سيقول لك المخلفون من الاعراب شغلتنا اموالنا واهلونا فاستغفر لنا يقولون بالسنتهم ما ليس في قلوبهم قل فمن يملك لكم من الله شييا ان اراد بكم ضرا او اراد بكم نفعا بل كان الله بما تعملون خبيرا ١١
سَيَقُولُ لَكَ ٱلْمُخَلَّفُونَ مِنَ ٱلْأَعْرَابِ شَغَلَتْنَآ أَمْوَٰلُنَا وَأَهْلُونَا فَٱسْتَغْفِرْ لَنَا ۚ يَقُولُونَ بِأَلْسِنَتِهِم مَّا لَيْسَ فِى قُلُوبِهِمْ ۚ قُلْ فَمَن يَمْلِكُ لَكُم مِّنَ ٱللَّهِ شَيْـًٔا إِنْ أَرَادَ بِكُمْ ضَرًّا أَوْ أَرَادَ بِكُمْ نَفْعًۢا ۚ بَلْ كَانَ ٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًۢا ١١
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

(যুদ্ধ থেকে) পশ্চাতে থাকা মরুবাসীরা তোমাকে বলবে, ‘আমাদের ধন-সম্পদ ও পরিবার-পরিজন আমাদেরকে ব্যস্ত রেখেছিল, অতএব আমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর।’[১] তারা মুখে তা বলে, যা তাদের অন্তরে নেই।[২] তাদেরকে বল, ‘আল্লাহ তোমাদের কারো কোন ক্ষতি[৩] কিংবা মঙ্গল[৪] চাইলে কে তাঁকে নিবৃত্ত করতে পারে? বস্তুতঃ তোমরা যা কর, সে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক অবহিত। [৫]

[১] এ থেকে মদীনার চতুর্দিকে বসবাসকারী গিফার, মুযাইনা, জুহাইনা, আসলাম এবং দু'আল গোত্রসমূহকে বুঝানো হয়েছে। স্বপ্ন দেখার পর যখন নবী করীম (সাঃ) (যার বিস্তারিত বিবরণ পরে আসবে) উমরাহ করার জন্য মক্কা যাওয়ার সাধারণ ঘোষণা দিলেন, তখন উল্লিখিত গোত্রের লোকেরা ভাবলো যে, বর্তমান পরিস্থিতি তো মক্কা যাওয়ার অনুকূলে নয়। সেখানে এখনও কাফেরদের বিক্রম ও দবদবা রয়েছে এবং মুসলিমরা সেখানে দুর্বল। তাছাড়া মুসলিমগণ উমরাহ করার জন্য সম্পূর্ণরূপে হাতিয়ার খাপবদ্ধ করেও যেতে পারবে না। এ রকম পরিস্থিতিতে যদি কাফেররা মুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলে, তাহলে তারা শূন্য হাতে তাদের সাথে মোকাবেলা কিভাবে করবে? এ সময় মক্কা যাওয়ার অর্থ হল, নিজেই নিজেকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া। সুতরাং এই লোকেরা নবী করীম (সাঃ)-এর সাথে উমরায় গেল না। মহান আল্লাহ তাদের ব্যাপারে বলছেন, এরা নানা ব্যস্ততার বাহানা পেশ করে তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করবে।

[২] অর্থাৎ, মুখে তো তারা এটাই বলছে যে, আমাদের ঘর-বাড়ি ও বিবি-বাচ্চাদের দেখাশোনা করার কেউ ছিল না। তাই আমাদেরকে থাকতে হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাদের পিছনে থাকার কারণ ছিল মুনাফিকী ও মৃত্যুর আশঙ্কা।

[৩] অর্থাৎ, আল্লাহ যদি তোমাদের ধন-সম্পদ বিনষ্ট ও পরিবার-পরিজনকে ধ্বংস করার ফায়সালা করে নেন, তবে তোমাদের কেউ কি এই এখতিয়ার রাখে যে, তাঁকে তা করতে দেবে না?

[৪] অর্থাৎ, তোমাদেরকে সাহায্য করতে এবং গণিমতের মাল (যুদ্ধলব্ধ সম্পদ) দিতে চাইলে, কেউ রোধ করতে পারবে? মূলতঃ এটা বলা হচ্ছে তাদের প্রতিবাদে, যারা পিছনে রয়ে গিয়েছিল। আর যারা মনে করেছিল যে, তারা যদি নবী করীম (সাঃ)-এর সাথে না যায়, তবে ক্ষতি থেকে রক্ষা এবং বহু কল্যাণ লাভে ধন্য হবে। অথচ কল্যাণ ও অকল্যাণের সমস্ত এখতিয়ার তো আল্লাহর হাতে।

[৫] অর্থাৎ, তোমাদেরকে তোমাদের কৃতকর্মের পূর্ণ প্রতিদান দেবেন।