Вы читаете тафсир для группы стихов 19:49 до 19:50
فلما اعتزلهم وما يعبدون من دون الله وهبنا له اسحاق ويعقوب وكلا جعلنا نبيا ٤٩ ووهبنا لهم من رحمتنا وجعلنا لهم لسان صدق عليا ٥٠
فَلَمَّا ٱعْتَزَلَهُمْ وَمَا يَعْبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ وَهَبْنَا لَهُۥٓ إِسْحَـٰقَ وَيَعْقُوبَ ۖ وَكُلًّۭا جَعَلْنَا نَبِيًّۭا ٤٩ وَوَهَبْنَا لَهُم مِّن رَّحْمَتِنَا وَجَعَلْنَا لَهُمْ لِسَانَ صِدْقٍ عَلِيًّۭا ٥٠
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৪৯-৫০ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা বলছেন যে, হযরত ইবরাহীম খলীল (আঃ) পিতামতা, আত্মীয় স্বজন, দেশ ও গোত্রকে আল্লাহর দ্বীনের উপর উৎসর্গ করেছিলেন। এই সব থেকে তিনি পৃথক হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে তাদের থেকে মুক্ত ও পৃথক বলে ঘোষণা করেন। ফলে আল্লাহ তাআলা তাঁকে দান করেন ইসহাককে (আঃ) এবং ইসহাককে (আঃ) দান করেন ইয়াকূবকে (আঃ)। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “তিনি ইয়াকূবকে (আঃ) অতিরিক্ত রূপে দান করেন।” (২১৪ ৭২) আর একটি আয়াতে আছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “ইসহাকের (আঃ) পিছনে ইয়াকূবকে (আঃ) দান করেন।” (১১:৭১) সুতরাং হযরত ইসহাক (আঃ) ছিলেন হযরত ইয়াকুবের (আঃ) পিতা। যেমন সূরায়ে বাকারায় রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “তোমরা কি হাজির ছিলে যখন ইয়াকূবের (আঃ) মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়। তখন সে তার পুত্রদেরকে বলেঃ আমার পরে তোমরা কার ইবাদত করবে? উত্তরে তারা বলেঃ আমরা ইবাদত করবো আপনার মাবুদের এবং আপনার পিতৃ পুরুষ ইবরাহীম (আঃ), ইসমাঈল (আঃ) এবং ইসহাকের (আঃ) মাবুদের।” (২:১৩৩) সুতরাং এখানে ভাবার্থ হচ্ছেঃ আমি তার বংশক্রম চালু রেখেছি। তাকে আমি পুত্র দান করেছি এবং পুত্রকে পুত্র দান করেছি এবং এভাবে তার চক্ষু ঠাণ্ডা রেখেছি। এটা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান যে, হযরত ইয়াকুবের (আঃ) পর তাঁর পুত্র হযরত ইউসুফ (আঃ) নবী হন। এখানে তার কথা উল্লেখ করা হয় নাই। কেননা, হযরত ইউসুফের (আঃ) নুবওয়াতের সময় হযরত ইবরাহীম (আঃ) জীবিত ছিলেন না। এই দুজন অর্থাৎ হযরত ইসহাক (আঃ) ও হযরত ইয়াকুবের (আঃ) নুবওয়াত তার জীবদ্দশায় তাঁর সামনেই ছিল। এই জন্যেই এই অনুগ্রহের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহকে (সঃ) প্রশ্ন করা হয়েছিলঃ “সর্বাপেক্ষা উত্তম ব্যক্তি কে? উত্তরে তিনি বলেছিলেনঃ “আল্লাহর নবী ইউসুফ (আঃ), তার পিতা আল্লাহর নবী ইয়াকূব (আঃ), তার পিতা আল্লাহর নবী ইসহাক (আঃ) এবং তাঁর পিতা আল্লাহর নবী ও খলীল ইবরাহীম (আঃ)।” অন্য শব্দে রয়েছেঃ “কারীম ইবনু কারীম, ইবনু কারীম, ইবনু কারীম ইউসুফ ইবনু ইয়াকূব, ইবনু ইসহাক, ইবনু ইবরাহীম। (সবারই উপর শান্তি বর্ষিত হোক)।”মহান আল্লাহ বলেনঃ তাদেরকে আমি দান করলাম আমার অনুগ্রহ এবং তাদেরকে দিলাম সমুচ্চ খ্যাতি। সারা দুনিয়াবাসী আজ তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাঁদের সবারই উপর আল্লাহর দুরূদও সালাম বর্ষিত হোক।