Anda sedang membaca tafsir untuk kumpulan ayat dari 40:18 hingga 40:20
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

১৮-২০ নং আয়াতের তাফসীর: (আরবী) কিয়ামতের একটি নাম। কেননা, কিয়ামত খুবই নিকটবর্তী। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “কিয়ামত আসন্ন। আল্লাহ ছাড়া কেউই এটা ব্যক্ত করতে সক্ষম নয়।”(৫৩:৫৭-৫৮) মহামহিমান্বিত আল্লাহ আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “কিয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে।” (৫৪:১) মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ মানুষের হিসাব নিকাশের সময় আসন্ন।"(২১:১) আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আল্লাহর আদেশ আসবেই; সুতরাং এটা ত্বরান্বিত করতে চেয়ো না।” (১৬:১) অন্য এক জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যখন তারা ওটাকে নিকটবর্তী দেখবে তখন কাফিরদের চেহারা কালো হয়ে যাবে।” (৬৭:২৭) মোটকথা, নিকটবর্তী হওয়ার কারণে কিয়ামতের নাম (আরবী) হয়েছে।প্রবল প্রতাপান্বিত আল্লাহ বলেনঃ যখন দুঃখ-কষ্টে তাদের প্রাণ কণ্ঠাগত হবে। কাতাদা (রঃ) বলেন যে, ভয় ও সন্ত্রাসের কারণে তাদের কণ্ঠাগত প্রাণ হবে। সুতরাং তা বেরও হবে না এবং স্বস্থানে ফিরে যেতেও পারবে না। ইকরামা (রঃ) এবং সুদ্দীও (রঃ) একথাই বলেছেন। কারো মুখ দিয়ে কোন কথা সরবে না। সবাই থাকবে নীরব-নিস্তব্ধ। কার ক্ষমতা যে, মুখ খুলে! সবাই কাদতে থাকবে এবং হতবুদ্ধি অবস্থায় অবস্থান করবে। যারা আল্লাহর সঙ্গে শরীক স্থাপন করে নিজেদের উপর যুলুম করেছে তাদের সেই দিন কোন বন্ধু থাকবে না এবং তাদের দুঃখে কেউ সমবেদনা জানাবে না। তাদের জন্যে এমন কেউ সুপারিশকারী হবে না যার সুপারিশ কবূল করা হবে। সেই দিন মঙ্গল ও কল্যাণের উপায় উপকরণ সবই ছিন্ন হয়ে যাবে।মহান আল্লাহর জ্ঞান সব কিছুকেই পরিবেষ্টন করে রয়েছে। ছোট-বড়, প্রকাশ্য-গোপনীয় এবং মোটা ও পাতলা সবই তার কাছে সমানভাবে প্রকাশমান। এমন ব্যাপক জ্ঞানের অধিকারী তিনি যে, তাঁর কাছে কোন কিছুই গোপন নেই। তাকে প্রত্যেকেরই ভয় করা উচিত এবং কারো এ ধারণা করা উচিত নয় যে, কোন এক সময় সে তার থেকে গোপন রয়েছে এবং তার অবস্থা সম্পর্কে তিনি অবহিত নন। বরং সদা-সর্বদা তার এ বিশ্বাস রাখা উচিত যে, তিনি তাকে দেখছেন। তাঁর জ্ঞান তাকে ঘিরে রয়েছে। সুতরাং সব সময় তাঁকে স্মরণ রাখা। উচিত এবং তার নিষিদ্ধ কাজ হতে বিরত থাকা একান্ত কর্তব্য। মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ চক্ষুর অপব্যবহার এবং অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্বন্ধে আল্লাহ অবহিত। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, এই আয়াতে ঐ ব্যক্তি উদ্দেশ্য যে হয়তো কোন বাড়ীতে গেল যেখানে কোন সুন্দরী মহিলা রয়েছে, কিংবা সে হয়তো যাতায়াত করে থাকে। তখন ঐ লোকটি কোন আড়াল হতে ঐ মহিলাটির দিকে তাকায় যেখানে তাকে কেউ দেখতে পায় না। তার দিকে যখনই কারো দৃষ্টি পড়ে তখনই সে মহিলাটির দিক হতে চক্ষু ফিরিয়ে নেয়। আবার যখন সুযোগ পায় তখন পুনরায় তার দিকে তাকায়। তাই মহান আল্লাহ বলেন যে, বিশ্বাসঘাতক চক্ষুর বিশ্বাসঘাতকতা এবং অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্বন্ধে তিনি অবহিত। অর্থাৎ তার অন্তরে হয়তো এটা রয়েছে যে, সম্ভব হলে সে মহিলাটির গুপ্তাঙ্গও দেখে নিবে। তার এই গোপন ইচ্ছাও আল্লাহ তাআলার অজানা নয়। যহহাক (রঃ) বলেন যে, (আরবী)-এর অর্থ হলো চোখমারা, ইশারা করা এবং মানুষের বলাঃ “আমি দেখেছি।” অথচ সে দেখেনি এবং তার বলাঃ “আমি দেখিনি।” অথচ সে দেখেছে।হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, দৃষ্টি যে নিয়তে নিক্ষেপ করা হয় তা আল্লাহ তাআলার কাছে উজ্জ্বল ও প্রকাশমান। আর অন্তরের মধ্যে এই লুক্কায়িত খেয়াল যে, যদি সুযোগ পায় এবং ক্ষমতা থাকে তবে নির্লজ্জতাপূর্ণ কাজ হতে সে বিরত থাকবে কি থাকবে না এটাও তিনি জানেন। সুদ্দী (রঃ) বলেন যে, অন্তরের কুমন্ত্রণা সম্পর্কেও আল্লাহ পূর্ণ ওয়াকিফহাল।আল্লাহ তা'আলা সঠিকভাবে ও ন্যায়ের সাথে বিচার করে থাকেন। পুণ্যের বিনিময়ে পুরস্কার এবং পাপের বিনিময়ে শাস্তি দানে তিনি সক্ষম। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। যেমন আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যেন তিনি মন্দ লোকদেরকে তাদের কৃতকর্মের শাস্তি প্রদান করেন এবং সৎকর্মশীলদেরকে তাদের ভাল কাজের পুরস্কার প্রদান করেন।”(৫৩:৩১)আল্লাহ তাআলা বলেনঃ আল্লাহর পরিবর্তে তারা যাদেরকে ডাকে, অর্থাৎ মূর্তি, প্রতিমা ইত্যাদি, তারা বিচার করতে অক্ষম। অর্থাৎ তারা কোন কিছুরই মালিক নয় এবং তাদের হুকুমত নেই, সুতরাং তারা বিচার ফায়সালা করবেই বা কি? আল্লাহ তাআলাই তাঁর সৃষ্টজীবের কথা শুনেন এবং তাদের অবস্থা দেখেন। যাকে ইচ্ছা তিনি পথ প্রদর্শন করেন এবং যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন। এর মধ্যেও তার পুরোপুরি ন্যায় ও ইনসাফ বিদ্যমান রয়েছে।

Maksimakan pengalaman Quran.com anda!
Mulakan lawatan anda sekarang:

0%