Anda sedang membaca tafsir untuk kumpulan ayat dari 11:41 hingga 11:43
۞ وقال اركبوا فيها بسم الله مجراها ومرساها ان ربي لغفور رحيم ٤١ وهي تجري بهم في موج كالجبال ونادى نوح ابنه وكان في معزل يا بني اركب معنا ولا تكن مع الكافرين ٤٢ قال ساوي الى جبل يعصمني من الماء قال لا عاصم اليوم من امر الله الا من رحم وحال بينهما الموج فكان من المغرقين ٤٣
۞ وَقَالَ ٱرْكَبُوا۟ فِيهَا بِسْمِ ٱللَّهِ مَجْر۪ىٰهَا وَمُرْسَىٰهَآ ۚ إِنَّ رَبِّى لَغَفُورٌۭ رَّحِيمٌۭ ٤١ وَهِىَ تَجْرِى بِهِمْ فِى مَوْجٍۢ كَٱلْجِبَالِ وَنَادَىٰ نُوحٌ ٱبْنَهُۥ وَكَانَ فِى مَعْزِلٍۢ يَـٰبُنَىَّ ٱرْكَب مَّعَنَا وَلَا تَكُن مَّعَ ٱلْكَـٰفِرِينَ ٤٢ قَالَ سَـَٔاوِىٓ إِلَىٰ جَبَلٍۢ يَعْصِمُنِى مِنَ ٱلْمَآءِ ۚ قَالَ لَا عَاصِمَ ٱلْيَوْمَ مِنْ أَمْرِ ٱللَّهِ إِلَّا مَن رَّحِمَ ۚ وَحَالَ بَيْنَهُمَا ٱلْمَوْجُ فَكَانَ مِنَ ٱلْمُغْرَقِينَ ٤٣
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৪১-৪৩ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআ’লা হযরত নূহের (আঃ) সম্পর্কে খবর দিচ্ছেন যে, হযরত নূহ (আঃ) তার সাথে যাদেরকে নিয়ে যেতে চাচ্ছিলেন তাদেরকে বললেনঃ এসো, এই নৌকায় আরোহণ কর। জেনে রেখোঁরেখো যে, এর চলনগতি আল্লাহরই নামের বরকতে এবং অনুরূপভাবে এর শেষ স্থিতিও তাঁর পবিত্র নামের বরকতেই বটে। আবু রাজা আতারদী (রঃ) পড়েছেন (আরবি)।আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “অতঃপর (হে নূহ, আঃ) যখন তুমি ও তোমার (মু'মিন) সাথীরা নৌকায় বসবে তখন বললা ঐ আল্লাহরই সমস্ত প্রশংসা যিনি আমাদেরকে কাফির সম্প্রদায় হতে মুক্তি দিয়েছেন। আর বলো- হে আমার প্রতিপালক! আমাকে অবতারণ করুন বরকতময় এবং আপনি সকল অবতারণকারীর মধ্যে উত্তম।” (২৩: ২৮) এ জন্যেই এটা মুসতাহাব যে, প্রত্যেক কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে হবে, সেটা নৌকায় চড়াই হোক অথবা জন্তুর পিঠে আরোহণ করাই হোক। যেমন আল্লাহ তাআ’লা বলেছেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “আর যিনি সর্বপ্রকার বস্তুগুলিকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের সেই নৌকাসমূহ ও চতুষ্পদ জন্তুগুলিকেও সৃষ্টি করেছেন যেগুলিতে তোমরা আরোহণ করে থাকো। যেন তোমরা ওদের পৃষ্ঠের উপর দৃঢ়রূপে বসতে পার।” (৪৩: ১২) এর প্রতি আগ্রহ উৎপাদনকারীরূপে হাদীসও এসেছে। ইনশাআল্লাহ এর পূর্ণ বর্ণনা সূরায়ে যুখরুফে আসবে। আল্লাহর উপরই ভরসা করছি। হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ “আমার উম্মত যখন নৌকায় আরোহণ করবে তখন তাদের ডুবে যাওয়া হতে নিরাপত্তা লাভের উপায় হচ্ছে এই যে, তারা বলবে (আরবি) এবং (আরবি) এই আয়াতটি শেষ পর্যন্ত, আর (আরবি) এই আয়াতটি। (এই হাদীসটি ইমাম আবুল কাসিম তিবরানী (রঃ) বর্ণনা করেছেন) এই দুআ’’র শেষে আল্লাহ তাআ'লার গুণবাচক নাম (আরবি) ও (আরবী) রয়েছে। কারণ এই যে, যেন কাফিরদের শাস্তির মুকাবিলায় মুমিনমু’মিনদের উপর তার ক্ষমা ও করুণার বিকাশ ঘটে। যেমন তাঁর উক্তি (আরবী) অর্থাৎ “নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক সত্বর শাস্তি দানকারী এবং নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়াবান।”