যে (নবীকে) মিথ্যাজ্ঞান করে ও (ঈমান থেকে) মুখ ফিরিয়ে নেয়। [১]
[১] এই আয়াত থেকে 'মুর্জিয়া' (নামক একটি ভ্রষ্ট দল) প্রমাণ করে যে, জাহান্নামে কেবলমাত্র কাফেররাই যাবে। কোন মুসলমান --- তাতে সে যত বড়ই পাপী হোক না কেন --- জাহান্নামে যাবে না। কিন্তু এ বিশ্বাস হল (কুরআন ও হাদীসের) সেই স্পষ্ট উক্তির পরিপন্থী, যার দ্বারা বোঝা যায় যে, বহু সংখ্যক মুসলমানও --- যাদেরকে আল্লাহ কিছু শাস্তি দিতে চাইবেন --- তারা কিছুকালের জন্য জাহান্নামে যাবে। অতঃপর নবী (সাঃ) ফিরিশতা এবং অন্যান্য নেক বান্দাগণের সুপারিশের বদৌলতে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে। উক্ত আয়াতে সীমাবদ্ধতার সাথে যা বলা হয়েছে, তার মানে এই যে, যারা পাক্কা কাফের ও নিতান্ত হতভাগা, জাহান্নাম আসলে তাদের জন্যই তৈরী করা হয়েছে। যাতে তারা অবশ্য অবশ্যই অনিবার্যভাবেই চিরকালের জন্য প্রবেশ করবে। পক্ষান্তরে কোন নাফরমান শ্রেণীর মুসলিম যদিও জাহান্নামে যাবে, তবুও তারা অবশ্য অবশ্যই অনিবার্যভাবেই চিরকালের জন্য তাতে স্থায়ী হবে না। বরং তাদের শাস্তিস্বরূপ এ প্রবেশ সাময়িকের জন্য হবে। (ফাতহুল ক্বাদীর)