তোমার পূর্বেও অনেক রসূলকে অবশ্যই মিথ্যাবাদী বলা হয়েছিল। কিন্তু তাদেরকে মিথ্যাবাদী বলা ও ক্লেশ দেওয়া সত্ত্বেও তাদের নিকট আমার সাহায্য না আসা পর্যন্ত তারা ধৈর্য ধারণ করেছিল।[১] আল্লাহর (প্রতিশ্রুত) বাক্যকে পরিবর্তন করার মত কেউ নেই।[২] আর অবশ্যই প্রেরিত পুরুষগণের কিছু সংবাদ তো তোমার নিকট এসেছে। [৩]
[১] নবী করীম (সাঃ)-কে অতিরিক্ত সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে যে, আল্লাহর পয়গম্বরকে কাফেরদের অস্বীকার করার ঘটনা এটা প্রথম নয়, বরং পূর্বেও অনেক রসূল এসেছিলেন যাদেরকে মিথ্যা মনে করা হয়েছে। অতএব তাদের অনুসরণ করে তুমিও ধৈর্য ও সাহসিকতা অবলম্বন কর, যেভাবে তারা তাদেরকে মিথ্যাজ্ঞান ও কষ্টদানের সময় ধৈর্য ধারণ ও সাহসিকতা প্রদর্শন করেছিল। যাতে তোমার কাছেও আমার সাহায্য-সহযোগিতা ঐভাবেই আসে, যেভাবে পূর্বের রসূলদের কাছে আমার সাহায্য-সহযোগিতা এসেছে। আর আমি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করি না। আমার তো প্রতিশ্রুতি দেওয়াই আছে, {إِنَّا لَنَنْصُرُ رُسُلَنَا وَالَّذِينَ آمَنُوا} "অবশ্যই আমি আমার রসূলদের এবং ঈমানদারদের সাহায্য করব।" (সূরা মুমিন ৪০:৫১) {كَتَبَ اللهُ لَأَغْلِبَنَّ أَنَا وَرُسُلِي} "আল্লাহ লিখে দিয়েছেন যে, আমি ও আমার রসূলগণ অবশ্যই বিজয়ী হব।" (সূরা মুজাদালাহ ৫৮:২১, অনুরূপ দেখুনঃ সূরা স্বাফফাত ৩৭:১৭১-১৭২)[২] সুতরাং তাঁর এই প্রতিশ্রুতি সুসম্পন্ন হবেই যে, তিনি (সাঃ) কাফেরদের উপর বিজয়ী হবেন এবং হয়েছেও তা-ই।[৩] যার দ্বারা এ কথা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁদের সম্প্রদায়রা তাঁদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে, তাঁদেরকে কষ্ট দিয়েছে এবং তাঁদের জীবনকে সংকীর্ণ করে তুলেছে, কিন্তু পরিশেষে আল্লাহর সাহায্যে বাঞ্ছিত সফলতা এবং চিরন্তন মুক্তি তাঁদের ভাগ্যেই জুটেছে।
0%