Anda sedang membaca tafsir untuk kumpulan ayat dari 39:71 hingga 39:72
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৭১-৭২ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা সত্য প্রত্যাখ্যানকারী হতভাগ্য কাফিরদের পরিণাম সম্পর্কে সংবাদ দিচ্ছেন যে, তাদেরকে জন্তুর মত শাসন-গর্জন ও ধমকের সাথে লাঞ্ছিত অবস্থায় দলে দলে হাঁকিয়ে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যেই দিন তাদেরকে ধাক্কা দিয়ে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে।”(৫২:১৩) অর্থাৎ তাদেরকে ধাক্কা দিয়ে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এবং তারা হবে কঠিন পিপাসার্ত। যেমন মহান আল্লাহ আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যেদিন দয়াময়ের নিকট মুত্তাকীদেরকে সম্মানিত মেহমানরূপে সমবেত করবো, এবং অপরাধীদেরকে তৃষ্ণাতুর অবস্থায় জাহান্নামের দিকে খেদিয়ে নিয়ে যাবো।” (১৯:৮৫-৮৬) তা ছাড়া তারা সেদিন হবে বধির, মূক ও অন্ধ এবং তাদেরকে মুখের ভরে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হবে। যেমন আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা অন্য জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “কিয়ামতের দিন আমি তাদেরকে সমবেত করবো তাদের মুখের ভরে চলা অবস্থায় অন্ধ, মূক ও বধির করে। তাদের আবাসস্থল জাহান্নাম; যখনই তা স্তিমিত হবে আমি তখন তাদের জন্যে অগ্নিশিখা বৃদ্ধি করে দিবো।” (১৭:৯৭)মহাপ্রতাপান্বিত আল্লাহ বলেনঃ যখন তারা জাহান্নামের নিকটবর্তী হবে তখন ওর প্রবেশদ্বারগুলো খুলে দেয়া হবে, যাতে তৎক্ষণাৎ শাস্তি শুরু হয়ে যায়। অতঃপর তাদেরকে তথাকার রক্ষী ফেরেশতারা লজ্জিত করার জন্যে ধমকের সুরে বলবেঃ তোমাদের নিকট কি তোমাদের মধ্য হতে রাসূল আসেননি যারা তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের আয়াত আবৃত্তি করতেন এবং এই দিনের সাক্ষাৎ সম্বন্ধে তোমাদেরকে সতর্ক করতেন? তারা জবাবে বলবেঃ হ্যাঁ, আমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল অবশ্যই এসেছিলেন, দলীলও কায়েম করেছিলেন, বহু কিছু আমাদেরকে শুনিয়েছিলেন, বুঝিয়েছিলেন এবং এই দিনের সাক্ষাৎ সম্বন্ধে সতর্কও করেছিলেন। কিন্তু আমরা তাঁদের কথায় কর্ণপাত করিনি, বরং তাদের বিরুদ্ধাচরণ করেছিলাম। কেননা, আমরা হলাম হতভাগ্য। আমাদের ভাগ্যে এই বিড়ম্বনাই ছিল। বস্তুতঃ কাফিরদের প্রতি শাস্তির কথা বাস্তবায়িত হয়েছে। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ তাদের সম্বন্ধে খবর দিতে গিয়ে অন্য জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যখনই ওতে কোন দলকে নিক্ষেপ করা হবে, তাদেরকে রক্ষীরা জিজ্ঞেস করবেঃ তোমাদের নিকট কি কোন সতর্ককারী আসেনি? তারা জবাবে বলবেঃ অবশ্যই আমাদের নিকট সতর্ককারী এসেছিল, আমরা তাদেরকে মিথ্যাবাদী গণ্য করেছিলাম এবং বলেছিলামঃ আল্লাহ কিছুই অবতীর্ণ করেননি, তোমরা তো মহা বিভ্রান্তিতে রয়েছে। তারা আরো বলবেঃ যদি আমরা শুনতাম অথবা বিবেক-বুদ্ধি প্রয়োগ করতাম, তাহলে আমরা জাহান্নামবাসী হতাম না।” (৬৭:৮-১০) অর্থাৎ এভাবে তারা নিজেদেরকে তিরস্কার করবে এবং খুবই অনুতপ্ত হবে। তাই আল্লাহ তা'আলা এর পরে বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করবে। অভিশাপ জাহান্নামীদের জন্যে!” (৬৭:১১)আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ তাদেরকে বলা হবে- জাহান্নামের দ্বারসমূহে প্রবেশ কর তাতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্যে। অর্থাৎ যেই তাদেরকে দেখবে এবং তাদের অবস্থা জানবে সেই পরিষ্কারভাবে বলে উঠবে যে, নিশ্চয়ই এরা এরই যোগ্য। এই উক্তিকারীর নাম নেয়া হয়নি, বরং তাকে সাধারণভাবে ছেড়ে দেয়া হয়েছে যাতে তার সাধারণত্ব বাকী থাকে। আর যাতে আল্লাহ তা'আলার ন্যায়ের সাক্ষ্য পুরো হয়ে যায়। তাদেরকে বলা হবেঃ এখন তোমরা জাহান্নামে চলে যাও। সেখানে স্বায়ীভাবে জ্বলতে পুড়তে থাকো। এখান হতে না তোমরা কখনো ছুটতে পারবে, তোমাদের মৃত্যু হবে। আহা! উদ্ধতদের আবাসস্থল কতই না নিকৃষ্ট। যেখানে তাদেরকে দিনরাত জ্বলতে পুড়তে হবে! অহংকারীদের অহংকার ও সত্যকে প্রত্যাখ্যান করার প্রতিফল এটাই, যা তাদেরকে এরূপ নিকৃষ্ট জায়গায় পৌঁছিয়ে দিয়েছে। এটা কতই না জঘন্য অবস্থা! কতই না শিক্ষামূলক পরিণাম এটা!

Maksimakan pengalaman Quran.com anda!
Mulakan lawatan anda sekarang:

0%