Anda sedang membaca tafsir untuk kumpulan ayat dari 31:6 hingga 31:7
ومن الناس من يشتري لهو الحديث ليضل عن سبيل الله بغير علم ويتخذها هزوا اولايك لهم عذاب مهين ٦ واذا تتلى عليه اياتنا ولى مستكبرا كان لم يسمعها كان في اذنيه وقرا فبشره بعذاب اليم ٧
وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَشْتَرِى لَهْوَ ٱلْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍۢ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا ۚ أُو۟لَـٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌۭ مُّهِينٌۭ ٦ وَإِذَا تُتْلَىٰ عَلَيْهِ ءَايَـٰتُنَا وَلَّىٰ مُسْتَكْبِرًۭا كَأَن لَّمْ يَسْمَعْهَا كَأَنَّ فِىٓ أُذُنَيْهِ وَقْرًۭا ۖ فَبَشِّرْهُ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ ٧
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৬-৭ নং আয়াতের তাফসীরউপরে বর্ণিত সত্বৰ্মশীল লোকেরা আল্লাহর কিতাব হতে হিদায়াত গ্রহণ করতঃ কিতাব শুনে লাভবান হতো। এখানে বর্ণিত হচ্ছে যে, পাপী ও দুষ্ট লোকেরা আল্লাহর কিতাব শুনে কোন উপকার লাভ করতো না, বরং এর পরিবর্তে গান-বাজনা, ঢোল-করতাল নিয়ে মত্ত থাকতো।(আরবি) এ আয়াত সম্পর্কে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেনঃ “আল্লাহর কসম! এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে গান-বাজনা ও রাগ-রাগিণী নিয়ে সর্বক্ষণ লিপ্ত থাকা।” তাকে এ আয়াতের ভাবার্থ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি তিনবার কসম করে বলেনঃ “এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো গান-বাজনা ও রাগ-রাগিণী।” হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ), হযরত জাবির (রাঃ), হযরত ইকরামা (রঃ), হযরত সাঈদ ইবনে জুবাইর (রঃ), হযরত মুজাহিদ (রঃ), হযরত মাকহুল (রঃ), হযরত আমর ইবনে আয়েব (রঃ) প্রমুখ। গুরুজনেরও এটাই উক্তি। হযরত হাসান বসরী (রঃ) বলেছেন যে, গান-বাজনা, রঙ-তামাশা ইত্যাদির ব্যাপারে এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়েছে। হযরত কাতাদা (রঃ) বলেছেন যে, এর উদ্দেশ্য শুধুমাত্র এটাই নয়, বরং এ কাজের পিছনে টাকা। পয়সা খরচ করা, একে আন্তরিকভাবে পছন্দ করা ও ভালবাসাও এর অন্তর্ভুক্ত।তাদের পথভ্রষ্টতার জন্যে এটাই যথেষ্ট যে, বাতিলকে তারা সত্যের উপর প্রাধান্য দেয় এবং ক্ষতিকর বিষয়কে লাভজনক বিষয়ের উপর স্থান দিয়ে থাকে। একটি উক্তি এও আছে যে, অসার বাক্য ক্রয় করা দ্বারা গায়িকা বা ছুক্রী ক্রয় করাকে বুঝানো হয়েছে। হযরত আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ “গান-বাজনা কারিণী ও গায়িকা মেয়ে বেচাকেনা করা হারাম। বেচে তার মূল্য ভক্ষণ করাও অবৈধ। এ ব্যাপারেই মহামহিমান্বিত আল্লাহ্ (আরবি)-এ আয়াতটি অবতীর্ণ করেছেন।” (এ হাদীসটি ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরিমিযী (রঃ) ও ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) উবাইদুল্লাহ ইবনে যাহর (রাঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম তিরমিযী (রঃ) হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন। এসব ব্যাপারে আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন)যহ্হাক (রঃ) বলেন যে, এর দ্বারা শিরকে বুঝানো হয়েছে। ইমাম ইবনে জারীর (রঃ)-এর মত এই যে, প্রত্যেক কথা, যা কালামুল্লাহ ও শরীয়তের অনুসরণে বাধা সৃষ্টি করে তার সবগুলোই এ আয়াতের অন্তর্ভুক্ত। এর দ্বারা তার উদ্দেশ্য হয় ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধাচরণ করা। একটি কিরআত বা পঠনে (আরবি) রয়েছে। তখন (আরবি) টি (আরবি) হবে অথবা (আরবি) হবে।মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ তারা আল্লাহর প্রদর্শিত পথ নিয়ে ঠাট্টা-পি করে। তাদেরই জন্যে রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। যেমন তারা আল্লাহর পথ ও তাঁর কিতাবকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছে, তেমনই কিয়ামতের দিন তাদেরকেও ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা হবে। তাদেরকে অপমানজনক শাস্তি প্রদান করা হবে। এরপর মহা প্রতাপান্বিত আল্লাহ বলেনঃ যখন তার নিকট আমার আয়াত আবৃত্তি করা হয় তখন সে দম্ভভরে মুখ ফিরিয়ে নেয়। অর্থাৎ এই হতভাগারা, যারা খেল-তামাশায়, গান-বাজনায় ও রাগ-রাগিণীতে মত্ত ছিল তারা কুরআন থেকে দূরে সরে গিয়েছিল, তা শোনা হতে তারা নিজেদের কানকে বধির করে ফেলেছিল, এগুলো তাদের ভাল লাগতো না, শুনলেও তারা তা শোনার মত শুনতো না, বরং তা শোনা তাদের কাছে অপছন্দনীয় ছিল। এটাকে তারা বাজে কাজ মনে করতো। এ কারণে এর মান-সম্মান তাদের কাছে ছিল না। এ জন্যে এ থেকে তারা কিছুই লাভবানও হয়নি। এ থেকে তার প বেপরোয়া হয়ে গিয়েছিল। এখানে আল্লাহর বিধি-বিধান দেখে তারা যেমন বিরক্ত হচ্ছে, কিয়ামতের দিন তারা আল্লাহর আযাব দেখেও বিরক্ত হবে। এখানে আল্লাহর আয়াত শুনে তারা বিরক্তি বোধ করছে বটে, কিন্তু কিয়ামতের দিন তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।