Je leest een tafsir voor de groep verzen 6:46tot 6:49
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৪৬-৪৯ নং আয়াতের তাফসীর: মহান আল্লাহ রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে বলছেনঃ হে মুহাম্মাদ (সঃ)! এই সব মিথ্যা প্রতিপন্নকারী ও বিরোধিতাকারীকে বলে দাও-আল্লাহ তা'আলা যদি তোমাদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নেন যা তিনি তোমাদেরকে দান করেছেন, তাহলে কে এমন আছে, যে তোমাদেরকে তা প্রদান করতে পারে! যেমন তিনি বলেছেনঃ (আরবী) (৬৭:২৩) আবার এর ভাবার্থ এও হতে পারে যে, তাদের চক্ষু ও কর্ণ বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও শরঈ উপকার লাভ করা থেকে যদি তাদেরকে তিনি বঞ্চিত করে দেন এবং সত্য কথার উপকারিতা থেকে তারা অন্ধ ও বধির হয়ে যায়। আর -এরও ভাবার্থ এটাই। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (১০:৩১) এবং আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ তোমরা জেনে রেখো যে, আল্লাহ মানুষ ও তার অন্তরের মধ্যে ফিরে থাকেন।' (৮:২৪) অর্থাৎ যদি তিনি তোমাদের অন্তরের উপর মোহর লাগিয়ে দেন তবে কে এমন আছে, যে ঐ মোহরকে ভেঙ্গে দিতে পারে? এই জন্যেই তিনি বলেনঃ তোমরা একটু চিন্তা করে দেখো যে, আমি কিভাবে নিজের কথাকে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করে থাকি। যা এর স্পষ্ট দলীল যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই এবং তিনি ছাড়া যত মাবুদ রয়েছে সবই মিথ্যা ও বাতিল। এই। স্পষ্ট বর্ণনার পরেও তারা সত্যের অনুসরণ থেকে মানুষকে বিরত রাখছে এবং নিজেরাও বিরত থাকছে। মহান আল্লাহ বলেনঃ তোমরা কি জান যে, যদি আকস্মিকভাবে তোমাদের উপর আল্লাহর শাস্তি নেমে আসে কিংবা তোমাদের চোখের সামনে শাস্তি এসে পড়ে তবে এই পথভ্রষ্ট সম্প্রদায় ছাড়া আর কেউ ধ্বংস হবে না! তবে ঐ লোকেরা মুক্তি পেয়ে যাবে যারা এক আল্লাহরই ইবাদত করে। তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না। যেমন আল্লাহ পাক বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে শিরক দ্বারা কলংকিত করেনি তাদের জন্যে শান্তি ও নিরাপত্তা রয়েছে এবং তারা সুপথ প্রাপ্ত।' (৬:৮২)ইরশাদ হচ্ছে-আমি নবীদেরকে জান্নাতের সুসংবাদদাতা এবং জাহান্নাম হতে ভয় প্রদর্শনকারী রূপে প্রেরণ করেছি। তারা মুমিন ও সৎ লোকদেরকে শুভ সুসংবাদ দেয় এবং কাফির ও পাপী লোকদেরকে ভয় প্রদর্শন করে থাকে। এ জন্যেই আল্লাহ তা'আলা বলেন যে, যারা অন্তরের সাথে ঈমান এনেছে এবং নবীদের অনুসরণ করেছে তাদের ভবিষ্যতের জন্যে কোন ভয় নেই এবং অতীতের জন্যেও তাদের কোন দুঃখ ও আফসোস নেই। কেননা, তারা দুনিয়ায় যেসব আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব রেখে যাবে তাদের অভিভাবক স্বয়ং আল্লাহ। এরপর আল্লাহ পাক বলেনঃ যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে তাদেরকে তাদের কুফর ও পাপের কারণে ভীষণ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। কেননা, তারা মহান আল্লাহর আদেশসমূহ অমান্য করেছে এবং তাঁর নিষেধকৃত কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। আর তারা তাঁর সীমা অতিক্রম করেছে।

Maximaliseer uw Quran.com-ervaring!
Begin nu met uw rondleiding:

0%