Você está lendo um tafsir para o grupo de versos 28:60 a 28:61
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৬০-৬১ নং আয়াতের তাফসীরআল্লাহ তা'আলা দুনিয়ার তুচ্ছতা, ওর জাকজমকের নগণ্যতা এবং অস্থায়িত্ব ও নশ্বরতার বর্ণনা দিচ্ছেন এবং অপরপক্ষে আখিরাতের নিয়ামতরাজির স্থায়িত্ব ও উৎকৃষ্টতার বর্ণনা দিচ্ছেন। যেমন তিনি বলেনঃ অর্থাৎ “তোমাদের কাছে যা আছে তা শেষ হয়ে যাবে এবং আল্লাহর কাছে যা তা বাকী থাকবে।” (১৬:৯৬) আরো বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “আল্লাহর নিকট যা রয়েছে সৎলোকদের জন্যে তা অতি উত্তম।” (৩:১৯৮) আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “পার্থিব জীবন (অস্থায়ী) ভোগ-বিলাস ছাড়া কিছুই নয়।” (৫৭:২০) অন্যত্র বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “কিন্তু তোমরা পার্থিব জীবনকে প্রাধান্য দিচ্ছ, অথচ আখিরাতই উৎকৃষ্টতর ও স্থায়ী।” (৮৭:১৬-১৭)।রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহর শপথ! আখিরাতের তুলনায় দুনিয়া এমনই যেমন কেউ সমুদ্রের পানিতে তার অঙ্গুলী ডুবিয়ে দেয়, অতঃপর তা উঠিয়ে নিলে দেখতে পায় যে, তার অঙ্গুলীর অগ্রভাগে যতটুকু পানি উঠেছে তা সমুদ্রের পানির তুলনায় কতটুকু। তাই মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ যারা আখিরাতের উপর দুনিয়াকে প্রাধান্য দিচ্ছে তারা কি মোটেই জ্ঞান রাখে না?মহামহিমান্বিত আল্লাহ তাই বলেনঃ যাকে আমি উত্তম পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, যা সে পাবে সে কি কখনো ঐ ব্যক্তির মত হতে পারে যাকে আমি পার্থিব জীবনের ভোগ-সম্ভার দিয়েছি, অতঃপর যাকে কিয়ামতের দিন হাযির করা হবে (ও খুঁটিনাটিভাবে হিসাব নিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে)? বর্ণিত আছে যে, এটা রাসূলুল্লাহ (সঃ) এবং অভিশপ্ত আবু জেহেলের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়। একটি উক্তি এও আছে যে, এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয় হযরত হামযা (রাঃ) ও আবু জেহেলের ব্যাপারে। এটা প্রকাশমান যে, আয়াতটি সাধারণভাবেই অবতীর্ণ হয়েছে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেছেন যে, জান্নাতী মুমিন জান্নাত হতে ঝুঁকে দেখবে এবং জাহান্নামীকে জাহান্নামের মধ্যস্থলে দেখতে পেয়ে বলবেঃ (আরবি)অর্থাৎ “আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ না থাকলে আমিও তো আটক ব্যক্তিদের মধ্যে শামিল হতাম।” (৩৭:৫৭) অন্য এক জায়গায় মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “জ্বিনেরা জানে যে, তাদেরকে অবশ্যই হাযির করা হবে।” (৩৭:১৫৮) ৬২। আর সেই দিন তিনি তাদেরকে আহ্বান করে বলবেনঃ তোমরা যাদেরকে আমার শরীক গণ্য করতে তারা কোথায়?

Maximize sua experiência no Quran.com!
Comece seu passeio agora:

0%