ومن الانعام حمولة وفرشا كلوا مما رزقكم الله ولا تتبعوا خطوات الشيطان انه لكم عدو مبين ١٤٢
وَمِنَ ٱلْأَنْعَـٰمِ حَمُولَةًۭ وَفَرْشًۭا ۚ كُلُوا۟ مِمَّا رَزَقَكُمُ ٱللَّهُ وَلَا تَتَّبِعُوا۟ خُطُوَٰتِ ٱلشَّيْطَـٰنِ ۚ إِنَّهُۥ لَكُمْ عَدُوٌّۭ مُّبِينٌۭ ١٤٢
وَمِنَ
الْاَنْعَامِ
حَمُوْلَةً
وَّفَرْشًا ؕ
كُلُوْا
مِمَّا
رَزَقَكُمُ
اللّٰهُ
وَلَا
تَتَّبِعُوْا
خُطُوٰتِ
الشَّیْطٰنِ ؕ
اِنَّهٗ
لَكُمْ
عَدُوٌّ
مُّبِیْنٌ
۟ۙ
3

আর (সৃষ্টি করেছেন) গবাদি পশুর মধ্যে কিছু ভারবাহী ও কিছু ক্ষুদ্রাকার পশু।[১] আল্লাহ যা জীবিকারূপে তোমাদেরকে দান করেছেন, তা আহার কর[২] এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না।[৩] নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।

[১] حُمُوْلَةٌ (ভারবাহী, বোঝা বহনকারী) বলতে উট, বলদ এবং গাধা ও খচ্চর ইত্যাদিকে বুঝানো হয়েছে। যা বাহন ও বোঝা বহনের কাজে আসে। আর فَرْشًا খর্বাকৃতির জীব-জন্তু। যেমন, ছাগল-ভেড়া ইত্যাদি। যার দুধ তোমরা পান কর এবং তার গোশত খাও।

[২] অর্থাৎ, ফল, ফসলাদি এবং চতুষ্পদ জীব-জন্তুর মধ্য থেকে। এগুলোকে আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জন্য সেগুলোকে আহার্য বানিয়েছেন।

[৩] যেভাবে মুশরিকরা তার (শয়তানের) অনুসরণ করেছিল এবং হালাল পশুগুলোকেও নিজেদের উপর হারাম করে নিয়েছিল। অর্থাৎ, আল্লাহর হালাল করা জিনিসকে হারাম করা এবং তাঁর হারাম করা জিনিসকে হালাল করা, আসলে শয়তানের আনুগত্য করা।