Anda sedang membaca tafsir untuk kelompok ayat dari 69:44 hingga 69:52
ولو تقول علينا بعض الاقاويل ٤٤ لاخذنا منه باليمين ٤٥ ثم لقطعنا منه الوتين ٤٦ فما منكم من احد عنه حاجزين ٤٧ وانه لتذكرة للمتقين ٤٨ وانا لنعلم ان منكم مكذبين ٤٩ وانه لحسرة على الكافرين ٥٠ وانه لحق اليقين ٥١ فسبح باسم ربك العظيم ٥٢
وَلَوْ تَقَوَّلَ عَلَيْنَا بَعْضَ ٱلْأَقَاوِيلِ ٤٤ لَأَخَذْنَا مِنْهُ بِٱلْيَمِينِ ٤٥ ثُمَّ لَقَطَعْنَا مِنْهُ ٱلْوَتِينَ ٤٦ فَمَا مِنكُم مِّنْ أَحَدٍ عَنْهُ حَـٰجِزِينَ ٤٧ وَإِنَّهُۥ لَتَذْكِرَةٌۭ لِّلْمُتَّقِينَ ٤٨ وَإِنَّا لَنَعْلَمُ أَنَّ مِنكُم مُّكَذِّبِينَ ٤٩ وَإِنَّهُۥ لَحَسْرَةٌ عَلَى ٱلْكَـٰفِرِينَ ٥٠ وَإِنَّهُۥ لَحَقُّ ٱلْيَقِينِ ٥١ فَسَبِّحْ بِٱسْمِ رَبِّكَ ٱلْعَظِيمِ ٥٢
وَلَوْ
تَقَوَّلَ
عَلَیْنَا
بَعْضَ
الْاَقَاوِیْلِ
۟ۙ
لَاَخَذْنَا
مِنْهُ
بِالْیَمِیْنِ
۟ۙ
ثُمَّ
لَقَطَعْنَا
مِنْهُ
الْوَتِیْنَ
۟ؗۖ
فَمَا
مِنْكُمْ
مِّنْ
اَحَدٍ
عَنْهُ
حٰجِزِیْنَ
۟
وَاِنَّهٗ
لَتَذْكِرَةٌ
لِّلْمُتَّقِیْنَ
۟
وَاِنَّا
لَنَعْلَمُ
اَنَّ
مِنْكُمْ
مُّكَذِّبِیْنَ
۟
وَاِنَّهٗ
لَحَسْرَةٌ
عَلَی
الْكٰفِرِیْنَ
۟
وَاِنَّهٗ
لَحَقُّ
الْیَقِیْنِ
۟
فَسَبِّحْ
بِاسْمِ
رَبِّكَ
الْعَظِیْمِ
۟۠
3

৪৪-৫২ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ হে কাফির ও মুশরিকদের দল! তোমাদের কথা হিসেবে সত্যিই যদি আমার রাসূল (সঃ) এরূপই হতো, অর্থাৎ আমার রিসালাতের মধ্যে কিছু কম বেশী করতো বা আমি যে কথা বলিনি সেই কথা আমার নামে চালিয়ে দিতো তবে অবশ্যই তৎক্ষণাৎ আমি তাকে নিকৃষ্ট শাস্তি দিতাম অর্থাৎ আমার ডান হাত দ্বারা তার ডান হাত ধরে ফেলতাম এবং তার ঐ শিরা কেটে ফেলতাম যার উপর হৃদয় লটকানো রয়েছে। এমতাবস্থায় আমার এবং তার মাঝে এমন কেউ আসতে পারতো না যে তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করতো। সুতরাং ভাবার্থ এই দাড়ালো যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) সত্যবাদী, পবিত্র ও সুপথগামী ছিলেন। এ কারণেই আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা তাবলীগের এ মহান দায়িত্ব তার উপর অর্পণ করেছিলেন। আর নিজের পক্ষ হতে বহু মু'জিযা এবং তাঁর সত্যবাদিতার বড় বড় নিদর্শন তাঁকে প্রদান করেছিলেন। এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ এই কুরআন অবশ্যই মুত্তাকীদের জন্যে এক উপদেশ। যেমন তিনি অন্য জায়গায় বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “(হে নবী সঃ!) তুমি বলে দাও যে, এই কুরআন মুমিনদের জন্যে হিদায়াত ও শিফা (অন্তর রোগের প্রতিষেধক), আর বে-ঈমানদের কর্ণে তো বধিরতা ও চক্ষে অন্ধত্ব রয়েছে (তারা দেখেও দেখে না এবং শুনেও শুনে)।” (৪১:৪৪)মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি অবশ্যই জানি যে, তোমাদের মধ্যে মিথ্যা আরোপকারী রয়েছে। অর্থাৎ এভাবে স্পষ্ট বর্ণনার পরেও এমন কতকগুলো লোক রয়েছে যারা কুরআনকে অবিশ্বাস করেই চলেছে। এই অবিশ্বাস ঐ লোকদের জন্যে কিয়ামতের দিন অনুশোচনার কারণ হবে। অথবা ভাবার্থ হচ্ছেঃ এই কুরআনই কাফিরদের অনুশোচনার কারণ হবে। যেমন আল্লাহ পাক অন্য জায়গায়বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “এভাবেই আমি পাপীদের অন্তরে এটা অবতীর্ণ করি যে, তারা ওর উপর ঈমান আনয়ন করে না।”(২৬:২০০-২০১) আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “তাদের মাঝে ও তাদের প্রবৃত্তির মাঝে পর্দা ফেলে দেয়া হয়েছে।”(৩৪:৫৪)এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ নিশ্চয়ই এটা সম্পূর্ণরূপে সত্য খবর। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই।অতঃপর আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা স্বীয় নবী (সঃ)-কে নির্দেশ দিচ্ছেনঃ অতএব, হে নবী (সঃ)! এই কুরআন অবতীর্ণকারী মহান প্রতিপালকের নামের তুমি পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর।