আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবীকে (সঃ) সম্বোধন করে বলছেনঃ হে মুহাম্মদ (সঃ)! যে সব কাফির দাবী করছে যে, তুমি অন্যায় পথে আছ এবং তারা ন্যায়ের পথে রয়েছে এবং নিজেদের স্বচ্ছল জীবনকে নিরাপদ ও শান্তিময় জীবন মনে করে নিয়েছে, তাদেরকে বলে দাওঃ বিভ্রান্তদের রশি দীর্ঘ হয়ে থাকে। তাদেরকে আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে অবকাশ দেয়া হয়ে থাকে। যে পর্যন্ত না কিয়ামত সংঘটিত হয় বা তারা মৃত্যু মুখে পতিত হয়। প্রকৃতপক্ষে কারা মন্দ লোক ছিল এবং কাদের সাথী দুর্বল ছিল, ঐ সময় তারা তা পূর্ণরূপে জানতে পারবে। দুনিয়া তো কচুর পাতার পানির ন্যায় টলমলে। না ওর নিজের কোন নিশ্চয়তা আছে, না ওর আসবাবপত্রের কোন স্থায়ীত্ব রয়েছে। এই আয়াতে যেন মুশরিকদেরকে চ্যালেঞ্জ দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ কারা সঠিক পথে আছে এবং কারা ভুল পথে আছে এটা প্রমাণ করার জন্যে তাদেরকে মুবাহালায় (দু' দলে নিজেদের ছেলেমেয়ে ও স্ত্রী পরিজনকে নিয়ে মাঠে হাজির হয়ে পরস্পর এই দুআ করা যে, দু'দলের মধ্যে যারা ভুল পথে আছে তাদেরকে যেন আল্লাহ তাআলা ধবংস করে দেন। এটাকেই মুবাহালা বলা হয়) আসতে বলা হয়েছে। সুরায়ে জুমআয় যেমন ইয়াহুদীদেরকে মুবাহালায় অবতীর্ণ হতে বলা হয়েছিল। তাদেরকে বলা হয়েছিলঃ “(হে নবী সঃ)! তাদেরকে বলে দাওঃ যদি তোমরা মনে কর যে, তোমরাই আল্লাহর বন্ধু, অন্য কোন মানব গোষ্ঠী নয়; তবে তোমরা মৃত্যু কামনা কর; যদি তোমরা সত্যবাদী হও।”অনুরূপভাবে সুরায়ে আল-ইমরানে মুবাহালার উল্লেখ করে বলা হয়েছেঃ “যখন তোমরা তোমাদের মতের বিপরীত দলীল শুনেও ঈসাকে (আঃ) আল্লাহর পুত্র বলেই দাবী করছো তখন এসো, হাযির হও এবং মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহর লানত পড়ার প্রার্থনা কর। তখন এই মুবহালায় মুশরিক, ইয়াহূদী এবং খৃস্টান কেউই অবতীর্ণ হতে সম্মত হয় নাই।