قالوا اطيرنا بك وبمن معك قال طايركم عند الله بل انتم قوم تفتنون ٤٧
قَالُوا۟ ٱطَّيَّرْنَا بِكَ وَبِمَن مَّعَكَ ۚ قَالَ طَـٰٓئِرُكُمْ عِندَ ٱللَّهِ ۖ بَلْ أَنتُمْ قَوْمٌۭ تُفْتَنُونَ ٤٧
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

ওরা বলল, ‘তোমাকে ও তোমার সঙ্গে যারা আছে, তাদেরকে আমরা অমঙ্গলের কারণ মনে করি।’[১] (সালেহ) বলল, ‘তোমাদের শুভাশুভ আল্লাহর এখতিয়ারে,[২] বস্তুতঃ তোমরা এমন এক সম্প্রদায় যাদেরকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। [৩]

[১] اطَّيَّرنا আসলে تَطَيَّرنا ছিল এর ধাতু হল طَير যার অর্থ ওড়া। আরবে ইসলামের পূর্বে লোকেরা কোন কাজ করতে বা সফরে যেতে মনস্থ করলে পাখী উড়াত, যদি পাখীটি ডান দিক দিয়ে উড়ে যেত, তাহলে তারা সে কাজ বা সফর শুভ মনে করত। আর যদি বাম দিকে উড়ে যেত, তাহলে অশুভ মনে করে সেই কাজ বা সফর থেকে বিরত থাকত। (ফাতহুল কাদীর) ইসলামে কোন জিনিসে শুভ-অশুভ ধারণা করা বৈধ নয়। তবে কোন কিছুতে আশাবাদী হওয়া বৈধ। (অর্থাৎ, কোন সুন্দর বা ভাল কথা শুনে তা থেকে ভাল আশা করা বৈধ।)

[২] অর্থাৎ, মুমিনরা কোন অশুভ, অপয়া বা অমঙ্গল কিছুরই কারণ নয়; যেমন তোমরা মনে কর। বরং তার আসল কারণ আল্লাহর নিকটে। কারণ অদৃষ্ট বা ভাগ্য তাঁরই এখতিয়ারে। অর্থ এই যে, তোমাদের যে অশুভ অবস্থা (অনাবৃষ্টি ইত্যাদি) এসেছে, তা আল্লাহর পক্ষ হতে। আর তার কারণ তোমাদের কুফরী করা। (ফাতহুল কাদীর)

[৩] অথবা তোমাদের ভ্রষ্টতায় অবকাশ দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।