Je leest een tafsir voor de groep verzen 11:45tot 11:47
ونادى نوح ربه فقال رب ان ابني من اهلي وان وعدك الحق وانت احكم الحاكمين ٤٥ قال يا نوح انه ليس من اهلك انه عمل غير صالح فلا تسالن ما ليس لك به علم اني اعظك ان تكون من الجاهلين ٤٦ قال رب اني اعوذ بك ان اسالك ما ليس لي به علم والا تغفر لي وترحمني اكن من الخاسرين ٤٧
وَنَادَىٰ نُوحٌۭ رَّبَّهُۥ فَقَالَ رَبِّ إِنَّ ٱبْنِى مِنْ أَهْلِى وَإِنَّ وَعْدَكَ ٱلْحَقُّ وَأَنتَ أَحْكَمُ ٱلْحَـٰكِمِينَ ٤٥ قَالَ يَـٰنُوحُ إِنَّهُۥ لَيْسَ مِنْ أَهْلِكَ ۖ إِنَّهُۥ عَمَلٌ غَيْرُ صَـٰلِحٍۢ ۖ فَلَا تَسْـَٔلْنِ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِۦ عِلْمٌ ۖ إِنِّىٓ أَعِظُكَ أَن تَكُونَ مِنَ ٱلْجَـٰهِلِينَ ٤٦ قَالَ رَبِّ إِنِّىٓ أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْـَٔلَكَ مَا لَيْسَ لِى بِهِۦ عِلْمٌۭ ۖ وَإِلَّا تَغْفِرْ لِى وَتَرْحَمْنِىٓ أَكُن مِّنَ ٱلْخَـٰسِرِينَ ٤٧
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৪৫-৪৭ নং আয়াতের তাফসীর এটা মনে রাখা দরকার যে, হযরত নূহের (আঃ) এই প্রার্থনার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল তাঁর ডুবন্ত ছেলের সঠিক অবস্থা অবগত হওয়া। তিনি প্রার্থনায় বলেনঃ “হে আমার প্রতিপালক! এটা তো প্রকাশ্য ব্যাপার যে, আমার ছেলেটি আমার পরিবারভুক্ত ছিল। আর আমার পরিবারকে রক্ষা করার আপনি ওয়াদা করেছিলেন এবং এটাই অসম্ভব ব্যাপার যে, আপনার ওয়াদা মিথ্যা হবে। তাহলে আমার এই ছেলেটি কি করে এই কাফিরদের সাথে ডুবে গেল?” উত্তরে আল্লাহ তাআ’লা বললেনঃ “তোমার যে পরিবারকে রক্ষা করার আমার ওয়াদা ছিল তোমার এই ছেলেটি তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। আমার এই ওয়াদা ছিল মুমিনমু’মিনদেরকে নাজাত দেয়া। আমি বলেছিলামঃ (আরবি)অর্থাৎ তোমার পরিবারবর্গকেই নৌকায় উঠিয়ে নাও, কিন্তু তাকে নয় যার সম্বন্ধে পূর্বে নির্দেশ হয়ে গেছে। (১১: ৪০) তোমার এই ছেলে কুফরী করার কারণে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত ছিল যাদের সম্পর্কে পূর্বেই আমি জানতাম যে, তারা কুফরী করবে এবং পানিতে ডুবে যাবে।এটাও স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, কতকগুলি লোকের মতে সে প্রকৃত পক্ষে হযরত নূহের (আঃ) পুত্র ছিলই না। কেননা, তাঁর বীর্যে তার জন্ম হয় নাই, বরং ব্যভিচারের মাধ্যমে সে জন্মগ্রহণ করেছিল। আবার কারো কারো উক্তি এই যে, সে ছিল হযরত নূহের (আঃ) স্ত্রীর পূর্ব স্বামীর ঔরসজাত পুত্র। কিন্তু এই দু’টি উক্তিই ভুল। বহু গুরুজন স্পষ্ট ভাষায় এটাকে ভুল বলেছেন। এমনকি হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) এবং বহু পূর্ববর্তী গুরুজন হতে বর্ণিত আছে যে, কোন নবীর স্ত্রী কখনো ব্যভিচারে লিপ্ত হয় নাই। আল্লাহ তাআ’লার (আরবি) (নিশ্চয় সে তোমার পরিবারভুক্ত নয়) এই উক্তির তাৎপর্য এটাই যে, তিনি হযরত নূহের (আঃ) যে পরিবারকে রক্ষা করার ওয়াদা করেছিলেন তাঁর ঐ ছেলেটি তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এটাই