undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

এখানে আল্লাহ তাআ’লা বর্ণনা করেছেন যে, যার জীবিকায় তিনি প্রশস্ত করার ইচ্ছা করেন তা তিনি করতে পারেন। আবার যার জীবিকা সংকীর্ণ করার ইচ্ছা করেন সেটাতেও তিনি সক্ষম। এই সব কিছু হিকমত ও ইনসাফের সাথেই হচ্ছে। কাফিররা দুনিয়াকেই আশ্রয় স্থল মনে করে নিয়েছে। তাই তারা আখেরাত থেকে রয়েছে সম্পূর্ণ উদাসীন। তারা মনে করে নিয়েছে যে, এখানকার সুখ স্বাচ্ছন্দ্যই আসল ও ভাল। অথচ প্রকৃত পক্ষে এখানে তাদেরকে অবকাশ দেয়া হয়েছে মাত্র এবং ধীরে ধীরে তাদেরকে পাকড়াও করারই সূচনা হচ্ছে। কিন্তু তাদের কোন অনুভূতিই নেই। মু'মিনরা যে আখেরাত লাভ করবে তার তুলনায় এই দুনিয়া উল্লেখ যোগ্যই নয়। এটা খুবই অস্থায়ী ও নগণ্য জিনিষ। পক্ষান্তরে আখেরাত চিরস্থায়ী ও উত্তম জিনিষ। কিন্তু সাধারণতঃ মানুষ আখেরাতের উপর দুনিয়াকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। বানু ফাহর গোত্রের লোক মুসতাওরিদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আখেরাতের তুলনায় দুনিয়াটা ঠিক এই রূপ যেমন তোমাদের কেউ এই অঙ্গুলীটি সমুদ্রের পানিতে ডুবিয়ে দেয়, অতঃপর ঐ অঙ্গুলীতে কতটুকু পানি উঠেছে তা তো সে দেখতেই পায়।” ঐ সময় তিনি তাঁর শাহাদত অঙ্গুলী দ্বারা ইশারা করেছিলেন। (অর্থাৎ তার অঙ্গুলীর পানিটুকু সমুদ্রের পানির তুলনায় যেমন, দুনিয়াও আখেরাতের তুলনায় তেমন)। (ইমাম মুসলিম (রঃ এ হাদীসটি স্বীয় ‘সহীহ’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)অন্য একটি হাদীসে রয়েছে যে, একদা পথে একটি ছোট কান বিশিষ্ট মৃত ছাগলের বাচ্চাকে পড়ে থাকতে দেখে রাসূলুল্লাহ (সঃ) মন্তব্য করেনঃ “এই বকরীর বাচ্চাটি যাদের ছিল তাদের কাছে এর মূল্য যেমন, আল্লাহ তাআ’লার কাছে এই দুনিয়াটার মূল্য এর চেয়েও বেশি নগণ্য।”

Получите максимум удовольствия от Quran.com!
Начните тур прямо сейчас:

0%