undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

এইভাবে আমি ইউসুফকে সেই দেশে প্রতিষ্ঠিত করলাম; সে ঐ দেশে যেখানে ইচ্ছা অবস্থান করতে পারত।[১] আমি যাকে ইচ্ছা তার প্রতি দয়া করে থাকি। আর আমি সৎকর্মপরায়ণদের শ্রমফল নষ্ট করি না।[২]

[১] অর্থাৎ আমি ইউসুফ (আঃ)-কে ঐ দেশের উপর এমন শক্তি ও কৌশল প্রদান করলাম যে, মিসরের রাজা তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতেন এবং তিনি মিসরের মাটিতে এমন অধিকার প্রয়োগ করতেন, যেমন কোন মানুষ নিজ গৃহে প্রয়োগ করে থাকে। তিনি যেখানে ইচ্ছা সেখানে অবস্থান করতেন, পুরা মিসর ছিল তাঁর পরিপূর্ণ অধীনস্থ।

[২] এটা যেন তাঁর সেই সবরের সুফল, যা তিনি ভাইদের অন্যায়-অত্যাচারের উপর করেছিলেন এবং ঐ সুদৃঢ় পদক্ষেপের (বদলা ছিল) যা তিনি যুলাইখার পাপের আহবানের মোকাবিলায় এখতিয়ার করেছিলেন এবং সেই দৃঢ়তার (বদলা ছিল), যা তিনি কয়েদখানার জীবনে অবলম্বন করেছিলেন। ইউসুফ (আঃ)-এর এই পদ সেই পদ ছিল, যার উপর ইতিপূর্বে মিসরের সেই রাজা অধিষ্ঠিত ছিলেন, যাঁর স্ত্রী ইউসুফ (আঃ)-কে ব্যভিচারে উদ্বুদ্ধ করার অপচেষ্টা করেছিল। কারো কারো মন্তব্য যে, উক্ত রাজা ইউসুফ (আঃ)-এর দা'ওয়াত ও তবলীগে মুসলমান হয়ে গিয়েছিল। অনুরূপ কারো কারো মন্তব্য যে, মিসরের রাজা ইতফীরের মৃত্যুর পর ইউসুফ (আঃ)-এর সাথে যুলাইখার বিয়ে হয়েছিল এবং দুটি সন্তানও হয়েছিল; একজনের নাম আফরাইম এবং দ্বিতীয়জনের নাম মীশা ছিল। আফরাইমই ছিল ইউশা' বিন নূন ও আইউব (আঃ)-এর স্ত্রী 'রাহমাত'-এর পিতা। (তাফসীর ইবনে কাসীর) কিন্তু এ কথাটা কোন বিশ্বস্ত সূত্রে প্রমাণিত নয়, তাই বিবাহ সংক্রান্ত কথাটা বিশুদ্ধ বলে মনে হয় না। এ ছাড়া উক্ত মহিলার পক্ষ থেকে পূর্বে যে অসদাচরণ প্রদর্শিত হয়েছিল, তার কারণে এক নবী পরিবারের সাথে তার বৈবাহিক সম্পর্ক কায়েম হওয়ার কথা নেহাতই অনুচিত মনে হচ্ছে।

Maksimakan pengalaman Quran.com anda!
Mulakan lawatan anda sekarang:

0%