সত্তায় রয়েছে। কিয়ামতের দিন তোমরা তারই নিকট ফিরে যাবে। তিনি। তোমাদের সকলকেই তোমাদের আমলের প্রতিদান প্রদান করবেন। তার কাছে তোমাদের কোন কাজই গোপন নেই। তিনি সেই দিন সৎ লোকদেরকে পুরস্কার ও অসৎ লোলেদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন। ঐ দিন তিনি স্বীয় বান্দাদের মধ্যে পূর্ণ ফায়সালা করে দিবেন।
0%