(৭: ১৬৭) অন্য জায়গায় তিনি বলেনঃ (আরবী)অর্থাৎ “নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক লোকদের ব্যাপারে তাদের যুলুমের উপর ক্ষমাশীল এবং নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক অতি সত্বর শাস্তি প্রদানকারীও বটে।” এই ধরনের আরো বহু আয়াত রয়েছে যেখানে দয়া ও প্রতিশোধ গ্রহণের বর্ণনা মিলিতভাবে দেয়া হয়েছে। আল্লাহ পাকের উক্তি: (আরবী)অর্থাৎ ঐ নৌকাটি তাদেরকে নিয়ে পর্বত তুল্য তরঙ্গের মধ্যে চলতে লাগলো। এর ভাবার্থ এই যে, নৌকাটি হযরত নূহ (আঃ) এবং তাঁর সঙ্গীদেরকে নিয়ে পানির উপর চলতে লাগলো যে পানি সারা যমীনে ছড়িয়ে পড়েছিল। এমনকি উঁচু উঁচু পর্বতের চূড়া পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। পাহাড়ের চূড়া ছেড়েও পনেরো হাত উপরে উঠেছিল। আবার এই উক্তিও আছে যে, পানি পর্বতের চূড়া ছেড়ে আশি হাত উপরে উঠে গিয়েছিল। এতদসত্ত্বেও হযরত নূহের (আঃ) নৌকা আল্লাহ পাকের হুকুমে সঠিকভাবেই চলছিল। স্বয়ং আল্লাহ ছিলেন ওর রক্ষক এবং ওটা ছিল তাঁর বিশেষ দয়া ও মেহেরবানী। যেমন তিনি তাঁর পাক কালামে বলেনঃ (আরবী)অর্থাৎ “যখন পানি স্ফীত হয়েছিল, তখন আমি তোমাদেরকে (অর্থাৎ তোমাদের পূর্ববর্তী মু'মিনদেরকে) নৌকায় আরোহণ করালাম। যেন আমি ঐ ব্যাপারকে তোমাদের জন্যে একটি স্মরণীয় বস্তু করি, আর স্মরণকারী কর্ণ ওকে স্মরণ রাখে।” (৬৯: ১১-১২)আর এক জায়গায় আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আর আমি তাকে তক্তা ও পেরেকযুক্ত নৌকাতে আরোহণ করালাম। যা আমার তত্ত্বাবধানে চলছিল, এ সব কিছু তার প্রতিশোধ গ্রহণের জন্যে করেছিলাম যার অমর্যাদা করা হয়েছিল। আর আমি এটাকে উপদেশ গ্রহণের জন্যে থাকতে দিলাম, অতএব কোন উপদেশ গ্রহণকারী আছে কি?” (৫৪: ১৩-১৫) ঐ সময় হযরত নূহ (আঃ) তাঁর পুত্রকে ডাক দেন। সে ছিল তার চতুর্থ পুত্র। তাঁর নাম ছিল ইয়াম এবং সে ছিল কাফির। তিনি নৌকায় আরোহণ করার সময় তাকে ঈমান আনয়নের এবং নৌকায় আরোহণের আহ্‌বান জানান, যাতে সে ডুবে যাওয়া এবং কাফিরদের শাস্তি থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু সেই হতভাগ্য উত্তর দেয়ঃ “না আমার প্রয়োজন নেই। আমি পর্বতে আরোহণ করে এই প্লাবন থেকে বেঁচে যাবো।” একটি ইসরাঈলী বর্ণনায় রয়েছে যে, সে শীশা দ্বারা একটি নৌকা তৈরি করেছিল। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআ’লার জ্ঞানই সবচেয়ে বেশি। কুরআন কারীমে তো শুধু এটুকুই আছে যে, তার ধারণায় প্লাবন পর্বতের চূড়ায় পৌছাতে পারবে না। সুতরাং সে যখন সেখানে পৌঁছে যাবে তখন পানি তার কি ক্ষতি করতে পারবে? ঐ সময় হযরত নূহ (আঃ) উত্তরে বলেছিলেনঃ “আজ আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই। যার উপর তার দয়া হবে, একমাত্র সেই রক্ষা পাবে।” বলা হয়েছে যে, এখানে (আরবী) শব্দটি (আরবী) এর অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন (আরবী) শব্দটি অর্থে এবং (আরবী) শব্দটি (আরবী) অর্থে এসেছে। পিতা-পুত্রে এভাবে আলোচনা চলছে এমন সময় এক তরঙ্গ আসলো এবং হযরত নূহের (আঃ) ছেলেকে ডুবিয়ে দিলো।