সঠিক ও আসল কথা। এ ছাড়া অন্য দিকে যাওয়া ভুল ছাড়া কিছুই নয়। আল্লাহ এমনই মর্যাদাবান যে, তার মর্যাদা কোন নবীর ঘরে ব্যভিচারিনী স্ত্রী রাখা কখনো কবুল করতে পারে না। এটা চিন্তা করার বিষয় যে, হযরত আয়েশার (রাঃ) ব্যাপারে যারা অপবাদ দিয়েছিল তাদের উপর আল্লাহ পাক কতই না রাগান্বিত হয়েছিলেন। হযরত নূহের (আঃ) ঐ ছেলেটি তার পরিবারভুক্ত না হওয়ার কারণ স্বয়ং কুরআন পাকই বর্ণনা করেছে যে, তার আমল ভাল ছিল না। ইকরামা (রঃ) বলেন যে, এক কিরআতে (আরবি) রয়েছে। হযরত আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “আমি রাসূলুল্লাহকে (সাঃ) (আরবি) পড়তে শুনেছি এবং তাঁকে বলতে শুনেছিঃ (আরবি)অর্থাৎ (আল্লাহ পাকের উক্তি) “হে আমার বান্দারা যারা নিজেদের নফসের উপর বাড়াবাড়ি করেছো, তোমরা আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হয়ে যেয়ো না, নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গুণাহ ক্ষমা করে দেবেন। (৩৯: ৫৩) আর এতে তিনি কোনই পরওয়া করেন না। (আরবি) অর্থাৎ নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল, করুণাময়।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (রঃ) স্বীয় মুসনাদে বর্ণনা করেছেন)হযরত উম্মে সালমা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) এটাকে (আরবি) পড়েছেন (ইমাম আহমদ (রঃ) স্বীয় মুসনাদে এই হাদীসটিরই পুনরাবৃত্তি করেছেন) উম্মে সালমা (রাঃ) হচ্ছেন উম্মুল মু'মিনীন। আর বাহ্যতঃ দেখা যায় যে, তিনিই হচ্ছেন আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রাঃ)। কারণ উম্মে সালমা ছিল তাঁর কুনইয়াত বা পিতৃপদবী যুক্ত নাম। তবে এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআ’লাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) কা'বার পার্শ্বে অবস্থান করছিলেন, এমতাবস্থায় তাঁকে "(আরবি)" আল্লাহ পাকের এই উক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে উত্তরে তিনি বলেন যে, এর দ্বারা ব্যভিচার উদ্দেশ্য নয়। বরং হযরত নূহের (আঃ) স্ত্রীর খিয়ানত তো ছিল এই যে, সে লোকদেরকে বলতো: “এই লোকটি (হযরত নূহ আঃ) পাগল। আর হযরত লূতের (আঃ) স্ত্রীর খিয়ানত ছিল এই যে, তাঁর কাছে মেহমানরা আসলে সে জনগণকে খবর দিয়ে দিত। অতঃপর তিনি (আরবি) পাঠ করেন। (এটা আবদুর রায্‌যাক (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত সাঈদ ইবনু জুবাইরকে (রাঃ) হযরত নূহের (আঃ) পুত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জবাবে বলেন যে, আল্লাহ তাআ’লা সত্যবাদী। তিনি তাকে নূহের (আঃ) পুত্রই বলেছেন। সুতরাং নিঃসন্দেহে সে হযরত নূহের (আঃ) ঔরসজাত পুত্রই ছিল। আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ নূহ (আঃ) স্বীয় পুত্রকে ডাকতে লাগল।” (১১: ৪২) আর এটাও স্মরণ রাখা দরকার যে, ‘কোন নবীরই স্ত্রী ব্যভিচার করে নাই’ এই উক্তি কোন কোন আলেমের রয়েছে। হযরত মুজাহিদ (রঃ) হতে এরূপই বর্ণিত আছে। ইবনু জারীরেরও (রঃ) এটাই পছন্দনীয় মত। আর প্রকৃতপক্ষে সঠিক ও বিশুদ্ধ উক্তি এটাই বটে।