৮৫-৮৬ নং আয়াতের তাফসীর হযরত শুআ’ইব (আঃ) প্রথমে তাঁর কওমকে মাপে ও ওজনে কম করতে নিষেধ করেন। এরপর পরস্পর লেনদেনের সময় ন্যায় পরায়ণতার সাথে পুরোপুরিভাবে মাপ ও ওজন করার নির্দেশ দিচ্ছেন এবং ভূ-পৃষ্ঠে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ধ্বংসাত্মক কাজ করতে নিষেধ করছেন। তাঁর কওমের মধ্যে ছিনতাই, ডাকাতি, লুটতরাজ প্রভৃতি বদ অভ্যাস অনুপ্রবেশ করেছিল। তিনি বলেন যে, মানুষের হক নষ্ট করে লাভবান হওয়ার চাইতে আল্লাহ প্রদত্ত লাভ বহুগুণে শ্রেয়। তিনি তাদেরকে বলেনঃ “আল্লাহর এই অসিয়ত তোমাদের জন্যে খুবই কল্যাণকর বটে। শাস্তি দ্বারা মানুষের যেমন ধ্বংস হয়,অনুরূপভাবে রহমতের দ্বারা মানুষের সব কিছু স্থায়ী হয় ও অবশিষ্ট থাকে। ঠিকভাবে ওজন করে এবং পুরোপুরিভাবে মাপ করে হালাল উপায়ে যে লাভ হয় তাতেই বরকত হয়ে থাকে। অশ্লীলতা ও পবিত্রতার মধ্যে সমতা কোথায়? দেখো, আমি সব সময় তোমাদের দেখা শোনা করতে পারি না। আমাকে তোমাদের পাহারাদার নিযুক্ত করা হয়নি। সুতরাং তোমাদের উচিত, আল্লাহরই ওয়াস্তে ভাল কাজ করা এবং মন্দ কার্য পরিত্যাগ করা। মানুষকে দেখাবার জন্য নয়।